যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে অংশ নিতে ১১০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাকিস্তান, ভারত ও ইরাকের মতো দেশ সেই সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেলেও তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা সকল মিত্র দেশও এই আমন্ত্রণ পেয়েছে। বুধবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাওয়া ১১০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে আগামী ডিসেম্বরে এই সম্মেলন ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে।
অবশ্য বাংলাদেশের মতো সম্মেলনে আমন্ত্রণের তালিকায় স্থান পায়নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ চীন। তবে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া চীনের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো মিত্র তুরস্কও এই সম্মেলনের আমন্ত্রিত দেশগুলোর তালিকায় স্থান পায়নি।
এএফপি বলছে, পুরো মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরায়েল ও ইরাক ছাড়া আর কোনো দেশই যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণ পায়নি। অর্থাৎ মিসর, সৌদি আরব, জর্ডান, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মতো ওয়াশিংটনের ঐতিহ্যবাহী আবর মিত্র দেশগুলোকে সম্মেলন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর ভার্চ্যুয়াল এই গণতন্ত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ব্রাজিলকে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে এখন কট্টর ডানপন্থি এক প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় রয়েছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসেনারোকে স্বৈরশাসক হিসেবে সমালোচনা করা হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক হিসেবে গণ্য করা হয়।
এদিকে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য ইউরোপ থেকে পোল্যান্ডকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে উত্তেজনা চলছে। তবে হাঙ্গেরিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
অন্যদিকে আফ্রিকা থেকে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো), দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া এবং নাইজারকে সম্মেলনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
টিএম