সস্তা শ্রম, ভুয়া কার্ডে সর্বত্র রোহিঙ্গাদের বিচরণ
বিশ্বমানচিত্রে অনিন্দ্য সুন্দর, দীর্ঘতম ও অবিচ্ছিন্ন বালুময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। জেলা শহরের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু সমুদ্র। সমুদ্র সৈকত ঘেঁষে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ‘মেরিন ড্রাইভ’ সড়ক। এ সড়ক থেকেই চোখে পড়ে ত্রিপল ও প্লাস্টিক শিটের তৈরি সারি সারি ঝুপড়ি ঘর। সেখানে ২০১৭ সাল থেকে ক্যাম্প করে বসবাস করছেন মিয়ানমার থেকে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা। তবে সেই ক্যাম্প ছাড়িয়ে রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়েছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়ার সর্বত্র। সস্তা শ্রম আর ভুয়া (নকল) কার্ডে তাদের বিচরণ এখন সবখানে।
দুদিনে কক্সবাজারের কাজ গুটিয়ে গত ১৯ জুন সিএনজিযোগে ঢাকা পোস্টের দুই প্রতিবেদক রওনা দেন টেকনাফের উনচি প্রাংয়ের উদ্দেশে। রিজার্ভ করা সিএনজিতে চলতে চলতে চালক সৈয়দ আলমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘কী শান্ত ছিল শহরটা! রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে যত বিপত্তি। কেউ আল-ইয়াকিন, কেউ সালমান শাহ গ্রুপের সদস্য। চাঁদাবাজি, অপহরণের ঘটনা ঘটছে অহরহ। চার/পাঁচ লাখ টাকার জন্য অপহরণ করা হয়। আজ স্থানীয় তো কাল গাড়ি, অটোরিকশা কিংবা সিএনজিচালক; জানের আধা মিনিটেরও নিরাপত্তা নেই। সর্বত্রই আজ রোহিঙ্গাদের বিচরণ, ভুয়া কার্ড তো আছেই।’
সিএনজিচালকের কথা শুনে মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা! কারণ, সবারই জানা ক্যাম্পের বাইরে রোহিঙ্গাদের বিচরণ অবাধ ও নির্বিঘ্ন নয়। তাহলে রোহিঙ্গারা কীভাবে অবাধে চলাফেরা করছেন?
এমন কথা শুনে হেসে ওঠেন সৈয়দ আলম। বলেন, ‘১১ বছর সিএনজি চালাই। এ পথের যাত্রী কারা তা আমরা জানি। রোহিঙ্গাদের শনাক্তে সরকার কার্ড করেছে কিন্তু ভুয়া কার্ড দেখার তো কেউ নেই। ভুয়া কার্ডে ওদের ঠাটবাট (জাঁকজমক) চলাফেরা! সিএনজির ৭০ শতাংশ যাত্রীই এখন রোহিঙ্গা। ওরা টেকনাফ, উখিয়া থেকে ওঠে। কক্সবাজারেও আসে। পথে চেকপোস্টে আটকায়, কার্ড দেখালেই ছেড়ে দেয়। কিন্তু সে কার্ড আসল না নকল, তা খতিয়ে দেখার কেউ নেই, নেই কোনো পদ্ধতিও।’
সিএনজি চলতে থাকে। কথায় কথায় জানার আগ্রহও বাড়ে। আলাপচারিতায় হাজারও স্মৃতির মধ্যে একটি ঘটনার বর্ণনা দেন সিএনজিচালক। বলেন, ‘এক সন্ধ্যায় উখিয়ার বালুখালি থেকে চার রোহিঙ্গা ওঠে আমার সিএনজিতে। কুতুপালং আসার পর চেকপোস্টে আটকায়। কার্ড দেখায়। কিন্তু বাবার নাম জানতে চাইলে বলতে পারে না তারা। আটকে দেন এপিবিএন সদস্যরা। পরে স্বীকার করে তারা রোহিঙ্গা, গন্তব্য কক্সবাজার। একে একে চারজনকে তল্লাশি করা হয়। সর্বশেষ যে নারী ছিলেন তার কাছে মেলে ১০ হাজার পিস ইয়াবা।’
হোয়াইক্যং উনচি প্রাং বাজারে নামেন ঢাকা পোস্টের দুই প্রতিবেদক। ভাড়া মিটিয়ে ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে দাঁড়াতেই চোখে পড়ে তল্লাশি আর জিজ্ঞাসাবাদের চিত্র। অনুমতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই বাজার। সেখানে রোহিঙ্গারা হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। তারা নিজেরাই ক্রেতা, নিজেরাই বিক্রেতা। স্থানীয় অনেক বাংলাদেশি এবং পুরোনো রোহিঙ্গারাও (২০১৭ সালের আগে যারা এসেছেন) এখানে আসেন আত্মীয়তার সূত্রে।
