২০২৪-এ ‘আলোচিত’ যত প্রতিবেদন

এক, দুই, তিন করে চার বছর পার করল অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা পোস্ট। দেশে যখন করোনার মহামারি চলছে, ঠিক সেই কঠিন সময়ে অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যম হিসেবে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা ঢাকা পোস্ট খুবই অল্প সময়ে পাঠকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
‘সত্যের সাথে সন্ধি’— স্লোগানটি সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানটির পথচলা। সেই পথচলার মাত্র চার বছরে বিভিন্ন প্রতিবেদনের জন্য ঢাকা পোস্ট অর্জন করেছে ৪২টি অ্যাওয়ার্ড। অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদনের জন্য এ অর্জন অন্যান্য গণমাধ্যমের জন্য সত্যিই ঈর্ষণীয়। এ ছাড়া ফেলোশিপ তো আছেই। মূলত সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের কারণে এই সাফল্য— বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাদের ভাষ্য, অন্যায়কে অন্যায় বলা, অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে আপস না করা, জনসম্পৃক্ত খাতে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ এত অল্প সময়ে ঢাকা পোস্টের বিশাল এ অর্জন। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন প্রতিবেদন নানা মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আলোড়িত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তারাও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছেন।
আর্থিক খাতের অনিয়ম নিয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ঢাকা পোস্টে। ইসলামী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনটি তৈরি করেন ঢাকা পোস্টের উপ-প্রধান প্রতিবেদক শফিকুল ইসলাম। শিরোনাম দেন ‘‘ঋণের টাকা দিতে ‘অক্ষম’ প্রতিষ্ঠানকে আবারও ঋণ দিলো ইসলামী ব্যাংক”। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকটির নির্বাহী কমিটির (ইসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে।
গত বছর ‘১৭ একর জমিতে ১১ গ্যাং, মাদক কারবারি দেড় হাজার’, ‘থানা লুটের অস্ত্রে নিয়ন্ত্রণ মাদকের কারবার!’ এবং ‘‘পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে’ প্রতিবেদন পেয়েও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ’’ শীর্ষক তিন পর্বের সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ঢাকা পোস্টে। প্রতিবেদন তিনটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই জেনেভা ক্যাম্পে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। পরে পুলিশ-র্যাবও পৃথক অভিযান পরিচালনা করে। গ্রহণ করা হয় নানা পদক্ষেপ।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, অসংগতি ও প্রতিকারের উপায় নিয়ে চার পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ঢাকা পোস্টে। জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া প্রতিবেদক আরাফাত জোবায়ের রচিত পর্ব চারটি হলো- ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ : অন্বেষণে ব্যয় কোটি টাকা, প্রতিভা যৎসামান্য’, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ : আছে আইন, নেই বাস্তবায়ন’, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ : খেলার চেয়ে নির্মাণেই মনোযোগ বেশি’, ‘এনএসসি : সুরম্য টাওয়ার, ২৩ কোটি আয়, কাটেনি ক্রীড়াঙ্গনের দুঃখ’। এনএসসি ঢাকা পোস্টের এসব প্রতিবেদন আমলে নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে। ওই কমিটিকে ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোন কোন বিষয় এনএসসি গ্রহণ করতে পারে এবং সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব তা নিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন
