বাইডেনের উপদেষ্টার বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে আবারও নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীসহ সকলের দায়িত্ব রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া ওয়াশিংটনের এই ব্রিফিংয়ে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত এক উপদেষ্টার প্রসঙ্গও উঠেছে। তবে সেই ‘উপদেষ্টার’ বিষয়ে আলাদা করে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি দেশটি।
স্থানীয় সময় বুধবার (১ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে বাইডেনের কথিত এক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশে বিরোধীদের আন্দোলনে সহিংসতার বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, আমার দুটি প্রশ্ন আছে। গত ২৮ অক্টোবর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতারা মিয়া আরেফি নামে এক আমেরিকান নাগরিককে তাদের অফিসে নিয়ে যায়। পরে তাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা বলে দাবি করা হয় এবং তিনি নিজেও ক্যামেরাতে দাবি করেন, তিনি প্রতিদিন (বাইডেনের সঙ্গে) ১০ থেকে ২০ বার টেক্সট মেসেজিং করেন। কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস মিয়া আরেফির সেই দাবি অস্বীকার করেছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে– বিএনপি নেতাদের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড মার্কিন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। মিয়া আরেফি সাহেব এবং বিএনপি নেতৃত্বের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আপনারা কি কোনও ব্যবস্থা নেবেন?
জবাবে এই বিষয়ে আলাদা করে কোনও মন্তব্য নেই বলে জানান ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, (ঢাকার) মার্কিন দূতাবাস এই বিষয়ে যা বলেছে তা পুনর্ব্যক্ত করা ছাড়া এই ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমার আলাদা কোনও মন্তব্য নেই। তিনি (মিয়া আরেফি) যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন না।
পরে ওই সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার আন্তর্জাতিক ট্রেন বিএনপির সহিংস কর্মীদের হিংসাত্মক হামলার শিকার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনার) সরকার বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে অসাধারণ সাফল্য এবং চরমপন্থি সংগঠনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলছে। শেখ হাসিনার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তাও দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র কি সেখানে কোনও নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে শেখ হাসিনাকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে? আপনি কি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে সহিংসতা বন্ধ করে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাবেন?
আরও পড়ুন
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, এ বিষয়ে আমি আগেও কথা বলেছি। যেমনটা আমি গতকাল ও আগের দিনও বলেছি এবং বহুবারই বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সকলের: সকল রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ (সবার দায়িত্ব আছে)।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের জন্য যা চায় যুক্তরাষ্ট্র ঠিক সেটিই চায়। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
টিএম