কোটায় বদলেছে কারিকুলাম, পরীক্ষা বাতিল-সাত কলেজে অস্বস্তি
২০২৪, বাংলাদেশের ইতিহাসে ঘটনাবহুল একটি বছর। নজিরবিহীন নানা ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকবে বছরটি। বিশেষ করে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। অবসান হয় প্রায় ১৬ বছরের ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার। মূলত ওই গণঅভ্যুত্থানের সূত্রপাত হয় দেশের বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গন থেকে।
জুলাই মাসের শুরুর দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। আন্দোলনের মুখে একপর্যায়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গঠিত হয় নতুন সরকার।
নতুন গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে শিক্ষা খাতের দায়িত্ব পান ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তার নেতৃত্বে নতুন কারিকুলাম বাতিলসহ এ খাতে বেশকিছু সিদ্ধান্ত আসে। এসব সিদ্ধান্ত যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনি এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে। এর বাইরে সরকারের সিদ্ধান্তে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে ব্যক্তি ও এক পরিবারের বন্দনা। যুক্ত হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি।
আরও পড়ুন
যেভাবে শুরু কোটা আন্দোলন
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে উত্তাল হতে থাকে দেশের শিক্ষাঙ্গন। সরকার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও শিক্ষার্থীদের আস্থা ছিল না। ১ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের সূচনা হয়। বিক্ষোভ হয় ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা করেন ছাত্ররা।
এরপর থেকে তুমুল হতে থাকে ‘অরাজনৈতিক’ ব্যানারে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলন। নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্যে ৫ আগস্ট পতন হয় টানা সাড়ে ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা। ৬১ দিনের ঘটনাবহুল এ আন্দোলনে ঝরেছে দেড় হাজারের বেশি প্রাণ। আহত ও পঙ্গু হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। অনেকে এখনও হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন।
আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢালে ‘রাজাকারের বাচ্চা’
জুলাই মাসে আন্দোলন যখন তুঙ্গে ঠিক তখনই আগুনে ‘ঘি ঢালেন’ পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৪ জুলাই চীন সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের নাতি-পুতি’ বলে অভিহিত করেন তিনি। বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা পাবে, না কি রাজাকারের বাচ্চারা কোটা পাবে?’ তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সেদিন রাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার। কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার।’ পরের দিন ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগ এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী। শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারের হামলা চালায় তারা।
আরও পড়ুন
এর প্রতিবাদে ১৬ জুলাই সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন ছাত্ররা। সেদিন সড়ক অবরোধ, সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে এবং ছয়জনের প্রাণহানি হয়। ওইদিন রংপুরে পুলিশের ‘গুলিতে’ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। গুলি করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হয়। আসতে থাকে একের পর এক কর্মসূচি। সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে।
১৮ জুলাই আন্দোলনে যোগ দেয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। জারি করা হয় কারফিউ। নির্বাহী আদেশে সরকার তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেই ছুটির মেয়াদ আরও বাড়তে থাকে। আস্তে আস্তে কারফিউ শিথিল হলেও আন্দোলন থেকে সরে আসেননি ছাত্ররা।
২১ জুলাই ৭ শতাংশ কোটা, বাকি ৯৩ শতাংশ মেধায় নিয়োগ দেওয়ার রায় দেন আপিল বিভাগ। ৪৮ ঘণ্টার জন্য আন্দোলন স্থগিত করলেও রাজধানীসহ সারা দেশে চলে ‘ব্লক রেইড’। সাধারণ মানুষকে গণগ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর হেফাজতে নেওয়া হয় আরও তিন সমন্বয়ককে। ফের মাঠে নামে ছাত্ররা। যোগ দেন পেশাজীবীরাও। এর মধ্যে পাল্টাতে থাকে চিত্র। ৩০ জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পালনের ঘোষণা দেন ছাত্ররা। কর্মসূচি ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও সংঘাত হয়। একপর্যায়ে শেখ হাসিনা সরকার আলোচনার প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ৩ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশাল গণজমায়েত করে শিক্ষার্থী-জনতা। সেখান থেকে সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। ৪ আগস্ট সরকার পতনের অসহযোগ আন্দোলনে সারা দেশে ১১৬ জনের প্রাণহানি হয়। এরপর ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি একদিন এগিয়ে ৫ আগস্ট ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচিতে যোগ দিতে ৫ আগস্ট সকাল থেকে ঢাকামুখী হন ছাত্র-জনতা। বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
কারিকুলাম বাতিলে প্রশংসা
হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার চার মাসে শিক্ষা খাতে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো– ২০২৩ সাল থেকে চালু হওয়া নতুন কারিকুলাম বাতিল।