এ ছাড়া ‘ঢাকা মেডিকেলে ওয়ার্ড মাস্টার বানানোর হিড়িক!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ঢাকা পোস্ট। সেই প্রতিবেদনে বক্তব্য দেওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মুহাম্মদ নুরুল ইসলামকে বদলি করা হয়।
এর বাইরেও গত এক বছরে ঢাকা পোস্টের অনেক প্রতিবেদন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সেসব প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে- প্রধান প্রতিবেদক আদনান রহমানের ‘পাহাড়সম দেনা রেখে কাগজে-কলমে লাভ দেখাল বিমান!’, ‘যেসব কারণে বেড়েছে প্লেনের টিকিটের দাম’, ‘আধিপত্য ছিল আওয়ামীপন্থিদের/বিএনপির গন্ধ পেলেই ওসির তালিকা থেকে নাম বাদ’, ‘নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুন/শীতলক্ষ্যায় লাশ ফেলার কথা আগেই জানতেন জিয়াউল, জানতেন হাসিনাও!’, ‘৫ বছরে পাঁচ এমডি, বিমানের ‘ব’ বোঝার আগেই বদলি’সহ নানা প্রতিবেদন।
উপ-প্রধান প্রতিবেদক শফিকুল ইসলামের প্রকাশিত প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে– ‘এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে তিন গভর্নর’, ‘অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ/নিষিদ্ধ হয়েছিলেন, সেই চেয়ারম্যান ফিরছেন এনআরবিসি ব্যাংকে!’, ‘ছাপানো টাকা ধার নিয়ে ঋণ/ঋণের টাকা দিতে ‘অক্ষম’ প্রতিষ্ঠানকে আবারও ঋণ দিল ইসলামী ব্যাংক!’, ‘আইএফআইসির ঋণ কেলেঙ্কারি/ভুঁইফোড় ৬ প্রতিষ্ঠানের নামে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা লোপাট’সহ আরও বেশকিছু প্রতিবেদন।
সেবা খাতের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আবু সালেহ সায়াদাতের প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে– ‘‘কবর নিয়ে বাণিজ্যের রকমফের, মরদেহ এলেই হাজির ‘বকশিশ পার্টি’”, ‘‘৩৬০০ টাকা কেজির ‘রাজকীয়’ বিস্কুট খেতেন উত্তর সিটির কর্মকর্তারা!’’, ‘ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ, ফলাফল শূন্য!’সহ নানা প্রতিবেদন।
শিক্ষা বিটের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নূর মোহাম্মদের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘২ কোটিতে ভিসি, ৫০ লাখে অধ্যক্ষ পদ বিক্রি করতেন দীপু মনি’, ‘‘শিক্ষা প্রশাসন/বদলি-পদায়নে ‘আ. লীগের ভূত আতঙ্ক’, কাটাতে গোয়েন্দা নির্ভরতা’’, ‘ভুয়া চিঠিতে এমপিও’র চেষ্টা, কোটি টাকার লেনদেন’, ‘পেয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ বই ছাপার কাজ/মোস্তাফা জব্বারের ভাইয়ের ওপর আস্থা রেখেছে এনসিটিবি!’সহ নানা প্রতিবেদন।
নির্বাচন কমিশন ও পরিকল্পনা কমিশন বিটের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাঈদ রিপনের উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে– ‘‘বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘রাজনৈতিক প্রকল্প’/প্রত্যাহার হচ্ছে ৭২৩ মিলিয়ন, সহায়তার আশ্বাস ৩ বিলিয়ন’’, ‘৬ কোটি টাকার বিলে পিডি হাচানুজ্জামানের ঘুষ দুই কোটি!’, ‘মতিঝিলের মতো জায়গায় ২৪ তলা ভবন, মালিক পেল একটি ফ্লোর!’।
আরও পড়ুন
আপরাধবিষয়ক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জসীম উদ্দীনের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘৪ একর জমি কিনে ৮ একর দখলে নিল ফায়ার সার্ভিস!’, ‘গুলি লেগে নিরীহ গৃহবধূর মৃত্যু/ভোল পাল্টে বেপরোয়া ‘পল্লবীর আতঙ্ক’ আল ইসলাম, উৎকণ্ঠায় এলাকাবাসী’, ‘জেনেভা ক্যাম্প/১৭ একর জমিতে ১১ গ্যাং, মাদক কারবারি দেড় হাজার’, ‘গণহত্যা ও দমনপীড়ন : সবার মুখে এক নাম আসাদুজ্জামান খান’, ‘গুম-গল্প/১৫ বছর ধরে বিচারের বাণী কেঁদেছে নীরবে’সহ বেশকিছু প্রতিবেদন।
