থার্ড টার্মিনালে যুক্ত হয়েছে আধুনিক সব যোগাযোগ ব্যবস্থা
চোখ ধাঁধানো থার্ড টার্মিনালের (টার্মিনাল- ৩) আংশিক উদ্বোধন হচ্ছে শনিবার (৭ অক্টোবর)। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে আধুনিক ও মানসম্পন্ন যাত্রীসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরোপুরি নির্মাণ না হলেও শনিবার এর আংশিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটির উদ্বোধনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়বে। বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনালের পাশাপাশি নতুন এ টার্মিনালেও যাত্রীদের সমাগম হবে বেশ। ফ্লাইট থেকে নেমে এ টার্মিনাল হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের যেন কোনো ভোগান্তি পোহাতে না হয় সেজন্য রাজধানীর সব আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সংযুক্তি ঘটেছে তৃতীয় টার্মিনালে সঙ্গে।
পুরাতন বিমানবন্দর সড়ক ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের পাশাপাশি দেশের প্রধান বিমানবন্দরের আধুনিক এ টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত আছে নতুন করে উদ্বোধন হওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এ ছাড়া, মেট্রোরেলের নির্মাণাধীন এমআরটি লাইন- ১ এর স্টেশন হবে তৃতীয় টার্মিনালের ঠিক পূর্ব পাশে। ফলে তৃতীয় টার্মিনাল থেকে যারা ঢাকার মধ্যে যাতায়াত করতে চান, তারা মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।
পুরাতন বিমানবন্দর সড়ক ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের পাশাপাশি দেশের প্রধান বিমানবন্দরের আধুনিক এ টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত আছে নতুন করে উদ্বোধন হওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এ ছাড়া, মেট্রোরেলের নির্মাণাধীন এমআরটি লাইন- ১ এর স্টেশন হবে তৃতীয় টার্মিনালের ঠিক পূর্ব পাশে। ফলে তৃতীয় টার্মিনাল থেকে যারা ঢাকার মধ্যে যাতায়াত করতে চান, তারা মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন
যারা ঢাকার বাইরে যেতে চান, তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে নামতে পারবেন চট্টগ্রাম রোডের কুতুবখালীতে। তবে, সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। এ ছাড়া, দূর গন্তব্যের জন্য আগের সড়ক ও রেলওয়ে সংযোগ তো আছেই। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হবে গাজীপুর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প।
ফলে বিদেশ থেকে যেসব যাত্রী আসবেন তারা তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহার শেষে খুব সহজেই বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে পারবেন। যারা বিদেশ যাবেন তারাও রাজধানীর যানজট এড়িয়ে খুব সহজে তৃতীয় টার্মিনালে তথা বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারবেন। এ সমন্বিত গণপরিবহন ব্যবস্থাপনাকে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা চমৎকার কানেক্টিভিটি ও যানজটের মোক্ষম ঔষধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
যেভাবে যুক্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
যানজটের ধীরগতির শহরে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে যেখানে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগত, সেখানে এখন লাগছে মাত্র ১২-১৫ মিনিট। এটি সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কল্যাণে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মূলত তৈরি করা হয়েছে ঢাকা শহরকে বাইপাস করার জন্য। এর শেষ প্রান্ত হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের কুতুবখালীতে। শুরুটা হয়েছে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ব পাশ কাওলা থেকে।
