ইন্দিরা গান্ধীর বীরোচিত নেতৃত্বে বিজয়ী হয় বাংলাদেশ : প্রিয়াঙ্কা
একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে ‘‘ভারতীয় বিজয়’’ বলে দাবি করে তুমুল সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন দাবি করেন তিনি। একই দিনে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় দেওয়া ভাষণে ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেত্রী ও ওয়ান্নারের সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ‘‘মুক্তিযুদ্ধে ইন্দ্রিরা গান্ধীর সাহসিকতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিজয়ী হয়’’ বলে মন্তব্য করেছেন।
লোকসভায় ভাষণের শুরুতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করা সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাহসিকতাপূর্ণ নেতৃত্ব ও ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তিনি।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘‘আজ বিজয় দিবস। প্রথমেই আমি স্যালুট জানাতে চাই সেই সব বীর সৈনিকদের, যারা একাত্তরে আমাদের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। সেই সময় বাংলাদেশে যা ঘটেছিল, সেই বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণের— আমাদের বাঙালি ভাই ও বোনদের কথা কেউ শোনেনি।’’
তিনি বলেন, ‘‘সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী; আমি তাকে স্যালুট জানাতে চাই। তিনি অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতেও সাহস দেখিয়েছিলেন এবং এমন নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন; যা দেশটিকে বিজয়ী করে।’’
লোকসভায় ভাষণে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশটির সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমপর্ণের মুহূর্তের দৃশ্যের একটি চিত্রকর্ম সরিয়ে ফেলার অভিযোগ করেন তিনি।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘‘দ্বিতীয় বিষয় হলো, পাকিস্তানি সেনারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করছেন, এমন একটি চিত্রকর্ম আজ সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’’
এর আগে ভারতের সেনাবাহিনী বিষয়টি পরিষ্কার করে জানায়, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ‘‘আইকনিক ১৯৭১ সারেন্ডার পেইন্টিং’’ নামের চিত্রকর্মটি নয়াদিল্লির মানেকশ সেন্টারে স্থাপন করেছেন।
আইকনিক এই চিত্রকর্মটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় ভারতীয় পাকিস্তানি সৈন্যদের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে ওই চিত্রকর্মটি মানেকশ সেন্টারে স্থাপন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
সূত্র: এএনআই।
এসএস