আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং
রমজান মাসের ঘটনা। রাজধানীর কদমতলীর স্থানীয় কিশোর গ্যাং নেতা প্রিন্সের সঙ্গে থাকা এক কিশোর ধূমপান করছিলেন। তা দেখে প্রথমে প্রতিবাদ, পরে চড় মারেন আরাফাত। সেই বিরোধের জেরে মাস না পার হতেই গত ২৭ মে প্রিন্স ও শুভসহ ৮/৯ কিশোর কুপিয়ে হত্যা করেন আরাফাতকে।
ওই ঘটনায় সরাসরি জড়িত আট কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তারা স্বীকার করেছে, শুধুমাত্র ধূমপানের কারণে তারা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। শুধু এ ঘটনা নয়, গত কয়েক বছর ধরে কিশোর অপরাধের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, সিগারেট খাওয়া, প্রভাব বিস্তারের জেরে হরহামেশা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারধর, সশস্ত্র হামলা, এমনকি খুন করতেও দ্বিধা করছেন না তারা। গত এক বছরে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে অন্তত এক ডজন খুনের ঘটনা ঘটেছে।
চাঞ্চল্যকর বেশ কয়েকটি কিশোর অপরাধ সংক্রান্ত মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মূলত ছোট অপরাধ থেকে তাদের যাত্রা শুরু। আস্তে আস্তে ইভটিজিং বা বখাটেপনা করলেও পরবর্তীতে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক কেনা-বেচা, ধর্ষণের মতো নৃশংস ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছেন কিশোররা। এমনকি দলবেঁধে বিরোধীপক্ষের ওপরও হামলা করছেন তারা। গত কয়েক বছর ধরে প্রায়শই খবরের শিরোনাম হচ্ছে ‘কিশোর গ্যাং’। এমন চক্রের সংখ্যা নেহাত কমও নয়।
অভিযোগ রয়েছে, এসব কিশোর অপরাধী চক্র বা গ্যাংয়ের পেছন থেকে মদদ দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের কিছু উচ্চাভিলাষী নেতা। যারা তাদের ব্যবহার করে ফায়দা লুটতে ব্যস্ত। বিশেষ করে সমাজে ‘বড় ভাই’ পরিচিতি পেতে এসব কিশোর বা উঠতি বয়সী তরুণকে নানা অনৈতিক কাজে ব্যবহার করছেন তারা।
মূলত ছোট অপরাধ থেকে তাদের যাত্রা শুরু। আস্তে আস্তে ইভটিজিং বা বখাটেপনা করলেও পরবর্তীতে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক কেনা-বেচা, ধর্ষণের মতো নৃশংস ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছেন কিশোররা। এমনকি দলবেঁধে বিরোধীপক্ষের ওপরও হামলা করছেন তারা। গত কয়েক বছর ধরে প্রায়শই খবরের শিরোনাম হচ্ছে ‘কিশোর গ্যাং’। এমন চক্রের সংখ্যা নেহাত কমও নয়
কিশোর অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে কিশোরদের ‘গ্যাং কালচার’ বা সংঘবদ্ধ অপরাধের ভয়ঙ্কর চিত্র সামনে এলেও তা প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে কিশোর অপরাধের প্রবণতা কমানো যায়নি, বরং বেড়েছে। সম্প্রতি টিকটক, লাইকির মতো ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহারে ঝুঁকে পড়ছেন কিশোর-তরুণরা। এক্ষেত্রেও তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন গ্যাং। এসব গ্যাংয়ে থাকছে একাধিক মেয়ে সদস্য। তাদের দিয়ে তৈরি হচ্ছে আকর্ষণীয় ভিডিও। সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে না বুঝে এসব গ্যাংয়ে যুক্ত হচ্ছেন উঠতি বয়সী তরুণীরা। অনেক ক্ষেত্রে টিকটকের নায়িকা বানানোর টোপ দিয়ে তাদের দলে ভেড়ানো হচ্ছে। একবার দলে ভেড়ানো গেলে সেখান থেকে বের হওয়ার আর কোনো রাস্তা থাকে না।
সম্প্রতি টিকটক ভিডিও তৈরির ফাঁদে ফেলে তরুণীদের ভারতে পাচারের বিষয়টি সবার সামনে আসে। বাংলাদেশি এক তরুণীর যৌন নির্যাতনের ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হলে অনুসন্ধানে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় নামে ঢাকার মগবাজার এলাকার এক বাসিন্দাকে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে জানা যায়, হৃদয় মেয়েটিকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর কথা বলে বছরখানেক আগে ভারতে নিয়ে যান। শুধু ওই তরুণী নয়, আরও কয়েকজনকে ভারতে পাচার করেছেন তিনি।
আগে খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় জড়ালেও এবারই প্রথম উঠে আসে পাচারে মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছেন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
