ভারতে হামসফর এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে ৫ বাংলাদেশি আটক
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা থেকে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে নারীও রয়েছেন। শনিবার (১০ জুন) নর্থ ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর রেলওয়ে স্টেশনে বেঙ্গালুরুগামী হামসফর এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে তাদের আটক করা হয়।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রিপুরার বেঙ্গালুরুগামী হামসফর এক্সপ্রেস থেকে ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজ্য পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটককৃত বাংলাদেশিদের নাম- রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, শাহাব আলী শেখ, মমতাজ আক্তার এবং রোজিনা বেগম।
স্থানীয় থানার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে খবর ছিল, কয়েকজন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিক আগরতলা-বেঙ্গালুরু হামসফর এক্সপ্রেসে উঠতে চলেছে। আমরা সরকারি রেলওয়ে পুলিশ ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ট্রেনে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করি এবং সন্দেহের ভিত্তিতে পাঁচজনকে শনাক্ত করি। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরে নিজেদের বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে স্বীকার করেছে।’
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, ওই পাঁচজন বাংলাদেশের আমতলী এলাকা দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করেছে বলে স্বীকার করেছে। বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়ার জন্য রফিকুল নামের ওই ব্যক্তিকে তারা সবাই ২০ হাজার রুপি করে দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছে।
এই ঘটনায় মামলা নথিভুক্ত করার পাশাপাশি তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।
এর আগে গত ১৬ মে অবৈধভাবে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করার পর কাশ্মিরের জম্মুতে পৌঁছানোর জন্য ট্রেনে উঠার সময় একই রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাঁচজন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসে উনাকোটি জেলার কৈলাশহরের লটিয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ত্রিপুরায় বিভিন্ন অভিযানে ৫৯ রোহিঙ্গা, ১৬০ ভারতীয় এবং ১৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিকসহ ৩৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ২০৮ জন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ৮৫৬ কিমি-লম্বা আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। আর এই সীমান্তের কিছু অংশ এখনও বেড়াহীন।
টিএম