এদিকে, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল থেকে যাত্রী নামানো ও উঠানোর পর গাড়িগুলো যেন সুশৃঙ্খলভাবে বিমানবন্দরের প্রধান সড়কে নামতে পারে সেজন্য বেশ কয়েকটি র্যাম্প ঘুরিয়ে নামানো হয়েছে। তৃতীয় টার্মিনাল থেকে র্যাম্পগুলো ব্যবহার করে যখন কোনো গাড়ি প্রধান সড়কে আসবে, তখন সেখান থেকে গাড়িগুলো যাতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারে সেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি করা হয়েছে তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের আওতায়। ফলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে কোনো গাড়ি যদি তৃতীয় টার্মিনালে যেতে চায় বা তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহার শেষে কোনো গাড়ি যদি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে চায়, তাদের কোনো ধরনের ঝামেলা পোহাতে হবে না। গাড়িগুলো নির্বিঘ্নে তৃতীয় টার্মিনাল থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প প্রধান সড়কে নামানো হয়েছে। র্যাম্প ব্যবহার করে সরাসরি গাড়িগুলো তৃতীয় টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারবে। এ ছাড়া, তৃতীয় টার্মিনাল থেকে তাদের নিজস্ব একটি র্যাম্প প্রধান সড়কে নামানো হয়েছে। এটি ব্যবহার করে গাড়িগুলো প্রধান সড়কে নেমে কাওলা থেকে আবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবে। যারা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করবে না, তারও যেন সুন্দরভাবে প্রধান সড়কের নামতে পারে এবং প্রধান সড়ক থেকে তৃতীয় টার্মিনালে উঠতে পারে সে ব্যবস্থা তৃতীয় টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ করে দিয়েছে। মূল কথা হচ্ছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীরা অবশ্যই তৃতীয় টার্মিনালের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
যেভাবে যুক্ত মেট্রোরেল
মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন- ১ এর একটি প্রান্ত রয়েছে কাওলায়, অন্যটি পূর্বাচলে এবং শেষ হয়েছে কমলাপুরে। কাওলা স্টেশনটি বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ব পাশে অবস্থিত। মাটির নিচের এ মেট্রোরেল স্টেশন থেকে সরাসরি একটি টানেল বানানো হচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল পর্যন্ত। প্রধান সড়কের নিচ দিয়ে এ টানেল ব্যবহার করে যাত্রীরা হেঁটে সরাসরি বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল থেকে মেট্রোরেল স্টেশনে এবং মেট্রোরেল স্টেশন থেকে তৃতীয় টার্মিনালে পৌঁছাতে পারবেন।
আরও পড়ুন
যদিও সেবাটি এখনই পাচ্ছেন না তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহারকারী যাত্রীরা। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। মেট্রোরেল নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য বলছে, এমআরটি লাইন- ১ বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল। ৩১.২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন- ১ দুটি অংশে বিভক্ত। অংশ দুটি হলো- বিমানবন্দর রুট অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এবং পূর্বাচল রুট অর্থাৎ নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত। বিমানবন্দর রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১৯.৮৭২ কিলোমিটার এবং মোট পাতাল স্টেশনের সংখ্যা ১২টি। বিমানবন্দর রুটেই বাংলাদেশে প্রথম পাতাল মেট্রোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে।
মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন- ১ এর একটি প্রান্ত রয়েছে কাওলায়, অন্যটি পূর্বাচলে এবং শেষ হয়েছে কমলাপুরে। কাওলা স্টেশনটি বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ব পাশে অবস্থিত। মাটির নিচের এ মেট্রোরেল স্টেশন থেকে সরাসরি একটি টানেল বানানো হচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল পর্যন্ত। প্রধান সড়কের নিচ দিয়ে এ টানেল ব্যবহার করে যাত্রীরা হেঁটে সরাসরি বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল থেকে মেট্রোরেল স্টেশনে এবং মেট্রোরেল স্টেশন থেকে তৃতীয় টার্মিনালে পৌঁছাতে পারবেন
পূর্বাচল রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১১.৩৬৯ কিলোমিটার। সম্পূর্ণ অংশ উড়াল এবং মোট স্টেশনের সংখ্যা নয়টি। এর মধ্যে সাতটি স্টেশন হবে উড়াল। নদ্দা ও নতুন বাজার স্টেশন দুটি বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে পাতালে নির্মিত হবে। নতুন বাজার স্টেশনে এমআরটি লাইন- ৫ নদ্দা রুটের সঙ্গে আন্তঃলাইন সংযোগ থাকবে। নদ্দা ও নতুন বাজার স্টেশনের আন্তঃরুট সংযোগ ব্যবহার করে বিমানবন্দর রুট থেকে পূর্বাচল রুটে এবং পূর্বাচল রুট থেকে বিমানবন্দর রুটে যাওয়া যাবে।
উভয় রুটের বিস্তারিত স্টাডি, সার্ভে, বেসিক ডিজাইন, ডিটেইলস ডিজাইন ও পিতলগঞ্জ ডিপোর ভূমির অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এমআরটি লাইন- ১ এর রিসিভিং সাব স্টেশন- ২ এবং নদ্দা, নতুন বাজার ও উত্তর বাড্ডা পাতাল স্টেশনের ভূমির অধিগ্রহণ কার্যক্রম চলছে। এমআরটি লাইন- ১ এর নির্মাণকাজ মোট ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
