বঞ্চিত শিশু-প্রবীণদের আশ্রয়স্থল ‘আমাদের বাড়ি’

দেশে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে একক পরিবারের সংখ্যা। স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে ‘ছোট সংসার’ সাজাতে গিয়ে পরিবারের খাতা থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছেন বয়স্ক বাবা-মা বা দাদা-দাদির নাম। এদিকে, জীবনযাত্রা নামক করুণ বাস্তবতায় ভিড় বাড়ছে বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে। আলস্যের এই শেষ সময়ে প্রিয়জনের ‘অপ্রিয়’ হয়ে ওঠার ভয়ে অনেকে নিজেই খুঁজে নিচ্ছেন আলাদা একটি ঠিকানা। অন্যদিকে, দেশের জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সংখ্যা। বঞ্চিত এসব শিশুর জন্য যেসব এতিমখানা বা শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আছে, সেগুলোতেও যথাযথ শিক্ষা ও সুস্বাস্থ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা।
একদিকে পরিবারে অবহেলিত প্রবীণ, অন্যদিকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুরক্ষা— এ দুই শ্রেণির মানুষদের জন্য ব্যতিক্রমী এক আয়োজনের নাম ‘আমাদের বাড়ি’। যেখানে বয়স্ক ও শিশুদের সমন্বিত আবাসনের পাশাপাশি শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থা। শিশুদের শিক্ষায় রয়েছে নিজস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে পড়াশোনা আর খেলাধুলা নিয়েই দিন কাটে তাদের। কর্মক্ষমদের জন্য রয়েছে হাতে-কলমে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, বেকার যুবক-যুবতীদের স্বাবলম্বী করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ব্যতিক্রমী নিবাসটি গড়ে উঠেছে দেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. এম এ রশীদের হাত ধরে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জিএমএসএস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নিবাসটি নির্মিত হয়। যার অবস্থান যশোর শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার নাটুয়াপাড়া গ্রামে। মনোরম গ্রামীণ পরিবেশে প্রায় দুই একর জমির ওপর চার তলাবিশিষ্ট আশ্রমটিতে একসঙ্গে বসবাস করতে পারেন ১৫০ জন সদস্য। তৎকালীন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এটির উদ্বোধন করেন। পরে নিবাসটির সার্বিক কার্যক্রম ফাউন্ডেশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
একদিকে পরিবারে অবহেলিত প্রবীণ, অন্যদিকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুরক্ষা— এ দুই শ্রেণির মানুষদের জন্য ব্যতিক্রমী এক আয়োজনের নাম ‘আমাদের বাড়ি’। যেখানে বয়স্ক ও শিশুদের সমন্বিত আবাসনের পাশাপাশি শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থা

আশ্রমের নাম কেন ‘আমাদের বাড়ি’
আশ্রম সংশ্লিষ্টরা জানান, এখানে বসবাসরত শিশু ও প্রবীণরা যেন কোনোভাবেই বৃদ্ধাশ্রম বা এতিমখানায় আছেন— এমনটি মনে না হয়, সেজন্য ব্যতিক্রমী নিবাসটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আমাদের বাড়ি’। বিলাসবহুল নিবাসটিকে তারা নিজেদের বাড়ি বলেই সম্বোধন করতে পারেন।
প্রতিষ্ঠানটির কেয়ারটেকার জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে যারা বসবাস করেন, তাদের প্রত্যেকেই এটিকে নিজের বাড়ি বলে মনে করেন। কারও মনে কোনো সংকোচ বা কষ্ট যেন না থাকে, সেজন্য স্যার (এম এ রশিদ) এটির নাম দিয়েছেন আমাদের বাড়ি। অর্থাৎ এখানে যারাই থাকবেন, তাদেরই বাড়ি হবে এটি।’
‘স্যার চাইলে ব্যক্তিগত চেম্বার আর সংসার নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পারতেন। কিন্তু তা না করে একদিকে কিছু মানুষের বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন, আবার আমাদের মতো অসংখ্য মানুষের একটা কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি করেছেন। এমনকি এই প্রবীণ ও শিশুনিবাসটির কারণে হৈবতপুর ইউনিয়নের রাস্তাঘাটও উন্নত হয়েছে।’