উচ্চ আদালতের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেদী হাসান ডালিমের প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে– ‘কানাডায় পাড়ি দিয়েছেন বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন’, ‘উচ্চ আদালতের এক রায়ে পাল্টে যায় ইতিহাস’, ‘জুডিশিয়াল ক্যুর ব্যর্থ চেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টে পরিবর্তনের হাওয়া’, ‘‘আপিল বিভাগে বিচারপতি সংকট, ঝুলে আছে ‘হেভিওয়েট’ মামলা’’সহ অনেক প্রতিবেদন।
দুর্নীতি দমন কমিশন ও এনবিআর বিটের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এফ এম আবদুর রহমান মাসুমের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে গোপন ৩০০ লকারের সন্ধান’, ‘ইসলামী ব্যাংকে লাখ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, জড়িত এস আলম ঘনিষ্ঠ ২৪’, ‘ঋণের নামে ১১১৪ কোটি টাকা ভাগাভাগি, জড়িত এস আলমের দুই ছেলে’, ‘২৪ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ৩৬ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন’, ‘৪২২ কোটি টাকার শুল্ক-কর না দিয়ে বিদেশি কোম্পানি হাওয়া’, ‘কর্মচারীদের মালিক সাজিয়ে ৩৩০০ কোটি টাকা লুট করে এস আলম গ্রুপ’সহ নানা প্রতিবেদন।
রাজনৈতিক বিটের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আদিত্য রিমনের প্রতিবেদনগুলো মধ্যে ছিল– ‘রাজনীতিতে একঘরে জাতীয় পার্টি’, ‘‘রোডম্যাপ ঘোষণা নিয়ে ধোঁয়াশা, সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে ‘সন্দেহ’’, ‘‘পাল্টি খাওয়া’ জাতীয় পার্টির ১৫ বছর’’, ‘‘দলের জিরো টলারেন্স নীতি সত্ত্বেও/নানা ‘অপরাধে’ জড়িয়ে পড়ছে বিএনপির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল’’, ‘‘দৃশ্যমান প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও ‘অজানা আতঙ্ক’ বিএনপিতে’’সহ নানা প্রতিবেদন।
সচিবালয় বিটের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহাদাত হোসেনের (রাকিব) প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়া সরকারি কর্মচারীদের খুঁজছে মন্ত্রণালয়’, ‘‘কাজ হবে না তদবিরে, ৩ কমিটির সিদ্ধান্তে ‘নিয়োগ-বদলি’’, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে বদলির তদবির করাচ্ছেন ভূমির কর্মচারীরা’, ‘সচিব পদে যোগ্য কর্মকর্তা খুঁজে পাচ্ছে না জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়’, ‘সরকারি কর্মচারী/বিধিমালা তোয়াক্কা করেন না, সম্পদের হিসাবও দেন না তারা’সহ নানা প্রতিবেদন।
স্বাস্থ্য বিটের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তানভীরুল ইসলামের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘আলোচনায় বিএসএমএমইউ/শারফুদ্দিনে শুরু, একে একে স্বাচিপ সিন্ডিকেটের পতন’, ‘মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/চিকিৎসা নিতে এসে উল্টো ডেঙ্গু সংক্রমণের আতঙ্ক!’, ‘‘অনিয়ম-দুর্নীতি আর ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ তকমা নিয়েও তিনি শীর্ষ কর্তা!’, ‘‘চিকিৎসকদের ওপর হামলা : নীরবে ‘অন্য খেলায়’ নেমেছেন স্বাচিপপন্থিরা’’, ‘‘বিএসএমএমইউ/সাবেক ভিসির অনিয়মে ‘অকাজের কাজি’ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল’’সহ অন্য প্রতিবেদন।
যোগাযোগ বিটের প্রতিবেদক হাসনাত নাঈমের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছে রেল, থেমে যায় ইঞ্জিন, ঝামেলা ব্রেকেও’, ‘একেক গাড়ির একেক গতি!/সড়কে বিশৃঙ্খলার নতুন আয়োজন’, ‘পরিবহন খাতে নৈরাজ্য/এনায়েত উল্যাহর ইশারায় বাস চলত, বন্ধ হতো’, ‘বাংলাদেশের রেলপথ ভারতের ব্যবহার, লাভ কার?’, ‘হাতবদলে প্রায় দেড় গুণ দাম বৃদ্ধি, ডিমের লাভ খাচ্ছে কারা?’, ‘সড়কের বিটুমিন গলছে কেন?, ‘‘শুরুতেই ‘বৈকল্যে’র জটিলতায় ট্রেনের সিসি ক্যামেরা’’সহ নানা প্রতিবেদন।
অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক মনি আচার্য্যের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘‘সামাজিক ‘নেটওয়ার্ক’ হারিয়েছে পুলিশ’’, ‘‘গায়ের সুযোগ’ নিয়ে মাদকের কারবার, নেতৃত্বে নারী!’’, ‘‘স্পট : কারওয়ান বাজার সিগন্যাল/গুগল ম্যাপে লেখা ‘এখানে মোবাইল চুরি হয়’, রহস্য কী?’’, ‘সনদ বাণিজ্যে জড়িত বহু রাঘব-বোয়াল’সহ নানা প্রতিবেদন।
কূটনৈতিক প্রতিবেদক নজরুল ইসলামের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘‘কূটনীতিকপাড়ায় সমালোচনা/পেশাদার কূটনীতিকের অপেশাদারিত্ব, উপদেষ্টার ‘তদবির’!’’, ‘ট্রাম্প শাসনামলে বাংলাদেশ নিয়ে প্রভাব খাটাতে পারবে ভারত?’, ‘‘বাংলাদেশ নিয়ে বেইজিংয়ের ‘অতি আগ্রহ’, দিল্লির জন্য কীসের ‘ইঙ্গিত’’, ‘‘সিসার ‘অভিশাপ’ চক্রে শিশুর ‘জীবন’’, ‘ট্রাম্পের রাডারে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় হতে পারে?’, ‘পিটার হাসের ঢাকা মিশন সফল নাকি ব্যর্থ ছিল?’সহ নানা প্রতিবেদন।
রাজনৈতিক বিটের প্রতিবেদক সাইফুল ইসলামের প্রতিবেদনগুলো মধ্যে ছিল– ‘‘নির্বাচন’ ও ‘নিরপেক্ষ সরকার’ নিয়ে বাহাস, কীসের ইঙ্গিত’’, ‘‘এই বুঝি বাবা এলো’, অপেক্ষা করতে করতে বিপর্যস্ত ওরা’’, ‘‘প্রশ্ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের/সুবিধাভোগী ‘ব্যবসায়ী এমপিরা’ এখন কোথায়?’’, ‘ওরা আওয়ামী লীগরে গিলে খাইছে’, ‘‘আ.লীগের ৩০ শতাংশ কর্মী খেয়েছে চব্বিশের ‘ডামি নির্বাচন’’সহ নানা প্রতিবেদন।
সচিবালয় বিটের প্রতিবেদক মুছা মল্লিকের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে ‘ষড়যন্ত্র’, দায় কার?’, ‘আলোর মুখ দেখে না মন্ত্রণালয়ে দায়ের করা অভিযোগ’, ‘‘পুলিশে ‘সত্যিকারের’ সংস্কারের অপেক্ষা’’, ‘‘দক্ষতা বাড়াতে’ বিদেশ যেতে চান ১১০৬ কর্মকর্তা, ব্যয় ১২০ কোটি টাকা’সহ নানা প্রতিবেদন।
জ্বালানি বিটের প্রতিবেদক ওমর ফারুকের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি পিডিবির’, ‘রয়েছে সামিট-এস আলমও/পিডিবির কাছে বিদ্যুৎ বিক্রিতে সর্বোচ্চ লাভ আদানির’, ‘বিদেশে থাকা কর্মকর্তাকে বাঁচাতে মরিয়া ডিপিডিসির সোনা মনি!’, ‘বাজারে নৈরাজ্য চলছে জানে সবাই, এলপি গ্যাসের ভূত তাহলে তাড়াবে কে?’সহ অনেক প্রতিবেদন।
নিম্ন আদালত বিটের প্রতিবেদক নাইমুর রহমান নাবিলের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘বিচার নিয়ে এখনও অন্ধকারে সাগর-রুনির পরিবার’, মতিঝিলে গুলি করে কর্মচারী হত্যা : ৮ বছরেও শুরু হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ, ‘‘আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় ‘সাজানো’ মামলার প্রস্তুতি/‘১০ লাখ টাকা দিলে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে’’, ‘আক্তারুজ্জামান শাহীনের নির্দেশনা/কোনোভাবেই যেন কাজটা মিস না হয়, প্রমাণ যেন না থাকে’সহ নানা প্রতিবেদন।
তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিবেদক রাকিবুল হাসান তামিমের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘সাত কলেজে অব্যবস্থাপনা, উইপোকা খাচ্ছে ওএমআর খাতা’, ‘‘ইউএনডিপিকে ‘ঘোল খাইয়ে’ ৩ দফায় ভর্তুকি লুটেছেন ব্রামার আসাদ’’, ‘‘নজিরবিহীন ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, নন্দিত-নিন্দিত ‘পলক’’, ‘‘ভারতের মিডিয়ার কাণ্ড/বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা, গুজবের ফ্যাক্টরি ‘ময়ূখ রঞ্জন’’, ‘এসি মেরামতে নয়-ছয়/সিলিন্ডারের রং পাল্টে ঢুকানো হচ্ছে নিম্ন মানের গ্যাস’, ‘নকল এসির কম্প্রেসারে ব্র্যান্ডের স্টিকার/ঘরে ঘরে পেতে রাখা হচ্ছে বোমা’সহ অনেক প্রতিবেদন।
এএসএস/এসএসএইচ