বিধ্বস্ত সড়কের যাতনায় মুগদাবাসী
সড়কে বড় বড় গর্ত; পাশেই রাখা পাইপ, ভেকু মেশিন, ছোট-বড় নির্মাণযন্ত্র। কোথাও কাদাপানি, ভেঙে ফেলা দোকান-বাড়ির অংশবিশেষ। যানবাহন চলাচল বন্ধ, কখনও মানুষের লাফিয়ে লাফিয়ে চলা, আবার কখনও খুব সাবধানে সড়কের কোনো অংশে পা ফেলে কোনোমতে পেরিয়ে যাওয়া।
এটি রাজধানীর মুগদা এলাকার সড়কের বর্তমান চিত্র। প্রায় দুই মাস ধরে এই এলাকার মানুষ বিধ্বস্ত সড়কের এমন যাতনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। সংস্কার কাজের কারণে বন্ধ থাকা মুগদা-মান্ডা সড়কটির বেহাল দশার সঙ্গে বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে কাজের ধীরগতি। অবশ্য, স্বাভাবিক সময়ে নিত্যদিনের যানজট আর বর্ষা মৌসুমে জমে থাকা পানির দুর্ভোগ নিয়ে মাত্র ১৭ ফুটের এই রাস্তা ঘিরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের।
মুগদা বিশ্বরোড থেকে মান্ডা ব্রিজ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। ব্যাংক, অফিসপাড়াখ্যাত মতিঝিল খুব কাছে হওয়ায় বিপুল সংখ্যক মানুষের বসবাস এই এলাকায়। পাশেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। যে কারণে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় এই সড়কে নামে মানুষের ঢল।
সড়কে বড় বড় গর্ত; পাশেই রাখা পাইপ, ভেকু মেশিন, ছোট-বড় নির্মাণযন্ত্র। কোথাও কাদাপানি, ভেঙে ফেলা দোকান-বাড়ির অংশবিশেষ। যানবাহন চলাচল বন্ধ, কখনও মানুষের লাফিয়ে লাফিয়ে চলা, আবার কখনও খুব সাবধানে সড়কের কোনো অংশে পা ফেলে কোনোমতে পেরিয়ে যাওয়া। এটি রাজধানীর মুগদা এলাকার সড়কের বর্তমান চিত্র
এলাকাবাসীর এসব সমস্যার কথা মাথায় রেখে রাস্তা প্রশস্ত করতে মাঠে নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। রাজউকের সহযোগিতায় গত এপ্রিল মাসে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেই সময় রাস্তার দুই পাশের অবৈধ দোকান, স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। লক্ষ্য ১৭ ফুটের রাস্তা প্রশস্ত করে ৫০ ফুট করা। যেখানে ৪০ ফুট থাকবে মূল সড়ক। আর দুই পাশে পাঁচ ফুট করে ফুটপাত নির্মাণ করা হবে।
এ লক্ষ্যে শুরু হয় সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রথমে ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য রাস্তার নিচে বড় পরিসরে ড্রেন নির্মাণের জন্য রাস্তা খুঁড়ে ফেলা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মেয়র-কাউন্সিলর অপসারণের কারণে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়ে। এর মধ্যে নতুনভাবে ফের কাজ শুরু হলেও ধীরগতির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বাসিন্দারা। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যান চলাচল, এমনকি চলছে না রিকশাও। খানাখন্দ, বড় বড় গর্ত, আবার গর্তের মাটি তুলে সড়কের অন্য অংশে ফেলে রাখা; সবমিলিয়ে যাতনার মধ্য দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে এলাকার মানুষদের।
বাসিন্দাদের ক্ষোভ, সংশ্লিষ্টদের আশ্বাস
দীর্ঘ সময় ধরে সড়কের এমন বেহাল দশায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। তারা বারবার দাবি জানিয়ে বলছেন, দ্রুত যেন সড়কটির কাজ শেষ করা হয়।
মুগদা বিশ্বরোড থেকে মান্ডা ব্রিজ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। ব্যাংক, অফিসপাড়াখ্যাত মতিঝিল খুব কাছে হওয়ায় বিপুল সংখ্যক মানুষের বসবাস এই এলাকায়। পাশেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। যে কারণে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় এই সড়কে নামে মানুষের ঢল
মুগদার স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ আলম সড়কটির বর্ণনা দিয়ে বলেন, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সড়কের এমন বেহাল দশা করে রাখা হয়েছে। চলাচলের কোনো উপায় নেই। কোনোভাবেই চলাচল করা যায় না। খুব বিপদের মধ্যে আছেন এই এলাকার বাসিন্দারা। পুরো রাস্তাজুড়ে বড় বড় গর্ত করে রাখা হয়েছে। মানুষের সমান পাইপ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ভেকু মেশিন, বড় বড় যন্ত্র রাখা হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগের দিকে না তাকিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সিটি কর্পোরেশন সড়কের কাজ করে যাচ্ছে।