ওই কারিকুলামের নানা অসংগতি অভিভাবক মহলে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা আন্দোলনও করেন। অনেকটা গায়ের জোরে চাপিয়ে দেওয়া সেই কারিকুলাম গত ১ সেপ্টেম্বর বাতিল করে ২০১২ সালের কারিকুলামে ফিরে যায় সরকার। এ সিদ্ধান্তে সরকার ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে অভিভাবক মারজানা আক্তার বলেন, নতুন কারিকুলাম চালুর পর আমার বাচ্চারা স্কুলের যেতে চাইত না। পড়ালেখার চেয়ে মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইসের প্রতি বেশি আসক্ত ছিল। এজন্য শুরু থেকেই কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেছি। বিতর্কিত কারিকুলাম বাতিল করায় আমরা খুশি।
সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, পতিত সরকার অনেকটা গায়ের জোরে জাতির ওপর নতুন একটি কারিকুলাম চাপিয়ে দিয়েছিল। সেই কারিকুলামের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। কিছু দাতা সংস্থা ও গুটিকয়েক শিক্ষাবিদের পরামর্শে চালু হওয়া সেই কারিকুলাম বাতিল হওয়ায় অভিভাবকরা খুশি।
পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিনা মূল্যের এসব পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি বা দেয়ালে আঁকা ছবি। ফলে গত ১৫ বছর ধরে চলা পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও তার উদ্ধৃতি বাদ যাচ্ছে। একইসঙ্গে ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে বিতর্কিত গদ্য-পদ্য
২০১৫ সালে শিক্ষার্থীদের যে নতুন বই দেওয়া হবে তা থেকে বাদ যাচ্ছে বিগত সরকারের বেশকিছু বিতর্কিত গদ্য-পদ্য। এর মধ্যে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে মোট সাতটি গদ্য ও পদ্য বাদ দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে আটটি গদ্য ও পদ্য যুক্ত হচ্ছে। শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখাও বাদ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি গদ্য, একটি পদ্য ও একটি জীবনী। তৃতীয় শ্রেণির একটি বই থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী বাদ দিয়ে সেখানে জাতীয় চার নেতার জীবনী যোগ করা হচ্ছে। শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা ইংরেজি গদ্যও বাদ দেওয়া হচ্ছে।
শুধু প্রাথমিক নয়, মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির বইয়েও নতুন করে অনেক বিষয় সংযোজন ও বিয়োজন হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে বেশকিছু সংযোজন-বিয়োজন হচ্ছে। যেখানে নতুন করে স্থান পাচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিষয়বস্তু।
আরও পড়ুন
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাঠ্যবই থেকে বিতর্কিত ইতিহাস, ব্যক্তির বন্দনা, অতিকথন বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগে যাদের অবদান বই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, এমন অনেকের তথ্য যুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস ও গ্রাফিতি বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় যুক্ত হচ্ছে।
এইচএসসির বাকি পরীক্ষা বাতিলে চরম বিতর্ক
২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় চলতি বছরের ৩০ জুন। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয় ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে বাকি পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু আন্দোলনকারী পরীক্ষার্থীদের দাবি ছিল, অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করার। এ দাবিতে তারা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও সচিবালয়ের সামনে আন্দোলন করেন। একপর্যায়ে সচিবালয়ের ঢুকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিবের দপ্তর ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বাকি পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেয় সরকার। এমন সিদ্ধান্ত চরম বিতর্কের জন্ম দেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাও এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।
কেন পরীক্ষা বাতিল করা হয়— জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে আমাদের বাধ্য হয়ে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের পরিস্থিতি না হয় সেজন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ভিসি নিয়োগে স্বস্তি
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার সময়ে নিয়োগ পাওয়া দেশের অন্তত ৩৫টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করেন। এ ছাড়া প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রাররাও পদত্যাগ করেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উপাচার্যহীন এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকটা বিতর্কমুক্ত নিয়োগ দিতে পেরেছে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, শূন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এবার ভিসি নিয়োগে দলীয় বিবেচনার চেয়ে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সরকারের গঠিত একটি কমিটি এ নিয়ে কাজ করে।
সাত কলেজ আন্দোলনে অস্বস্তি
৫ আগস্ট নতুন সরকার গঠনের পর থেকে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। তাদের সঙ্গে যোগ দেন রাজধানী সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তিতে কলেজের মানের অবনমন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি, শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট, ফল প্রকাশে বিলম্ব, গণহারে ফেল করানো হচ্ছে। তারা একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানান। অন্যদিকে, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এতে সরকার কিছুটা বিরক্ত ও অস্বস্তিতে পড়লেও তাদের দাবির পক্ষে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে সাত কলেজের দাবি পূরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠন করেছে। এ ছাড়া রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব কি না, তা যাচাইয়ের জন্য আলাদা একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এনএম/এসএসএইচ