তাদেরই একজন আজিজুল শেখ। বাজারে কলা বেচে ব্রয়লার মুরগি আর ডিম কিনে ফিরছিলেন আত্মীয়ের বাসায়। হাঁটতে হাঁটতে কথা হয় তার সঙ্গে। বলেন, ‘এখানকার রোহিঙ্গাদের অনেকে অটোরিকশা আর সিএনজির চালক। কেউ আবার জেলে; মাছ ধরে, বেচা-কেনাও করে। কিন্তু এটা করার সুযোগ তাদের নেই। কী করবে তারা? মানুষ তো, ঘরে বসে কতক্ষণ থাকা যায়! চাহিদার প্রয়োজনে বাইরে বের হয়। এখন তাদের (রোহিঙ্গা) বিচরণ ক্যাম্পের বাইরেও।’
হোয়াইক্যং বাজারে ফিরে আজিজুল শেখের দেওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করে ঢাকা পোস্ট। এমনই একজন রোহিঙ্গাচালকের সিএনজিতে উঠে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেন দুই প্রতিবেদক। পথে আরও তিন যাত্রী ওঠেন সিএনজিতে। তাদের দুজনই রোহিঙ্গা। সিএনজি চলতে থাকে, সঙ্গে আলাপচারিতা। যাত্রী বিজুর (রোহিঙ্গা) কথা বুঝতে না পেরে জানতে চাওয়া হয় চালক (রোহিঙ্গা) ওয়াক্কাসের কাছে। তিনি একটু শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করেন। বলেন, ‘টেকনাফের নির্মাণকাজ, পোর্টের (বন্দর) বিভিন্ন কাজ করছে রোহিঙ্গারা। তবে কাজ শেষে ফিরতে হয় ক্যাম্পে।’
টেকনাফ বাসস্ট্যান্ডে নামতে নামতে সন্ধ্যা। খোঁজ-খবর নিয়ে মিলকি রিসোর্টে রাত কাটানোর জন্য ওঠেন ঢাকা পোস্টের দুই প্রতিবেদক। রিসোর্টে ঢুকতেই রিসিপশনে তিনজনের দেখা মেলে। তাদের একজনের ভাষায় সন্দেহ হয়। কথা বলে জানা যায়, তিনিও রোহিঙ্গা। মাসিক মাত্র সাড়ে ছয় হাজার টাকায় ওই রিসোর্টে ক্লিনারের কাজ করেন। নাম সিরাজ। তার মাধ্যমে আরও জানা যায়, শুধু তিনি নন, এমন হাজারও তরুণ (রোহিঙ্গা) বিভিন্ন রিসোর্ট, হোটেল, খাবারের দোকান ও মুদি দোকানে কাজ করছেন। অনেকে আবার দিনমজুরির কাজও করছেন।
রিসিপশনে বুকিং শেষে নিজ কক্ষে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম নেন দুই প্রতিবেদক। রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাবার খেতে নিচে নামেন তারা। রিসোর্টে খাবারের ব্যবস্থা নেই, তাই পাশের খাবারের হোটেলের দিকে রওনা দেন। একইসঙ্গে সিরাজের বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়েরও চেষ্টা করেন।
পুরো রাস্তাই কর্দমাক্ত, খানাখন্দে ভরা। ফুটপাতের ড্রেনের ওপর নেই স্লাব। আড়াই বছরের ভোগান্তি শেষে সবে শুরু হয়েছে নির্মাণকাজ। বাধ্য হয়ে কর্দমাক্ত রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে অনেকের আলাপচারিতা শোনা। উৎসাহ নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করেন দুই প্রতিবেদক। রাত গভীর হওয়াতে সেখানকার হোটেলগুলোতে আনাগোনা কম। খুঁজতে খুঁজতে চোখে পড়ে ‘ঢাকা হোটেল’। টেকনাফে বসে ঢাকার হোটেলে খাওয়া, আগ্রহটা একটু বেশি বেড়ে যায়। খাবারের অর্ডার দিয়ে অপেক্ষার পালা। এ সময় চোখে পড়ে ১২ থেকে ২২ বছর বয়সী সাত/আটজন স্টাফের দিকে, তারা সবাই এ হোটেলের কর্মচারী। তাদেরই একজন মো. শহীদ (১৪)। এক বছর ধরে কাজ করেন হোটেলটিতে। থাকেন মুসুনি ক্যাম্পে।
