বাংলাদেশি বন্ধুকে খুন, ৮ বছর পালিয়ে থাকার পর বিচারের মুখে যুবক
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি এক নাগরিককে হত্যার অভিযোগে এক যুবককে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক মিয়ানমারের নাগরিক এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর আট বছর পলাতক ছিলেন তিনি।
পরে শেষমেষ তাকে আটক করে বিচারের মুখোমুখি করতে আদালতে পাঠানো হয়। নিহত বাংলাদেশি নাগরিক অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বন্ধু ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মালয়েশীয় সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইট টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আট বছর ধরে পলাতক থাকার পর মিয়ানমারের একজন নাগরিককে বিচারের মুখোমুখি করতে অবশেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ২০১৫ সালে তার বাংলাদেশি বন্ধুকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নিউ স্ট্রেইট টাইমস বলছে, আট বছর আগে নিহত ওই বাংলাদেশি যুবকের নাম উজ্জল আলী (২৮)। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আজিব খাম। ৩৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের পান্ডান চাহায়া এলাকার কাছে উজ্জল আলীকে হত্যা করেন।
এই ঘটনার পর আট বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন এবং অবশেষে গত জুন মাসে তাকে আটক করা হয় ও বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। এদিন আমপাং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার অভিযোগে আজিব খামকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ স্ট্রেইট টাইমস।
মালয়েশীয় এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অভিযুক্ত আজিব খামকে মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ধারায় কোনো আসামিকে সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কালো শার্ট পরে আদালতে হাজির করা অভিযুক্ত এই ব্যক্তিকে সেখানে বেশ শান্ত দেখাচ্ছিল।
অবশ্য অভিযুক্তের কাছ থেকে কোনো আবেদন নথিভুক্ত করা হয়নি এবং ম্যাজিস্ট্রেট নরমাইজান রহিম ফরেনসিক প্রতিবেদনের জন্য মামলার পুনরায় শুনানির তারিখ আগামী ৩ অক্টোবর ধার্য করেন। ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর নুরুল আমিরা সাম কামরুদ্দিন প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এবং আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
আমপাং পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার মোহম্মদ আজম ইসমাইল বলেছেন, বাংলাদেশি যুবককে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি আবর্জনা সংগ্রহকারী হিসাবে কাজ করেন এবং গত ২৩ জুন রাত সাড়ে ১২টায় পেনাংয়ের বুকিত মারতাজামের কাছে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, তদন্ত অনুসারে- সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিহত যুবকের কর্মস্থলে যান এবং বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে তাকে হত্যা করেন। ঘটনার সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তি নেশাগ্রস্ত ছিল এবং নিহত যুবককে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।’
মোহম্মদ আজম আরও বলেন, সেই ঘটনার পর ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে আমপাং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও আঘাতের কারণে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
টিএম