ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে পারলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। ঢাকা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। রাজনীতির হাতেখড়ি ছাত্রলীগে ১৯৬৯ সালে। ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়ী হন। ২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় সংসদ সদস্য হন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কামরুল ইসলাম।
২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আসনটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭নং ওয়ার্ড, ঢাকা মেট্রোপলিটন কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানা, সাভার উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়ন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন ও ভাকুর্তা ইউনিয়ন, কেরানীগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি, নতুন উন্নয়ন পরিকল্পনা, গত তিন মেয়াদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা বলেছেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক মো. সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন
ঢাকা পোস্ট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাই...
কামরুল ইসলাম : নির্বাচনে আমার ষোলো আনা প্রস্তুতি রয়েছে। এলাকায় যাচ্ছি, কাজ করছি। মিটিং হচ্ছে, পোস্টারিং করছি— সবই হচ্ছে। সার্বিকভাবে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপির অপতৎপরতার বিরুদ্ধে, তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সজাগ করছি। মানুষও বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কাজ করছে।
ঢাকা পোস্ট : ঢাকা-২ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আপনি। তিন মেয়াদে আপনার এলাকার জন্য কী কী করতে পেরেছেন?
কামরুল ইসলাম : আমি ২০০৮ সালে এখান থেকে প্রথম নির্বাচিত হই। গত ১৫ বছর ধরে এ আসনের এমপি হিসেবে আছি, জনগণের সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি। এই ১৫ বছর এলাকার অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে কিছুই ছিল না, খুব খারাপ অবস্থা ছিল। সেখান থেকে আমি একটা সুন্দর অবস্থানে এনেছি। আমার নির্বাচনী এলাকার মতো এলাকা আপনি বাংলাদেশের কোথাও পাবেন না। একদিকে, কেরানীগঞ্জের সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে একটি মডেল থানা, অন্যদিকে দক্ষিণ ভাকুর্তার একটা অংশ; আছে সাভারের তিনটি ইউনিয়ন এবং ঢাকা মহানগরের কামরাঙ্গীরচরের তিনটি ওয়ার্ড। এখানে ভোটার রয়েছে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার। স্বাভাবিকভাবে এটা অনেক বড় এলাকা।
আমি যখন নির্বাচিত হই তখন কামরাঙ্গীরচর ছিল সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ছিল না। স্থানীয় সরকারের অধীনে পানি ও পয়োনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সুলতানগঞ্জ ইউনিয়নেও পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পানি অপসারণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আমি কামরাঙ্গীরচরে রাস্তাঘাটের যত উন্নয়ন করেছি কোনোটাই ছয় মাসের বেশি টেকেনি। কামরাঙ্গীরচরের সুলতানগঞ্জ ইউনিয়নকে তিনটি ওয়ার্ড করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছি। এরপর থেকে পানি নিষ্কাশনের এত সুন্দর ব্যবস্থা হয়েছে যে, এখন ঢাকা শহরের যেকোনো জায়গায় পানি উঠলেও কামরাঙ্গীরচরে পানি ওঠে না।
আগে একটু বৃষ্টি হলে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠে যেত। এখন বৃষ্টি হলে কামরাঙ্গীরচরের রাস্তায় পানি জমে না। এমন সিস্টেম আমি করে দিয়েছি। আগে এখানে নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি থাকত। এখন কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন হয়েছে, অনেক ধনী লোকজন বসবাস করছে। আগে আওয়ামী লীগের ভোট কম ছিল। নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করায় বর্তমানে এখানকার ৯০ শতাংশ ভোট আমার।
শেখ জামাল হাই স্কুল নামে একটি সরকারি স্কুল করে দিয়েছি। ৩১ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল করেছি। সেখানে করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। একটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি সেন্টার করতে পেরেছি, আরও দুটি ওয়ার্ডে এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রতিটি স্কুলে নতুন বিল্ডিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। গত ১৫ বছরে কামরাঙ্গীরচরের চেহারা আমি পাল্টে ফেলেছি। রাস্তাগুলো চওড়া হয়েছে। ১১০ ফুটের চওড়া একটি রাস্তা হচ্ছে। আমাদের মেয়র আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উদ্ধার করছেন। হাতিরঝিলের মতো একটা প্রকল্প কামরাঙ্গীরচরে নেওয়া হচ্ছে।
আমি মনে করি, কামরাঙ্গীরচর এখন আওয়ামী লীগের ভোটের দুর্গ। এখানে একটি কলেজ আছে। সেটার অনেক উন্নয়ন আমার আমলেই হয়েছে। কেরানীগঞ্জের সাতটি ইউনিয়নে আমি রাস্তাঘাট করতে পেরেছি। সেখানকার প্রত্যেকটা স্কুল, কলেজের নতুন বিল্ডিং হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি স্কুল আমি এমপিওভুক্ত করেছি।
ঢাকা পোস্ট : আপনি কি মনে করেন, বহুমাত্রিক উন্নয়নে আপনার এলাকার মানুষ সন্তুষ্ট?
