শিক্ষায় শুদ্ধি অভিযান, আতঙ্কে ‘সুবিধাভোগী’ ২ শতাধিক কর্মকর্তা
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আইন কর্মকর্তা আবুল কাশেম। ২০০৫ সাল থেকে আছেন এই দপ্তরে। ২০ বছরে একদিনের জন্যেও ঢাকার বাইরে যাননি তিনি। শুধু আবুল কাশেম নয়, তার মতো অন্তত দুই শতাধিক কর্মকর্তা এক যুগের বেশি সময় ধরে রাজধানীতে পোস্টিং বজায় রেখে শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ঘুরেফিরে আছেন। তাদের অবস্থা অনেকটা একই বৃত্তে শিকড় গেঁড়ে বসে থাকার মতো।
দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বহুদিনে গড়ে তোলা এই সিন্ডিকেট এখন ভাঙা শুরু করেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে তিনজন শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্বে ছিলেন। প্রথম দুই টার্মে ১০ বছর ছিলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ, এরপর দীপু মনি এবং সর্বশেষ ছিলেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এই তিন মন্ত্রীর সময় শিক্ষা প্রশাসনে ঘুরেফিরে যারা ছিলেন তাদের তালিকা করে বদলি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
নাহিদের আলোচিত এপিএস মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ, দীপু মনির ভাই ওয়াদুদ টিপু এবং নওফেলের এপিএসের হাত ধরে পোস্টিং পাওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা হয়েছে। এখন ধাপে ধাপে তাদের বদলি করা হবে।
আরও পড়ুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা শিক্ষার তিনটি দপ্তর মাউশি, শিক্ষা প্রকৌশল ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রধানকে সরানো হয়েছে। দুটি দপ্তরে নতুন প্রধান পদায়ন করা হয়েছে। মাউশির মহাপরিচালক পদে দ্রুতই পদায়ন হবে।
এনসিটিবির আলোচিত সচিব নাজমা আখতারসহ প্রভাবশালী সাতজন, মাউশির প্রশাসন শাখার দুইজনসহ কয়েকজনকে বদলি করা হয়েছে। দেশের ২৭টি সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ দেওয়া হয়েছে। কারিগরি বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান পদায়ন করা হয়েছে। বাকি ১০ শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিবসহ সব গুরুত্বপূর্ণ পদের তালিকা করা হচ্ছে। মাউশির বিভিন্ন পরিচালক, উপ-পরিচালক ও বিভিন্ন প্রকল্পের ৭২ জনের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। যে কোনো সময় তাদের বদলির অর্ডার করা হবে বলে জানা গেছে।
বদলি আতঙ্ক মাউশিতে
শিক্ষা প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয় মাউশি অধিদপ্তরকে। এখানে দীর্ঘদিন ঘাপটি মেরে থাকা কয়েক ডজন কর্মকর্তা এখন বদলি আতঙ্কে আছেন। লম্বা সময় থাকা এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তরা রয়েছেন বেশি আতঙ্কে।
কলেজ ও প্রশাসন শাখায় ২০১৪ সাল থেকে আছেন আশিকুল হক। আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ডিও লেটারে পদায়ন পাওয়ার পর তাকে আর কোথাও যেতে হয়নি। এইচআরএম (হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজম্যান্ট) শাখার কর্মকর্তা হলেও তিনি তদন্তে বেশি মনোযোগী। স্কুল, কলেজ এমনকি প্রশাসনের তদন্তের কার্যক্রমে তার নাম থাকে আগেভাগে। তার বিরুদ্ধে তদন্তের নামে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
কলেজ-৩ শাখার কর্মকর্তা তপন কুমার দাস। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভাগিনা সদ্য পদত্যাগ করা মাউশির মহাপরিচালক নেহাল আহমদের সুপারিশে আসেন মাউশিতে। দায়িত্ব দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ শাখা বেসরকারি কলেজে। এরপর থেকে বেসরকারি কলেজের কমিটির অনুমোদন-সুপারিশ, এমপিও দেওয়া, অভিযোগ ও মামলা নিষ্পত্তির নামে প্রকাশ্যে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
একই তদবিরে মাউশিতে পদায়ন পান শারীরিক শিক্ষার উপ-পরিচালক মনিরুল হক। সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার নামে সংগ্রহ করা টাকা ভাগ বাটোয়ারা করতেন তিনি। শিক্ষকসহ মাউশির কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এই শাখায় তামান্না মুস্তারী নামে আরেক কর্মকর্তা আছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে।
তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসার পর একদিনের জন্যও ঢাকার বাইরে যেতে হয়নি তাকে। ঘুরেফিরে ছিলেন শিক্ষাবোর্ড-মাউশিতে। ২০০৯ সালে ঢাকা বোর্ডে উপসচিব, এরপর ২০১৩ সালে মাউশি অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক ও উপ-পরিচালক ছিলেন। সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মোক্তাদির চৌধুরীর স্ত্রী মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুনের ক্যাশিয়ার ছিলেন এই কর্মকর্তা।
দীপু মনির বিশ্বস্ত মাউশির ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) তাকে বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ, বদলি ও এমপিওভুক্তিতে ঘুষ নেওয়া ছাড়াও নিজের লেখা নোট-গাইড বই বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
নওফেলের মাউশি প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক তানভীর হাসান। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিউদ্দিনপন্থি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করার সুবাদে মাউশির গুরুত্বপূর্ণ এ পদে চাকরি পান। তাকেও ইতোমধ্যে বদলি করা হয়েছে।
মাউশির আইন শাখায় আল আমিন সরকার আছেন ২০০৮ সাল থেকে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির মামলা এবং এমপিও সংক্রান্ত সমস্যা নিষ্পত্তি করে দেওয়ার নামে তার অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি ছিল সবার মুখে মুখে।
মাউশির কলেজ শাখার উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মহন্ত নওফেলের কোটায় পোস্টিং পান। তিনি এক ধর্মীয় গোষ্ঠীর সুপারিশে এখানে আসেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাধ্যমিক শাখার পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী গত ৫ আগস্টের পর অফিস করছেন না। তিনি ৪ আগস্ট শিক্ষাভবনে বিএনপি ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিছিল করানোর জন্য অভিযুক্ত। একই শাখার সহকারী পরিচালক দুর্গা রানী সিকদার একজন স্কুল শিক্ষক হয়েও মাউশিতে আছেন ১৫ বছর। তার স্বামী প্রশিক্ষণ শাখার পরিচালক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য। মাউশিতে তাদের এ জুটি সবার কাছে আলোচিত। একই শাখার সহকারী পরিচালক কাওছার আহমেদ ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন।
উপ-পরিচালক (বিশেষ শিক্ষা) তারিকুল ইসলামও রয়েছেন বদলি আতঙ্কে। এ পদের তেমন কোনো কাজ না থাকলেও তিনি তদবির বাণিজ্য ও গ্রুপিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।
মাউশির প্রশিক্ষণ শাখার আরেক উপ-পরিচালক ড. মোনালিসা খান তার চাচার পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়াতেন। তার চাচা আব্দুল হান্নান শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ড ও জেলহত্যা মামলা ও অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান ছিলেন। সেই দাপটে কাউকে পরোয়া করতেন না তিনি। একই শাখার আরেক কর্মকর্তা আবুল হোসেন কায়েস ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। তিনি গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপক্ষে গিয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে মাঠে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইংয়ের পরিচালক প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজম ছিলেন দীপু মনির ঘনিষ্ঠ। দীপু মনির সঙ্গে সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেছেন তিনি। দীপু মনির মন্ত্রণালয় পরিবর্তনের পর মিশে যান নওফেলের সঙ্গে। একসময়ের মহাপরিচালক প্রার্থী এই কর্মকর্তা রয়েছেন বদলি আতঙ্কে। একই বিভাগের আরেক সহকারী পরিচালক সাবিনা বেগমও রয়েছেন বদলি আতঙ্কে। তিনি ২০০৭ সাল থেকে মাউশিতে কর্মরত রয়েছেন।
অর্থ ও ক্রয় উইংয়ের সহকারী পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ মাউশিতে আছেন ২০১৬ সাল থেকে। তার বিরুদ্ধে ঠিকাদারকে টেন্ডারের রেট আগে বলে দিয়ে সুবিধা নেওয়া, কেনাকাটায় সিন্ডিকেট, উপবৃত্তির টাকায় নয়ছয় এবং এমপিও ফেরতের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে না রেখে ব্যাংকে রেখে লভ্যাংশ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক আমির হোসেন দীপু মনির সুপারিশে পরিচালক পদে আসীন হন। একই বিভাগের আরেক সহকারী পরিচালক লাইলুন নাহার মাউশিতে আছেন ২০১২ সাল থেকে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। শুধুমাত্র ঢাকায় থাকার জন্য এতদিন বদলি ঠেকিয়ে রেখেছেন তিনি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন বছর অন্তর অন্তর বদলির বিধান রয়েছে। যেখানে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দুই বছর পরও বদলির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মাউশির বাস্তবতা ভিন্ন।
