বাংলাদেশে কাপড়ের ব্যবসা ধসে যাওয়ায় প্রতিদিন ২০-৩০ জন ভারতে ঢুকছে
বাংলাদেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক শিল্পে ধস নামায় প্রত্যেকদিন ২০ থেকে ৩০ জন বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশ করছেন। ভারতের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী প্রায় প্রত্যেক দিনই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তার করছে। বুধবার ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এমন দাবি করেছেন।
তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারত। আসাম পুলিশের এসটিএফ এবং এনআইএ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। বাংলাদেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়েছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আসামের এই মুখ্যমন্ত্রী।
হিমন্ত শর্মা বলেন, ‘‘আমরা একটি বড় সন্ত্রাসী মডিউল ফাঁস করেছি। আসাম, কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।’’ তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে পোশাক শিল্পক্ষেত্র ভেঙে পড়ার কারণে উপার্জনের আশায় প্রতিদিন বহু বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করছেন।
আসামের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আসাম এবং ত্রিপুরার পুলিশ প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করছে। আর যারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই হলেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক।’’
হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দাবি, যেহেতু বাংলাদেশে পোশাক শিল্প ভেঙে পড়েছে তাই সেখানকার শ্রমিকদের কম টাকায় পেতে ভারতের অনেক পোশাক কারখানার মালিক তাদের ভারতে অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই সমস্যা নিয়ে তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে কথা বলেছেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘‘দুদিন আগে আমি ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা গত উত্তর পূর্ব কাউন্সিলের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি।’’
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা খুবই উদ্বেগজনক। কারণ এত বেশি অনুপ্রবেশকারী এর আগে কখনও ভারতে আসেনি।’’ তিনি বলেন, কেন্দ্র এ বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছে। যেসমস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান অল্প পরিশ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
হিমন্ত শর্মা বলেন, গত পাঁচ মাসে এক হাজারেরও বেশি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে তা সত্ত্বেও তারা অনুপ্রবেশ করছেন না, বরং অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
এসএস