আমাদের বাড়িতে কাদের বসবাস, থাকার প্রক্রিয়া কী
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রবীণ ও শিশুনিবাসটিতে কিছু সদস্য আছেন যারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং কিছু সদস্য নামমাত্র মূল্যে এখানে বসবাস করেন। একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির মানুষ এই নিবাসে আর্থিক সহায়তা করেন। যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়মানুসারে সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করা হয়।
‘আমাদের বাড়ি’ গঠনের কারণ, সমাজের অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত এবং দুস্থ প্রবীণ ও শিশুদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করা। যেখানে স্নেহ-ভালোবাসা, শিক্ষা, যথাযথ যত্ন, পরিচর্যা, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য মৌলিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি পারিবারিক বন্ধন তৈরি করা। এখানে থাকা দরিদ্র ও অসহায় শিশুরা সম্পূর্ণ পারিবারিক পরিবেশে বসবাস করে। বয়স্ক যারা আছেন, তারাও শিশুদের নাতি-নাতনির মতো স্নেহ-মমতা ও ভালোবাসা দেন। যে কারণে বসবাসকারীরা নিজের বাড়িতে থাকার মতো পরিবেশ উপভোগ করেন
আরও দেখা গেছে, নিবাসটিতে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হয়েছে। রয়েছে সরাসরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। আছে সুইমিং পুল, গবাদি পশুপালন, হাঁস-মুরগির খামার ও মাছচাষ কার্যক্রম। বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী করার জন্য হস্ত ও তাঁতশিল্পের কার্যক্রম এবং কম্পিউটারসহ কারিগরি নানা প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয় আমাদের বাড়ি নিবাসটিতে।
আরও পড়ুন
সংশ্লিষ্টরা জানান, আমাদের বাড়ি প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- সমাজের অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত এবং দুস্থ প্রবীণ ও শিশুদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করা। যেখানে স্নেহ-ভালোবাসা, শিক্ষা, যথাযথ যত্ন, পরিচর্যা, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য মৌলিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি পারিবারিক বন্ধন তৈরি করা। এখানে থাকা দরিদ্র ও অসহায় শিশুরা সম্পূর্ণ পারিবারিক পরিবেশে বসবাস করে। বয়স্ক যারা আছেন, তারাও শিশুদের নাতি-নাতনির মতো স্নেহ-মমতা ও ভালোবাসা দেন। যে কারণে বসবাসকারীরা নিজের বাড়িতে থাকার মতো পরিবেশ উপভোগ করেন।

আমাদের বাড়ি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিয়ার রহমান বলেন, যারা আমাদের বাড়িতে বসবাস করবেন তারা নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী ক্ষেত-খামার, বিভিন্ন প্রকার কৃষিকাজ, মাছচাষ ও হাঁস-মুরগী পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন। নিজেদের শাক-সবজি নিজেরাই উৎপাদন করবেন। অর্থাৎ দৈনন্দিন খাদ্যপণ্য উৎপাদনে তারা সক্ষমতা অর্জন করবেন। এমনকি উৎপাদিত উদ্বৃত্ত পণ্য বিক্রি করে সেই অর্থ আরও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় করতে পারবেন।
বঞ্চিত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা-প্রশিক্ষণের সুযোগ
আমাদের বাড়ি প্রকল্পটির পাশেই রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আব্দুল গফুর মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মরিয়ম বিবি মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, ড. রওশান আলী প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়। নিবাসে বসবাসরত শিশুদের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এমনকি মেধা অনুসারে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়ে থাকে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
দেড় বছর ধরে আমাদের বাড়িতে বসবাস শিশু রাকিবুল ইসলামের। আব্দুল গফুর মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এই শিশু বলেন, স্যারেরা খুবই ভালো। স্কুলে আমাদের পড়ায়, এখানেও (আমাদের বাড়ি) পড়ায়। সবাই খুবই আদর করে।

শিশু রাকিব প্রসঙ্গে কেয়ারটেকার জালাল উদ্দিন বলেন, ওর বাড়ি আমাদের পাশের গ্রামে। ওর বাবা-মা কেউ নেই। থাকত নানার বাড়িতে। মামারা তাকে এখানে দিয়ে গেছে। দেড় বছর ধরে এখানে থাকে, এখানেই পড়াশোনা করে।
‘নিবাসে বয়স্ক লোকজন থাকায় শিশুরা খুবই আনন্দ পায়। তাদের দাদা-নানা বলে ডাকে। বয়স্ক যারা আছেন, তারাও আদর করেন। নিজেদের নাতি-নাতনির মতো দেখেন। শিশুদের পড়াশোনার বিষয়েও তারাও সহযোগিতা করেন।’
নিবাসে থাকা শিশুদের নিয়ে আতিয়ার রহমান জানান, আমাদের সমাজে শিশুদের বড় একটি অংশ অবহেলিত। তাদের আমরা অনাথ বা এতিম বলছি না। যথাযথ সুবিধার অভাবে তারা মাদকাসক্তসহ নানা নৈতিক অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। তাদের এখানে নিয়ে এসে যত্নের সঙ্গে গড়ে তোলা হয়, যেন তারা বিপথগামী হতে না পারে।