খেতে খেতে কথা হয় শহীদের সঙ্গে। বলেন, ‘আমরা এ হোটেলে কাজ করি। সবমিলিয়ে আট/নয়জন। সকাল-বিকেল-সন্ধ্যা, তিন বেলা মিলে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস। আমরা পালাক্রমে কাজ করি। দুই মাস ধরে ছয় হাজার টাকা বেতনে এখানে কাজ করছি। বেতন বেশি চাইতেও পারি না। লোক বেশি, কাজ কম। আবার পরিবারের চাপও আছে। তাই কম বেতনে এখানে থাকা, কাজ করা।’
ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় রোহিঙ্গা কিশোর ফয়সাল আহমেদের (১৫)। তিনিও থাকেন মুসুনি ক্যাম্পে। এখানে (ঢাকা হোটেল) কাজ করেন সাত মাস হলো। মাসে বেতন পাঁচ হাজার টাকা। কথা বলতে বলতে থমকে যান ফয়সাল, আছে জড়তা। পেছনে তাকিয়ে দেখি মালিক তার দিকে তাকিয়ে আছেন। পরে কার্ড দিয়ে যোগাযোগ করতে বলি অবসর সময়ে। পরের দিন সকালে রিসোর্টে হাজির ফয়সাল। সঙ্গে আগের রাতে কথা বলা শহীদও।
রিসোর্টের লবিতে বসে মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এখন খারাপ মানুষ থাকে। সেখানে অনেক সমস্যা। মারামারি-কাটাকাটি তো আছেই। আমার পরিবার পুরোনো রোহিঙ্গা। বাংলাদেশেই আমার জন্ম। বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আমরা দুই ভাই, এক বোন, সঙ্গে মা আছেন। দুই ভাই একটি মাদরাসায় ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু পরিবারের হাল ধরতে আমাকে হোটেলে কাজ করতে হচ্ছে।’
ফয়সাল বলেন, ‘মুসুনি ক্যাম্পেই (রোহিঙ্গা ক্যাম্প) থাকতে পারতাম। কিন্তু থাকি না, নির্যাতন করে। মারামারি, অপহরণ সেখানকার নিত্যদিনের ঘটনা। কখনও সালমান শাহ গ্রুপ, কখনও আল-ইয়াকিনের সদস্যরা নির্যাতন করে। অপহরণেরও শিকার হতে হয়।’
‘নিজে দুবার নিখোঁজ (অপহরণ) হয়েছিলেন’— উল্লেখ করে ফয়সাল বলেন, ‘একবার সালমান শাহ গ্রুপ তুলে নিয়ে যায়। আরেকবার পুলিশ। দুবারই টাকা দিয়ে ফিরতে হয়েছে।’ কেন তুলে নিয়ে যাওয়া হয়— প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কী আমার অপরাধ জানি না। কিন্তু আমাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়, নির্যাতন করে। মা দেখা করে, ধারদেনা করে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনে। আরেকবার তো সালমান শাহ গ্রুপের নাম করে তুলে নেওয়া হয়। সেবারও ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ফিরতে হয়। এজন্য আমি আর ক্যাম্পে থাকি না। হোটেলে কাজ করি, হোটেলেই থাকি। এখানেই ঘুমাই। বেতন পাওয়ার পর মাসে একবার ক্যাম্পে যাই। মার হাতে টাকা দিয়ে আবার এখানে (হোটেল) ফিরে আসি।’
ফয়সালের সঙ্গে কথা শেষে নয়াপাড়ার তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শনে যান ঢাকা পোস্টের দুই প্রতিবেদক। কথা হয় অনেকের সঙ্গে। ফয়সালের বক্তব্যের সত্যতাও মেলে। ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের বের হওয়া এবং প্রবেশ করা যেন বাধাহীন! নয়াপাড়া ১নং ক্যাম্পের সামনেই কথা হয় টেকনাফের বাসিন্দা (বাংলাদেশি) ইউনুস আলীর সঙ্গে। দোতলা বাড়ির নির্মাণকাজ চলছে তার। শ্রমিকের খোঁজে নয়াপাড়ায় এসেছেন।
ইউনুস আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দেশীয় শ্রমিক দিয়ে কাজ করালে দিনে ৪০০/৫০০ টাকা দিতে হয়। কিন্তু ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় পাওয়ায় যায় রোহিঙ্গা শ্রমিক। এছাড়া ওরা বেশ পরিশ্রমী। এ সুযোগটা নিচ্ছেন অধিকাংশ স্থানীয়রা। কিছুই করার নেই।’
