ইয়েমেনে জাতিসংঘের বাংলাদেশি কর্মকর্তাকে অপহরণ, ১৬ মাস পর ভিডিও
![ইয়েমেনে জাতিসংঘের বাংলাদেশি কর্মকর্তাকে অপহরণ, ১৬ মাস পর ভিডিও](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2023June/sofyol-20230614193850.jpg)
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তা একেএম শফিউল আনাম তার দুই সহকর্মীসহ অপহরণের শিকার হয়েছিলেন ১৬ মাস আগে। সাম্প্রতিক এক ভিডিওবার্তায় নিজের ও সঙ্গীদের বন্দিদশা থেকে মুক্তির আর্তি জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিওবার্তা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স ভিডিওটি যাচাই করে জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদার প্রধান শাখা আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা’র (একিউএপি) হাতে অপহরণ হয়েছেন শফিউল আনাম ও তার সহকর্মীরা। এখনও তাদের হেফাজতেই আছেন তিনি।
বুধবার ফরাসিন বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের বন্দরনগর এডেনে জাতিসংঘ মিশনের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন একেএম শফিউল আনাম। কার্যালয়ের কাছাকাছি একটি বাসায় থাকতেন তিনি। ২০২২ সালের এপ্রিলে একটি ফিল্ড মিশন শেষ করে এডেনে ফেরার পথে অপহৃত হন শফিউল আনাম ও তার ২ সহকারীসহ মোট ৫ জন।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভিডিওবার্তাটি পোস্ট করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে— নীল রঙের শার্ট ও চোখে চশমা পরিহিত শফিউল আনাম একটি লিখিত বিবৃতি পড়ছেন। সেই বিবৃতি অনুযায়ী, তিনি নিজে এবং তার দুই অপহৃত সহকর্মী বর্তমানে শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় আছেন এবং দ্রুত যদি তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি না করা হয়, সেক্ষেত্রে তাদের মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে।
সাইট ইন্টেলিজেন্স বলছে, ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে গত ৩ জুন। তবে লিখিত বিবৃতিটি শফিউল নিজে লিখেছেন, নাকি কেউ লিখে দিয়েছে— তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভিডিওবার্তায় শফিউল আনাম বলেন, এটি তার দ্বিতীয় ভিডিওবার্তা। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে সাহায্যের আর্তি জানিয়ে প্রথম বার্তাটি দিয়েছিলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দে রাব্বু মনসুর আল হাদি রাজধানী সানা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। তার পলায়নের পর রাজধানী দখল করে নেয় হুথি বিদ্রোহীরা।
এদিকে, আব্দে রাব্বু মনসুর আল হাদিকে ফের ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় ফেরাতে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ২০১৫ সাল থেকে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
আল-কায়েদা ইয়েমেন শাখা ও সৌদি শাখার সমন্বয়ে গঠিত একিউপি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক অপর জঙ্গি নেটওয়ার্ক ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে এবং চলমান গৃহযুদ্ধের সুযোগে ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এসব তৎপরতার অংশ হিসেবে হুথি বিদ্রোহী, সৌদি সামরিক জোট এবং ইয়েমেনে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের ওপর গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি হামলাও চালিয়েছে একিউপি।
এসএমডব্লিউ