এনসিটিবিতে শুদ্ধি অভিযান শুরু
শিক্ষা প্রশাসনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বিনামূল্যে পাঠ্যবই ছাপানোর হাজার কোটি টাকার টেন্ডার হয় এখান থেকে। শিক্ষামন্ত্রীসহ প্রশাসনের সবার নজর থাকে এই বোর্ডে। সেই বোর্ডে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা সাবেক এমপি মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার চাচা ফরহাদুল ইসলাম ইতোমধ্যে সরে গেছেন।
এ ছাড়া, সম্প্রতি দীপু মনির ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত সচিব নাজমা আখতারকে বদলি করা হয়েছে। নাজমার বিরুদ্ধে প্রকাশক ও মুদ্রাকরদের কাছ থেকে পার্সেন্টেজ নেওয়ার অভিযোগ অনেক দিনের। ছাত্রলীগনেত্রী পরিচয়ে তৎকালীন চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলামকে নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বোর্ডের পাঠ্যপুস্তক সদস্য সাইদুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষাক্রম সদস্য মোখলেস-উর-রহমানসহ সিন্ডিকেটের ছয়জনকে বদলি করা হয়েছে।
বদলির তালিকায় রয়েছেন- কমন সার্ভিস শাখার উপসচিব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি সাবেক ছাত্রলীগনেতা ও বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার সমিতির কোষাধ্যক্ষ। এই পরিচয়ে এনসিটিবিতে চেয়ারম্যান-সচিবের পর সবচেয়ে ক্ষমতাধর ছিলেন তিনি।
এছাড়া বদলির জন্য আরও এক ডজন কর্মকর্তার তালিকা করা হয়েছে।
তালিকা হচ্ছে শিক্ষাবোর্ডেও
দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে চেয়ারম্যান, সচিব ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে শিক্ষা ক্যাডার থেকে ডেপুটেশনে পদায়ন হয়। বিগত সরকারের আমলে পদায়ন হওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১ সেপ্টেম্বর কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নওফেলের বিশ্বস্ত মামুন-উল-হককে।
তিনি নওফেলের প্যানেলে গত দুই মাস আগে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। বাকি বোর্ডগুলোতে চলতি মাসের মধ্যে রদবদল হবে বলে জানা গেছে।
‘প্রকল্পের মধু’তে হাত দিচ্ছে সরকার
শিক্ষা, মানোন্নয়ন, আইসিটি ও অবকাঠামোসহ একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে। এসব প্রকল্পে প্রশাসন ও শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন দেওয়া হয়।
‘কেউ যদি মধু খেতে চায় সে যেন প্রকল্পে যায়’— এমন একটা কথা চালু রয়েছে শিক্ষা ক্যাডারে। এবার সেই মধুতে হাত দিচ্ছে সরকার। যারা বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও দীর্ঘদিন ধরে আছেন এমন কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এ তালিকায় রয়েছেন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) পরিচালক সামসুন নাহার। তিনি ২০১৪ সাল থেকে এ প্রকল্পের পরিচালক। আছেন আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন প্রকল্প (২য় পর্যায়) পরিচালক নওসের আলী ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক এ এস এম এমদাদুল কবীর। এমদাদুল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সুপারিশে প্রকল্প পরিচালক হন। এছাড়া আছেন ঢাকা শহর সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মীর জাহিদা নাজনী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় আছেন এবং নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের ধীরে ধীরে বদলি করা হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। সামনে আরও বদলি করা হবে।’
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রফেসর রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদায়ন করে মন্ত্রণালয়। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেয় এবং বদলি করে।’
এনএম/এমজে