কামরুল ইসলাম : একসময় কেরানীগঞ্জের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। সেই অবস্থা থেকে আমরা পরিবর্তন এনেছি। ২০০৮ সালে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নে গাড়ি নিয়ে যেতে পারতাম না। হয় হেঁটে যেতে হয়েছে, না হয় রিকশায়। ভাকুর্তা থেকে বসিলা পর্যন্ত একটা রাস্তা করতে পেরেছি। আগে যেখানে লাগত দেড় ঘণ্টা, এখন লাগে ১৫ মিনিট। সেখানেও স্কুল-কলেজে নতুন নতুন বিল্ডিং হয়েছে, এমপিওভুক্ত হয়েছে। রাস্তাঘাটেরও অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সাভারের এ তিন ইউনিয়নে আমূল পরিবর্তন করেছি।
আরও পড়ুন
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যারা সঠিকভাবে কাজ করতে পেরেছেন, তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের পাশাপাশি নিজের এলাকারও উন্নয়ন করেছেন। বর্তমানে যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে, আমার এলাকায়ও একইভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি, নানামাত্রিক উন্নয়নের কারণে আমার এলাকার মানুষ সন্তুষ্ট। তারা আবারও আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করে আনবেন।
ঢাকা পোস্ট : আপনার মতে ঢাকা-২ আসনে এখনও কী কী সমস্যা বিদ্যমান আছে?
কামরুল ইসলাম : সব কাজ শেষ হয়নি, আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। খোলামোড়া ঘাটে সেতু নির্মাণ বাকি আছে। এটা আমার বহুদিনের পরিকল্পনা। করার ইচ্ছা ছিল, করতেও পারতাম কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের কারণে করা যায়নি। তারা (সিটি কর্পোরেশন) ১১০ ফিটের একটি রাস্তা করছে, সেই কারণে অনাপত্তি দিচ্ছে না। সেতুর জন্য সয়েল টেস্টসহ বাকি সব কাজ করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ ও কামরাঙ্গীরচরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এ সেতু। এবার ইনশাল্লাহ হয়ে যাবে।
প্রতিদিনই মানুষ নতুন নতুন স্বপ্ন দেখে। নতুন আশা, নতুন উন্নতি, নতুন নতুন কল্পনা করতে থাকে। কাজের তো শেষ নেই; মানুষের তৃপ্তিরও শেষ নেই— এটাই স্বাভাবিক। আমি বিশ্বাস করি, আরও পাঁচ বছর সুযোগ পেলে আরও কাজ করতে পারব। অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে পারব, মানুষের মনের ইচ্ছা পূরণ করতে পারব।
আরও পড়ুন
ঢাকা পোস্ট : বিএনপি নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঠে রাখার যে কৌশল আওয়ামী লীগ নিয়েছে তাতে নৌকার ভরাডুবিও হতে পারে। অনেকেই এমন আশঙ্কা করছেন। এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন?
কামরুল ইসলাম : বিভিন্ন জায়গায় ভরাডুবি হতে পারে। অনেকে নৌকা প্রতীক চেয়েছেন কিন্তু না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। অনেক জায়গায় বিএনপির নেতারাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। নৌকার প্রতীক যারা পেয়েছেন অনেক ক্ষেত্রে তারা বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। যেসব এমপি জনবিচ্ছিন্ন, এলাকার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেননি, দীর্ঘদিনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে যারা মনোনয়ন বঞ্চিত কিন্তু জনপ্রিয় হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, তারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারেন। জনগণের মাপকাঠিতে যদি স্বতন্ত্র জনপ্রিয় হয়, তাহলে সেখানে নৌকার জয় বাধাগ্রস্ত হওয়া স্বাভাবিক। তবে, সবক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে না।
ঢাকা পোস্ট : যে নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রধান দলগুলোর অংশগ্রহণ নেই, সেই নির্বাচনে সমঝোতা করাটা কতটুকু যৌক্তিক বলে আপনি মনে করেন?
