সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিতে অ্যামনেস্টির আহ্বান
বাংলাদেশে দুর্গাপূজা চলাকালীন এবং পূজা পরবর্তী হিন্দুদের বাড়িঘর ও পূজামণ্ডপে সহিংস হামলার নিন্দা জানিয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের এই ধরনের হামলা থেকে সুরক্ষা এবং ন্যায়বিচারের সুযোগ নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব চলাকালীন বাংলাদেশে তাদের বাড়িঘর, মন্দির এবং দুর্গাপূজা মণ্ডপে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার ঘটনা ‘দেশটিতে সংখ্যালঘুবিরোধী ক্রমবর্ধমান মনোভাবের লক্ষণ।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে সংখ্যালঘুদের ওপর এ ধরনের বারবার হামলা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং তাদের বাড়িঘর ও উপাসনালয় ধ্বংসের ঘটনা দেখিয়েছে যে, দেশটি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।’
— Saad Hammadi (@saadhammadi) October 18, 2021
হাম্মাদি বলেন, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার জন্য ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে লক্ষ্যে পরিণত করা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দেশটিতে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এ ধরনের হামলা থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের রক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিকার নিশ্চিতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রত্যেকটি ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে, পুঙ্খানুপুঙ্খ, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছভাবে ঘটনার তদন্ত করতে হবে। এছাড়া যারা সহিংসতা এবং ভাঙচুরের জন্য দায়ী বলে সন্দেহ করা হয়েছে; তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা শুরু হয়। হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো এবং হামলার অভিযোগে ইতোমধ্যে কয়েকশ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
এসএস