বাংলাদেশে বন্যায় প্রাণহানি-ধ্বংসযজ্ঞে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন শেহবাজ
বাংলাদেশে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারসহ বেশ কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখ লাখ পরিবার। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ।
ঘটছে প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনাও। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে বন্যায় প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এছাড়া বিপর্যয়ের এই সময়ে পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে একথা জানিয়েছেন তিনি।
— Shehbaz Sharif (@CMShehbaz) August 22, 2024
এতে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে বন্যায় প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমি বাংলাদেশের জনগণ এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। বিপর্যয়ের এই সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের সহনশীল জনগণ তাদের চারিত্রিক অধ্যবসায় ও দৃঢ়তা দিয়েই এই কঠিন সময়কে অতিক্রম করবে।
প্রসঙ্গত, টানা ভারী বৃষ্টি ও বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা।
বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩৬ লাখ মানুষ। তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। এর মধ্যে চার জেলায় আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন
এছাড়া নতুন করে আরও তিন জেলার বন্যাকবলিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেগুলো হলো- রাঙামাটি, কক্সবাজার ও সিলেট। অন্যদিকে বন্যার্তদের সহায়তায় পাঁচ জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ত্রাণ ও খাদ্য বিতরণসহ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সেনা সদস্যরা।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ফেনীর মানুষ। জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা কার্যত পানির নিচে। কোথাও বুকপানি, কোথাও গলাপানি আর কোথাও কোথাও একতলা পর্যন্ত ডুবে গিয়েছে। অন্যান্য উপজেলার চিত্রও প্রায় একই।
এ ছাড়া, নোয়াখালীর আটটি উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ডুবে গেছে ফেনী-নোয়াখালী সড়কের একাধিক এলাকা। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জে ১০ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। লক্ষ্মীপুরেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক শ মাছের ঘের, আউশ ধান ও আমনের বীজতলা।
টিএম