‘এখানে তারা শুধু থাকবে, ঘুমাবে আর খাবে; ব্যাপারটা এমনও নয়। এই কম্পাউন্ডের চারপাশ জুড়ে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুল, মহিলা মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেখানে তারা লেখাপড়া শিখতে পারবে।’
মনে হয় নিজের বাড়িতে আছি
গত এক বছর ধরে আমাদের বাড়ি নিবাসে বসবাস করছেন আলতাফ হোসেন বকুল (৬৫)। তিনি এসেছেন খুলনা স্টেশন রোড থেকে। প্রতি মাসে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা সুবিধাও মিলছে তার। ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখানে আসার পর থেকে মনে হয়েছে এটি আমারই বাড়ি। প্রত্যেকে খুবই হেল্পফুল। ক্ষেতের সবুজ শাক-সবজি, পুকুরে মাছ— কী নেই এখানে? সবধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসা সুবিধাটাও পাচ্ছি। এর আগে কিছুদিন বৃদ্ধাশ্রমে ছিলাম। তবে, এমন ভালো পরিবেশ আর সুবিধা কোথাও নেই।
‘আমার মতো এখানে অসংখ্য মানুষ আছেন, যারা এই শীতে এসেছেন। সকালের রোদে বসে সবাই মিলে আড্ডা দেই, গল্প করি। বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করে, খেলাধুলা করে। তারা আমাদের নানা-দাদা বলে ডাকে। এগুলো আমাদের খুবই আনন্দ দেয়।’

আলতাফ হোসেন আরও বলেন, ‘ডা. এম এ রশীদ সাহেব নিয়মিত এখানে আসেন। আমাদের খোঁজখবর নেন। তিনি ঢাকা থেকে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও নিয়ে আসেন। তারা এখানে এসে দিনব্যাপী বিনামূল্যে সেবা দেন। আমাদের মতো বঞ্চিত মানুষদের জন্য এমন সুযোগ তৈরি করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
আরও পড়ুন
৬০ বছর বয়সী শিল্পী বেগম বলেন, ‘আমার দুই ছেলে। তারা এখনও অবিবাহিত, কাতারে বসবাস করে। ঢাকার মিরপুরে আমার বাড়ি আছে। কিন্তু এই বয়সে আমি একা বাঁচব কী নিয়ে? আমি এখানে একজন পেয়িং বর্ডার হিসেবে থাকি। যখন ছেলেরা দেশে আসবে এবং তাদের নিজস্ব পরিবার হবে, তখন আমি চলে যাব।’
এমন মহতী উদ্যোগের পেছনের গল্প
মহতী এমন উদ্যোগের পেছনের গল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের বাড়ি প্রকল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা অধ্যাপক ডা. এম এ রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার কাছে নিয়মিত প্রবীণ নাগরিকেরা আসতেন। এই বয়সে এসে তাদের দুর্দশাগুলো আমি দীর্ঘদিন ধরে দেখছি। হঠাৎ মনে হলো, আমি নিজেও তো এখন প্রবীণের কাতারে চলে এসেছি। আমার বয়সী এই মানুষগুলোর জন্য কিছু করা প্রয়োজন। তখনই পরিকল্পনা শুরু এবং একপর্যায়ে এসে এটির বাস্তবায়ন হয়।

“অনাথ আশ্রম বা বৃদ্ধাশ্রম নামকরণের মধ্য দিয়ে মানুষকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল করে দেওয়া হয়। এজন্য ‘আমাদের বাড়ি’ নামকরণ করা। এখানে যারা থাকেন তারা এটিকে নিজের বাড়ি বলে মনে করেন। সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে ব্যতিক্রমী এই নিবাস। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, গরু ও মাছের খামার, হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ, ব্যায়ামাগার আছে। প্রবীণরা এখানে থেকে এসব কাজে যুক্ত হতে পারবেন। এর চারপাশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহিলা মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। সেখানে শিশুরা পড়ালেখা করতে পারবে। স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”
অধ্যাপক এম এ রশিদ বলেন, যারা সক্ষম তাদের জন্য এখানে কৃষিকাজ, বাগান করা, পোলট্রি, গরু-ছাগলের খামার, মাছচাষের মতো কাজে যুক্ত থাকার সুযোগ আছে। শরীরচর্চা, প্রাথমিক চিকিৎসাসেবার সব ধরনের সুবিধা আমাদের বাড়িতে আছে। এমনকি ইসিজি, এক্সরেসহ প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, বার্ষিক স্বাস্থ্য চেকআপ, জরুরি প্রয়োজনে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে শহরের দুটি হাসপাতালের সঙ্গে করা চুক্তির আলোকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া ছোট-বড় সবার জন্য রয়েছে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ডা. এম এ রশীদ বলেন, ‘প্রকল্পটি পরিচালনায় প্রতি মাসে আমাকে সাত থেকে আট লাখ টাকা গুনতে হয়। এক্ষেত্রে আমি আমার পৈত্রিক জমি এই প্রকল্পে দিয়ে দিয়েছি। বাইরে থেকেও অনেকে সাহায্য-সহযোগিতা করছেন। এটি সম্পূর্ণ অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এ কারণে এখানে দেওয়া সহায়তার অর্থ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত।’
টিআই/