খোদ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ কিশোর গ্যাং নিয়ে বাহিনীর উৎকণ্ঠার কথা জানান। গত ১১ জানুয়ারি র্যাবের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন বড় সমস্যা হচ্ছে ‘কিশোর গ্যাং’। পরিবারকে জানতে হবে তার ছেলে বা মেয়ে কার সঙ্গে মেশে, কখন কী করে, কোথায় যায়; এটা প্যারেন্টাল কন্ট্রোল (পিতা-মাতার দায়িত্ব)। সন্তান জন্ম দিলে দায়-দায়িত্ব বাবা-মাকে নিতেই হবে। দায়িত্ব নেবেন না, তবে জন্ম দিয়েছেন কেন? এটি বাবা-মার সামাজিক, নৈতিক, ধর্মীয় দায়িত্বও বটে।
র্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে রাজধানীর উত্তরায় ১৪ বছর বয়সী স্কুলছাত্র আদনান কবিরকে তার সমবয়সী কিশোররা পিটিয়ে হত্যা করেন। ওই ঘটনার পর কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহতার বিষয়টি প্রথম গণমাধ্যমে আসে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শুধুমাত্র উত্তরাতেই এক ডজনের বেশি কিশোর গ্যাংয়ের সন্ধান পান।
গত ২০১৯ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে কিশোর গ্যাং-কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর অপরাধ ও খুনের ঘটনা ঘটে। নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুরু হয় কিশোর গ্যাং-বিরোধী অভিযান। ২০২০ ও চলতি বছরে রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে তিন শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের অনেককে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র আবার অনেককে মুচলেকা দিয়ে পরিবারের জিম্মায় পাঠানো হয়।
এরপরও থামছে না কিশোর অপরাধ। গত ৯ মে রাতে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় ইফতারির দাওয়াত রক্ষা না করায় ক্ষোভে বান্ধবীসহ বন্ধুকে ডেকে নিয়ে শাকিল হোসেন নামের এক তরুণকে তারই বন্ধুরা কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় অপর বন্ধু সাগর গুরুতর আহত হন।
১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে আগাম ঘোষণা দিয়ে দিনদুপুরে সাহিনুদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া সবাই ছিলেন কিশোর। পল্লবী এলাকার জার্সি বাহিনীর সদস্য হিসেবে তারা পরিচিত। গত ২৩ এপ্রিল কুমিল্লার তিতাসে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত থেকে ছেলেকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন কলেজশিক্ষক শেখ মোহাম্মদ উল্লাহ।
সম্প্রতি বাংলাদেশি এক তরুণীকে ভারতে নিয়ে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় এসেছে কিশোর অপরাধী টিকটক হৃদয়ের নাম। ওই ঘটনায় আরও অনেক কিশোরের জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। ডিএমপি ও র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গ্যাং কালচার, কিশোর অপরাধের বিষয়টি প্রথম সামনে আসে উত্তরা থেকে। এরপর রাজধানীর প্রায় প্রতিটি এলাকাতে কম বেশি কিশোর গ্যাং কালচারের খবর মেলে। এর মধ্যে উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, পুরান ঢাকা, ওয়ারী ও রামপুরা এলাকা অন্যতম।
উদ্ভট নামে কিশোর গ্যাং
কিশোর অপরাধ দমন করতে গিয়ে খোদ রাজধানীতে ৭৫টি কিশোর গ্যাংয়ের সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ধানমন্ডিতেই রয়েছে অন্তত তিনটি গ্রুপ- একে ৪৭, নাইন এম এম, ফাইভ স্টার গ্রুপ। রায়েরবাজার এলাকায় সক্রিয় স্টার বন্ড গ্রুপ ও মোল্লা রাব্বি গ্রুপ; মোহাম্মদপুরে গ্রুপ টোয়েন্টি ফাইভ, লাড়া দে, লেভেল হাই, দেখে ল-চিনে ল এবং কোপাইয়া দে গ্রুপ।
তেজগাঁওয়ে মাঈনুদ্দিন গ্রুপ; মিরপুরে বিহারি রাসেল গ্যাং, সুমন গ্যাং, বিচ্চু বাহিনী, পিচ্চি বাবু, সাইফুলের গ্যাং, সাব্বির গ্যাং, বাবু-রাজন গ্যাং, রিপন গ্যাং, মোবারক গ্যাং এবং নয়ন গ্যাং।
তুরাগে তালাচাবি গ্যাং; উত্তরায় পাওয়ার বয়েজ, ডিসকো বয়েজ, বিগ বস, নাইন স্টার, নাইন এম এম বয়েজ, এন এন এস, এফ এইচ বি, জি ইউ ক্যাকরা, ডি এইচ বি, ব্লাক রোজ, রনো, কে নাইন, ফিফটিন গ্যাং, ডিসকো বয়েজ, সুজন ফাইটার, আলতাফ জিরো, ক্যাসল বয়েজ, ভাইপার, তুফান এবং থ্রি গোল গ্যাং।
দক্ষিণখানে শাহীন-রিপন গ্যাং; উত্তরখানের বড়বাগের নাজিমউদ্দিন গ্যাং, শান্ত গ্যাং মেহেদী গ্যাং, সোলেমান গ্যাং, রাসেল এবং উজ্জ্বল গ্যাং।
