দিল্লি-লাহোরের পর বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় ঢাকা
সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা। আর এই তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারতের রাজধানী দিল্লি ও পাকিস্তানের অন্যতম বড় শহর লাহোর।
বায়ুর মান ও দূষণের শহর র্যাঙ্কিং অনুযায়ী এই তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোর ২০৬ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। একিউআই সূচক অনুযায়ী, জনবহুল এই শহরের আজকের বাতাসকে “খুবই অস্বাস্থ্যকর” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে একিউআই স্কোর ২৬৭ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। আর একিউআই স্কোর ২৩৭ নিয়ে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের অন্যতম বৃহত্তম শহর লাহোর। ভারতের দিল্লির পাশাপাশি পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহরটিও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের সমস্যায় ভুগছে।
মূলত একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। আর একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। অন্যদিকে ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম-১০ ও পিএম-২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন— প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।
আরও পড়ুন
মূলত ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
টিএম