এসডিজি-১৪ অর্জনে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মহাসাগর, সাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ১৪ এর সবগুলো অর্জনে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) লিসবনে দ্বিতীয় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে বিবৃতি দেওয়ার সময় এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মোট প্রায় ৮ দশমিক ৮ শতাংশ এলাকাকে সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। সরকার বাংলাদেশ শিপ রিসাইকেল অ্যাক্ট ২০১৮ সংশোধন করেছে এবং ২০২৩ সাল থেকে হংকং কনভেনশন মেনে চলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় বাংলাদেশ প্রতিবেশী উভয় দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সমস্যার সমাধান করেছে। এছাড়া সমুদ্র সম্পদ যৌথভাবে কাজে লাগাতে প্রস্তুত।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, পর্তুগালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান ও অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. মোমেন বিবৃতিতে দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখা, বিশ্বের সামুদ্রিক পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দূষণ সম্পর্কে পূর্বাভাস প্রদান ও পদক্ষেপ গ্রহণ এবং মহাসাগর ও সাগরের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সমুদ্র বিজ্ঞানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশ নিরাপদে জাহাজ রিসাইক্লিং নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন পদক্ষেপেরও ঘোষণা দিয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ উৎপাদন নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে।
এনআই/এমএইচএস