এছাড়া ওয়ারী ও লালবাগ এলাকায় বাংলা ও লাভলেট জুম্মন গ্যাং; মুগদায় চান-জাদু, ডেভিল কিং ফুল পার্টি, ভলিয়ম টু ও ভান্ডারি গ্যাং; চকবাজারে টিকটক গ্যাং উল্লেখযোগ্য।
কিশোর গ্যাং সদস্যদের তালিকা করেছে ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর কিশোর গ্যাং কালচারের তৎপরতা বেড়েছিল। মাঝে পুলিশের অভিযানে কমে যায়। সম্প্রতি তা আবার বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংয়ে জড়িতদের অধিকাংশই নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাদের অপতৎপরতা রোধে কাজ করছে ডিএমপি। এরই মধ্যে রাজধানীতে দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর অপরাধীদের তালিকা করা হয়েছে। ২৫টির মতো গ্যাং শনাক্ত হয়েছে। তাদের সদস্য সংখ্যা চার শতাধিক। তালিকা ধরে খুন, ধর্ষণ, ইভটিজিং, ছিনতাইসহ বড় অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, শুধু কিশোর অপরাধীদের তালিকা নয়, কিশোর অপরাধীদের যারা গ্যাং কালচারে রূপ দিচ্ছে, পেছন থেকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তাদের ব্যবহারের চেষ্টা করছে, আমরা তাদেরও তালিকা করছি।
অন্যদিকে, র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত তিন বছর ধরে কিশোর গ্যাং কালচার বন্ধ, কিশোর অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং তাদের সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর কাজ করে আসছে র্যাব। এ মুহূর্তে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। এটা এখনই বন্ধ করা দরকার। কিশোর অপরাধীরা এখন শুধু ইভটিজিং কিংবা ছিনতাই করছে না; হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ ও মাদক ব্যবসায়ও জড়িয়ে পড়ছে। তবে, কিশোর গ্যাং কালচার বন্ধ করা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ নয়, পরিবার-সমাজসহ সব সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনকেও এগিয়ে আসতে হবে।
যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
শুধু উন্নয়নের গালগল্প নয়; জীবনযাত্রা, বৈশ্বিক অবস্থার আলোকে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতখানি উন্নতি হলো— সে বিষয়ে বেশি বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মানুষ গুম-খুন-ধর্ষণের শিকার, পাচার হচ্ছে। বন্ধ তো হচ্ছে না। এসব কিন্তু অনেক বেশি খারাপ দৃষ্টান্ত। অপরাধীরা ধরা পড়লেও আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে। আর কিশোর গ্যাং কালচারে কারা জড়াচ্ছে? নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া সন্তানরা। তাহলে নৈতিকতার কী অবস্থা! দেশের স্কুল-কলেজের অবস্থা কিন্তু খুবই খারাপ। নৈতিকতা, ম্যানার (বিনয়) শেখানো হচ্ছে না, টাকা-পয়সাই তো বড় নয়। টিকটক হৃদয় ভারতে ধরা পড়ার আগে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী করেছে? কীভাবে সে অবৈধ পন্থায় ভারতে যায়?’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আসলে সমাজে এখন তরুণ-কিশোরদের সামনে রোল মডেল (পথিকৃৎ) হিসেবে কেউ নেই। কাকে অনুসরণ করবে তরুণরা? আমার মনে হয়, আমাদের আইকনিক রোল মডেল তৈরি করতে হবে। সামাজিক অবক্ষয় রোধে জোর দিতে হবে। তা না হলে সামনে খুব খারাপ দিন অপেক্ষা করছে। আইনে পরিবর্তন আনতে হবে। খুনির বিচার খুনের আইনেই করতে হবে। কিশোর বা তরুণ বলে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। কিশোর খুনির যাবজ্জীবনকাল না হয় কেটে যাবে কিশোর সংশোধনাগারে। কিন্তু বিচার করতেই হবে। এজন্য আইনের সংশোধন যেমন জরুরি, তেমনি কঠোর প্রয়োগও জরুরি।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিশোর গ্যাং কালচার অপরাধের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ মাত্রার অপরাধ দমনে নজরদারি বাড়াতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। পাড়ায়-মহল্লায় পুলিশিং বাড়াতে হবে। তবে এটা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার কাজ নয়, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনীতির দুষ্টচক্রে নিজের স্বার্থে কেউ কিশোর গ্যাং গড়ে তুললে পুলিশের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কঠোর হস্তে তা দমন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
জেইউ/জেডএস/এমএআর/