মতিঝিলে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন নিক্সন আহমেদ। পরিবারসহ মুগদা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। সড়কটির বেহাল দশা বর্ণনা করে তিনি বলেন, এই সড়কে এখন কোনো যানবাহন চলাচল করে না। আমরা যারা এই এলাকায় বসবাস করি তাদের প্রতিদিন খুব কষ্টে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তা এত খোঁড়াখুঁড়ি করা যে চলাচল করতে গেলে লাফ দিয়ে যেতে হয়। কাদা পানি তো আছেই। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের এমন অবস্থা তবুও কাজ শেষ করার নাম নেই। আমরা এলাকাবাসী রীতিমতো বিরক্ত। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার সিটি কর্পোরেশনের কাছে জানানো হয়েছে দ্রুত কাজটি শেষ করার জন্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই পড়ে আছে সড়কটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তাটি খুঁড়ে নিচে পাইপ বসানোর কাজ করছেন কিছু শ্রমিক। সেখানে কাজ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সুপারভাইজার নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের নির্দেশনা রয়েছে দ্রুত এই সড়কের কাজ সম্পন্ন করার জন্য। সেই কারণে অতিরিক্ত জনবলের মাধ্যমে সড়কটির কাজ চলমান রয়েছে। প্রথমে ড্রেনেজ লাইনের কাজ শেষ করা হবে। পরে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এখন কাজ চলমান থাকায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে ঠিকই, তবে সড়ক নির্মাণ শেষে এর সুফল এলাকাবাসীই ভোগ করবেন।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক নজরুল ইসলাম বলেন, খুব দ্রুত কাজটি শেষ করে জনসাধারণের নির্বিঘ্নে চলাচলের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী আমাদের কাজ চলছে। এ ছাড়া আমাদের অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর কাজও দ্রুত শেষ করা হবে।
ব্যবসার বারোটা, বাসা ছাড়ছেন ভাড়াটিয়ারা
দীর্ঘদিন ধরে সড়কটিতে নির্মাণকাজ চলমান থাকায় দুই পাশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবসায় ধস নেমেছে। ক্ষোভ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে বিরক্ত ভাড়াটিয়ারাও। বেশিরভাগ বাসায় ‘টু লেট’ লেখা ঝুলতে দেখা গেছে। এমন বিড়ম্বনা এড়াতে ভাড়াটিয়ারা বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
সড়কের পাশেই একটি কাপড়ের দোকানের মালিক এরশাদ আলী বলেন, আজ প্রায় দুই মাস ধরে ব্যবসার খুব খারাপ অবস্থা। এমন দিনও আছে যে কোনো বিক্রি হয়নি। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার মতো এই এলাকা হয়েছে। রাস্তায় বড় বড় গর্ত, কাদাপানি, যানযন্ত্র, পাইপ। মানুষ হেঁটেই যেতে পারে না, কেনাকাটা করবে কীভাবে? দুই মাস ধরে ঘর থেকে টাকা এনে দোকান ভাড়া দিতে হচ্ছে। এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে ব্যবসা ছেড়ে দেওয়া ছাড়া কোনো গতি থাকবে না। আমার মতো একই অবস্থা রাস্তার দুই পাশের শত শত দোকানদারের। আমরা চাই দ্রুত সড়কটির কাজ শেষ করে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার সুযোগ করে দেওয়া।
মুগদা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও পাঁচতলা একটি বাড়ির মালিক মোখলেছুর রহমান। তিনি বলেন, খুব কাছের এলাকা হওয়ায় মতিঝিল অফিস পাড়ার অনেক চাকরিজীবী মুগদা এলাকায় থাকেন। বিগত সময়ে কখনও আমার বাসার কোনো ফ্ল্যাট ফাঁকা থাকেনি। কিন্তু গত দুই-তিন মাস ধরে এই সড়কের কাজ চলমান থাকায় মানুষ যাতায়াতও ঠিকমতো করতে পারছে না। তাই অনেকেই এই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে যাচ্ছেন। নতুন মাসে আমার ছয়টি ফ্ল্যাটের জন্য টু লেট টানিয়েছি। সড়ক নিয়ে মানুষের এমন বিড়ম্বনার কারণে ভাড়াটিয়ারা এলাকা ছাড়ছেন। তাই এই এলাকার বাসার ফ্ল্যাট ফাঁকা পড়ে আছে, ভাড়াটিয়া পাচ্ছেন না বাসার মালিকেরা।
দীর্ঘদিন ধরে মুগদা ব্রিজের পাশের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাজিম উদ্দিন। তিনি চলতি মাসে বাসার মালিককে জানিয়ে দিয়েছেন যে, সামনের মাসে বাসা ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে যাবেন। এ বিষয়ে নাজিম উদ্দিন বলেন, সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে যাতায়াত করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। যে কারণে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বাসাবোতে বাসা ভাড়া নিয়েছি। আমার মতো অনেক ভাড়াটিয়া এই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে যাচ্ছেন। মূলত দীর্ঘদিন ধরে সড়ক নষ্ট থাকায় ভাড়াটিয়ারা এই এলাকা ছাড়ছেন।