গত ১ মার্চ ডিপোর ভূমি উন্নয়ন সংক্রান্ত প্যাকেজ সিপি- ১ এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ২৬ শতাংশ। প্যাকেজ সিপি- ৯, সিপি- ১০ ও সিপি- ১১ এর প্রাক-যোগ্যতার আবেদনগুলো মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন। প্যাকেজ সিপি- ১২ এর প্রাক-যোগ্যতার আবেদনের মূল্যায়ন কার্যক্রম চলমান। প্যাকেজ সিপি- ২, সিপি- ৩, সিপি- ৪, সিপি- ৫, সিপি- ৬, সিপি- ৭ ও সিপি- ৮ এর দরপত্র আহ্বান কার্যক্রম বিভিন্ন পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা ঢাকা পোস্টকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের বিপরীত পাশেই আমাদের একটি স্টেশন আছে। স্টেশনটি আন্ডারগ্রাউন্ডে হবে। রাস্তার দুই পাশে সংযুক্ত করার জন্য মাটির নিচে আমাদের একটি টানেল থাকবে। সেগুলো ব্যবহারের জন্য আমাদের লিফট সুবিধাও থাকবে। এটি ব্যবহার করে তৃতীয় টার্মিনালের যাত্রীরা আমাদের মেট্রোরেলে চড়তে পারবে।
যেভাবে যুক্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)
বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের জন্য নির্মিত হচ্ছে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। এ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পথচারীদের রাস্তা পারাপার নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে এ প্রকল্পের আওতায় হাজি ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল পর্যন্ত ৬২০ মিটার দীর্ঘ একটি প্রশস্ত পথচারী-পারাপার ব্যবস্থা (আন্ডারপাস) নির্মাণ করা হচ্ছে। এ আন্ডারপাসে বিআরটি ও এমআরটি লাইন- ১ এর স্টেশনসহ মোট সাতটি প্রবেশপথ থাকবে। গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত করিডোরে উভয়মুখী বিআরটি বাস চলাচলের জন্য রাস্তার মাঝখানের অংশে দুটি ডেডিকেটেড বিআরটি লেন থাকবে। এ প্রকল্পে বিআরটি করিডোর নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে উভয় পাশের সাধারণ রাস্তার লেন, ধীরগতি যানবাহন চলাচলের পৃথক লেন এবং পথচারী চলাচলের জন্য ফুটপাথের উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ কাজও চলমান রয়েছে।
প্রকল্পের কাজ শেষ হলে যাত্রীদের বিআরটি বাস ব্যবহারের জন্য বাসে চড়ার আগেই টিকিট কাউন্টার বা ভেন্ডিং মেশিন হতে টিকিট ক্রয় করতে হবে অথবা অনলাইন থেকে র্যাপিড পাস আগেই কিনে রাখতে হবে। স্টেশনে যাত্রীদের জন্যে তথ্য প্রদর্শন ডিসপ্লে, স্বয়ংক্রিয় তথ্য ঘোষণার ব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা, যাত্রীদের পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা ও টয়লেট সুবিধা থাকবে। প্লাটফর্মের যাত্রীদের বাসে ওঠার সময় নিরাপত্তা দিতে স্টেশনগুলোতে স্বয়ংক্রিয় দরজার ব্যবস্থা থাকবে। বিমানবন্দর ও গাজীপুরে নির্মাণাধীন উভয় বিআরটি টার্মিনালেই পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা, রেস্ট রুম ও অফিস রুমের ব্যবস্থা থাকবে।
এ পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরত্ব যেতে সময় লাগবে ৪০ মিনিটের মতো। বর্তমানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যানজট নিরসনের জন্য বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণাধীন দুটি ফ্লাইওভার ও সড়কের কিছু অংশ সবধরনের যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে ঢাকার সব যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়ে জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিমানবন্দরে যে গণপরিবহন সমন্বয়ের ঘাটতি ছিল, তৃতীয় টার্মিনালে মেট্রোরেল ও বিআরটি যুক্ত হওয়াতে এখন আর সেটি থাকছে না। যেহেতু আমরা তৃতীয় টার্মিনালের কথা বলছি, সেখানে আমাদের সক্ষমতা দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে যাবে। সেই হিসেবে এখানে সমন্বিত গণপরিবহন ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন ছিল। সেটির চমৎকার একটি কানেক্টিভিটি তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যারা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে তৃতীয় টার্মিনালে যাবেন বা আসবেন তাদের জন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে একটি চমৎকার ঔষধ হিসেবে কাজ করবে।
এমএইচএন/