এ প্রসঙ্গে কথা হয় টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা ও রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদের সঙ্গে। তিনি নয়াপাড়া ১নং ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন। রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণে উদ্বেগ, একইসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘তাদের কারণে (রোহিঙ্গা) স্থানীয়রাই এখন বিপাকে। ওরা যখন প্রথম আসে, মানবেতর জীবনযাপন শুরু করে তখন আমরাই (স্থানীয়রা) এগিয়ে আসি, সাহায্য-সহযোগিতা করি। যদিও আমরা ভবিষ্যতের শঙ্কায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। তাদের (রোহিঙ্গা) তো ক্যাম্পের বাইরে আসার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ঠিকই তারা বাইরে বের হচ্ছে, নানা কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আজ আমরা রোহিঙ্গাদের কারণে বড় বিপদে আছি। পথে-ঘাটে, দোকানে-বাজারে, গাড়িতে সর্বত্রই তাদের দেখা মেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ ঘরে ঘরে রোহিঙ্গা। তারা আমাদের স্থানীয় যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। কাউকে ইয়াবা দিয়ে, কাউকে নারী দিয়ে। রোহিঙ্গারা আর ফিরবে না, এটা এক রকম স্পষ্ট। শান্ত টেকনাফ আজ অশান্ত-বিশৃঙ্খল হয়েছে রোহিঙ্গাদের কারণে। শৃঙ্খলা ফেরানোর কোনো উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের।’
‘আমাদের অনুরোধ, টেকনাফবাসীর জন্য কিছু করুক প্রশাসন। যাতে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারি। তা না হলে টেকনাফ কেন, এক সময় পুরো কক্সবাজার চলে যাবে রোহিঙ্গাদের কবজায়।’
সুলতান আহমেদের দাবি, ‘এক কার্ড দিয়ে অর্ধশতাধিক নকল কার্ড তৈরি করছে রোহিঙ্গারা। সেই কার্ড দিয়ে তারা নির্বিঘ্নে ঘুরছে। কিন্তু স্থানীয় হলেও আমাদের সবখানে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। সস্তা শ্রম দিয়ে শুধু টেকনাফ নয়, পুরো কক্সবাজারের শ্রমবাজার ধরে ফেলেছে রোহিঙ্গারা। এ সুযোগও নিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মাসিক চার/পাঁচ হাজার টাকায় ওরা কাজ করে। যেখানে একদিনে স্থানীয়দের দিতে হয় ৫০০ টাকা। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়দের কাজের পথও রুদ্ধ করা হয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের সর্বত্র বিচরণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘তাদের (রোহিঙ্গা) তো ক্যাম্পের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কেউ যদি বাইরে আসে, আর আমরা যদি খবর পাই তাহলে তাদের আবার ধরে ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেব।’
অপহরণ ও মানবপাচারের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মানবপাচারের মতো ঘটনায় পুলিশ অভিযোগ পেলেই খতিয়ে দেখছে। অপহরণের ঘটনা যাচাই-সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক আল-ইয়াকিন কিংবা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মতো উগ্রবাদী সংগঠনের অস্তিত্ব ‘অস্বীকার’ করে তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। তারপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
জেইউ/এআর/এমএআর/