ভিন্ন পথে চলছে যানবাহন
মূলত মুগদা বিশ্বরোড থেকে মুগদা-মান্ডা ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা হওয়ায় এটি এড়িয়ে চলছে লেগুনা, সিএনজি, অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার। চালকেরা সড়কটি এড়িয়ে দীর্ঘপথ ঘুরে মানিকনগর ঘুরে মান্ডার দিকে যাচ্ছেন। এ ছাড়া মুগদা মেডিকেলের সামনে দিয়েও কিছু কিছু যানবাহন মান্ডার দিকে যাচ্ছে।
দীর্ঘদিন এই সড়কে অটোরিকশা চালান মাসুদ রানা। তিনি বলেন, এখন মুগদা বিশ্বরোড থেকে মান্ডার দিকে যাওয়ার জন্য মানিকনগর ঘুরে যেতে হচ্ছে। দীর্ঘ আর ঘোরাপথ হওয়ায় আগের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা কমেছে। আয় কমে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে কষ্টে দিনপার করতে হচ্ছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক মোবারক হোসেন বলেন, বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে মান্ডার দিকে যেতে হয়। মুগদার রাস্তা বন্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। আমরা যাত্রী পাই না, অনেক ঘুরে যেতে হয়। রাস্তাটি খারাপ হওয়ায় অনেকে হেঁটেই পার হচ্ছেন।
যেমন হবে সড়কটি
মুগদা সড়কটি সরু হওয়ায় এটি নিয়ে এলাকাবাসীর ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। অবশেষে সড়কটি প্রশস্ত করার পরিকল্পনা নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ২০১৯ সালের দিকে মান্ডা ব্রিজ থেকে গ্রিন মডেল টাউন পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের কোথাও ৫০ ফুট, কোথাও ১০০ ফুট প্রশস্ত করে ডিএসসিসি। একইভাবে প্রশস্তকরণের কাজ চালিয়ে যেতে চেয়েছিল সংস্থাটি। তবে, বাধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় জমিরমালিকেরা। তারা জায়গা ছাড়তে রাজি হননি।
মুগদা সড়কটি সরু হওয়ায় এটি নিয়ে এলাকাবাসীর ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। অবশেষে সড়কটি প্রশস্ত করার পরিকল্পনা নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ২০১৯ সালের দিকে মান্ডা ব্রিজ থেকে গ্রিন মডেল টাউন পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের কোথাও ৫০ ফুট, কোথাও ১০০ ফুট প্রশস্ত করে ডিএসসিসি। একইভাবে প্রশস্তকরণের কাজ চালিয়ে যেতে চেয়েছিল সংস্থাটি। তবে, বাধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় জমিরমালিকেরা। তারা জয়গা ছাড়তে রাজি হননি
একপর্যায়ে সড়কটির দুই পাশের দোকান ও বাড়িগুলোর কিছু অংশ ভেঙে দেয় সংস্থাটি। তাদের লক্ষ্য ১৭ ফুটের সড়কটি ৫০ ফুটে আনা। যেখানে ৪০ ফুট মূল সড়ক, আর দুই পাশে পাঁচ ফুট করে ফুটপাত নির্মাণ করা।
ড্যাপের নকশা অনুযায়ী, মুগদার প্রধান সড়ক বিশ্বরোড থেকে মান্ডা ব্রিজ বা হায়দার আলী বিদ্যালয় পর্যন্ত বিদ্যমান সড়কটি ৫০ ফুট প্রশস্ত করা। সেই লক্ষ্যে সড়কের উভয় পাশের স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করে ভবনমালিকদের নোটিশ দেয় ডিএসসিসি। বর্তমানে সড়কের প্রশস্ততা রয়েছে গড়ে ১৭ ফুট। সড়কের উভয় পাশে পাঁচ ফুট করে ১০ ফুট ফুটপাত এবং দুই সারির (ডবল লেন) ৪০ ফুট মূল সড়ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এখানে কাজ চলমান।
মুগদা হাসপাতালের সামনের সড়কেও বেহাল দশা
মুগদা বিশ্বরোড মুগদা-মান্ডা ব্রিজ পর্যন্ত চলছে কাজ, যে কারণে এই পথে যানচলাচল বন্ধ আছে। পাশেই মুগদা মেডিকেল কলেজের সামনের সড়কেও বেহাল দশা। এখানে নির্মাণকাজ না চললেও সড়কটি যাতায়াতে প্রায় অনুপযোগী অবস্থায় আছে। হাসপাতালের মূল ফটক হওয়ায় এই সড়কে প্রচুর যানবাহন আর মানুষের যাতায়াত।
হাসপাতালটির প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি দোকানের মালিক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, মুগদার ওই সড়কে কাজ চলছে। ফলে সেখানে যানচলাচল বন্ধ আছে। হাসপাতালের সামনের সড়কটি অনেক দিন ধরে ভাঙা। গর্ত, খানাখন্দে ভরা। রাস্তার পিচঢালা অংশ অনেক আগে উঠে গেছে। এখন এটি মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে। আর ওই রাস্তা বন্ধ থাকায় হাসপাতালের সামনের রাস্তার ওপর চাপ বেড়েছে। দ্রুত এই রাস্তার কাজ শেষ করা উচিত। তা না হলে মানুষের ভোগান্তি শেষ হবে না।
এএসএস/জেডএস