কামরুল ইসলাম : বিএনপি একটি বড় দল, এটা আমি স্বীকার করি। বিএনপি না থাকলে যে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না, অংশগ্রহণমূলক হবে না, এটা ঠিক নয়। বিএনপি নেই তাতে কী হয়েছে? জনগণকে যদি আমরা ভোটকেন্দ্রে আনতে পারি, ভোটে যদি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে, ভোটাররা যদি তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, তাহলে অবশ্যই সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। বিএনপি আসল কি না, তাতে কিছু যাবে-আসবে না। একটা দল নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, অংশগ্রহণমূলক হবে না— এমনটা মনে করা ঠিক নয়। মানুষের সম্পৃক্ততার ওপর নির্ভর করে নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য হলো।
ঢাকা পোস্ট : ২৮টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, কিছু দল অংশ নিচ্ছে না। সবমিলিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন দেখছেন?
কামরুল ইসলাম : বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি খারাপ কিছু দেখছি না। আমি দেখছি, বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। কিন্তু বিএনপির অনেকে আছেন যারা স্বতন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছেন। মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান দাঁড়িয়েছেন, শওকত মাহমুদ দাঁড়িয়েছেন, অনেকে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন, অনেকে আবার অন্য দলের প্রার্থী হয়েছেন। কাজেই বিএনপি সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও তাদের দলের অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন।
ঢাকা পোস্ট : আন্তর্জাতিক মহল থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনে কথা বলা হচ্ছে। সরকারও এ বিষয়ে একমত। তারপরও কিছু রাজনৈতিক দল আশ্বস্ত হতে পারছে না, কারণ কী?
কামরুল ইসলাম : আমরা বারবার বলছি, একটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেছেন, এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। মানুষও দেখতে চায় একটা ফ্রি ও ফেয়ার ইলেকশন। যারা মনে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না; এ কথা মিথ্যা প্রমাণের জন্য আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করেছি। নির্বাচন কমিশনে সরকার কোনোভাবে প্রভাব বিস্তার করবে না— স্পষ্টভাবে প্রধানমন্ত্রী এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
আমি মনে করি, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দেখার পর জনগণের আগ্রহ বাড়বে নির্বাচনের প্রতি। আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচনটা আন্তর্জাতিক মহলেও গ্রহণযোগ্য হবে। জনগণকে যদি আমরা ভোটকেন্দ্রে আনতে পারি, অবশ্যই এটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
ঢাকা পোস্ট : আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। দলীয় প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে যে লড়াই, নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে এর প্রভাব পড়বে কি না?
কামরুল ইসলাম : নির্বাচনের পরে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে না। তেমন বেগ পেতে হবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে যেখানে অবস্থান করুক না কেন, নৌকার প্রতীকে অংশগ্রহণ করুক বা নৌকার বাইরে, নির্বাচনের পর সবাই ভালো পরিবেশে থাকবে, ঐক্যবদ্ধ থাকবে। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে না।
আরও পড়ুন
ঢাকা পোস্ট : নির্বাচনের পর দেশে বিশৃঙ্খলা হতে পারে— এমন আশঙ্কা বিভিন্ন মহলের। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?
কামরুল ইসলাম : না, আমি এমনটা মনে করি না। তবে, বিএনপি এমন একটি দল, যে দল জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো কিছু করতে পারবে না। এখনও পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটা সন্ত্রাসী দল।
কানাডার আদালতে প্রমাণ হয়েছে তারা সন্ত্রাসী দল। তাদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ হয়েছে তারা সুস্থ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কাজেই আগামী দিনে তারা ক্রমান্বয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আমরা যদি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি, প্রধানমন্ত্রীর নীতি যদি আমার অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালন করতে পারি, নির্বাচনটা যদি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়, তাহলে আমি বিশ্বাস করি, বিএনপির কর্মীদের মধ্যে হতাশা আর আফসোস ছাড়া কিছু থাকবে না।
এখনই তাদের কর্মীরা হতাশ। আজ যে আন্দোলন, এটা তো আন্দোলন না, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তারা ভাড়াটে লোকজন দিয়ে সন্ত্রাস করাচ্ছে। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য তারা কাজগুলো করছে। মানুষকে জিম্মি করে তারা দাবি আদায় করতে চাচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাবে।
এমএসআই/এসকেডি/এমএআর/