ডেঙ্গু আতঙ্কের মধ্যে ‘কয়েলে পুড়ছে’ ভোক্তার পকেট
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আতঙ্কে রয়েছেন একটি বেরসকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মিনহাজ লাবলু। মশা থেকে পরিবারকে বাঁচাতে কয়েল কিনতে শিশুকন্যা লুবনাকে কোলে নিয়ে দোকানে আসেন তিনি। খোঁজ-খবর নিয়ে দোকানে গেলেও পাচ্ছিলেন না কাঙ্ক্ষিত মানের মশার কয়েল।
মিরপুর উত্তর পীরেরবাগের একটি মুদি দোকানের সামনে বুধবার রাতে কথা হয় লাবলুর সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাজারের অনেক কয়েল ব্যবহার করেছি, ২৫ টাকার কয়েল হয়ে গেছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ৫০ টাকারটা ছাড়িয়েছে ১০০ টাকা। কয়েলের কার্যকারিতা না বাড়লেও দাম কিন্তু বাড়ছেই। ডেঙ্গু আতঙ্কের কারণে আমাদের ঘরে দরকার কার্যকরী কয়েল, কিন্তু পাচ্ছি না। কোনটা আসল আর কোনটা নকল বোঝা দায়! দাম টেম্পারিং করা, বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহারেও ঘাপলা রয়েছে বলে শুনেছি। আমরা সাধারণ পাবলিক কোথায় যাব?
আরও পড়ুন : স্যালাইন, ডাব ও মাল্টার দাম বাড়িয়ে ডেঙ্গু রোগীদের ‘জিম্মি’
একই অভিযোগ করেন পাকা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাসায় এক ছেলের জ্বর। নিজেও ডেঙ্গু আক্রান্ত। কয়েলই যে একমাত্র ভরসা তা নয়, তবুও মশা তাড়াতে বাসায় কয়েল ব্যবহার করি। সেই কয়েলও যেন হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। দাম বেড়েই চলেছে। গত বছরও যে কয়েলের প্যাকেট কিনেছিলাম ৬০-৭০ টাকায় সেটা এখন ১০৫-১১৫ টাকা হয়ে গেছে। একে তো ডেঙ্গুর আতঙ্ক, তার মধ্যে কয়েলের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলেছে।
খুচরা দোকানদার ও ব্যবসায়ীরাও বলছেন, গত বছরের তুলনায় প্রতি বক্স কয়েলের দাম ২০ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যে কয়েলের কাটতি বেশি, সেটির দামও বাড়ছে বেশি। আবার কোনটা যে আসল আর কোনটা নকল তা বোঝা মুশকিল।
ক্রেতাদের দাবি, ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় কয়েলের চাহিদা বেড়েছে। এ সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে উৎপাদকরা। কখনো কখনো কয়েলের সাপ্লাই কম দেখিয়েও নেওয়া হচ্ছে বাড়তি দাম। কয়েলের দাম নির্ধারণ, সহজলভ্য করাসহ ভোক্তা হয়রানি ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা এখন জরুরি।
দাম ও উৎপাদনের তারিখ টেম্পারিং
বেশ কয়েকটি দোকান, সুপার শপ ও বিশেষায়িত ওষুধের দোকান সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, একেক কয়েলের একেক দাম। কোনো কোনো কয়েলের প্যাকেটে দাম ও উৎপাদনের সিল টেম্পারিং করা। তারিখে হেরফের, আমদানি বা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নামেও রয়েছে তারতম্য।
আমদানি করা কয়েলের চেয়ে নকল কয়েলই বেশি বাজারে
উত্তর পীরেরবাগ এলাকার একটি ফার্মেসিতে গিয়ে দেখা যায়, বাওমা চায়না স্মোক কয়েলের উৎপাদনের তারিখ ০৮/২০২২ সেটির দাম ১০৫ টাকা। আবার নন স্মোক বাওমা কয়েলের দাম ১১৫ টাকা, উৎপাদনের তারিখ দেখা যায় একই।
একই কয়েলের দাম ছাপড়া মসজিদের একটি মুদি দোকানে গিয়ে দেখা যায়, উৎপাদন তারিখ আগস্ট ২০২৩ হলেও কয়েলের দাম লেখা ১০৫ টাকা।
দেশীয় ব্র্যান্ডের কয়েল ড্রাগন, এক্সট্রিম, ঈগলের ক্ষেত্রেও দেখা যায় দাম টেম্পারিং করা। ব্র্যান্ডের এসব কয়েলের বিপরীতে নকল কয়েল দোকানে দোকানে সরবরাহ হচ্ছে কিনা সেই সদুত্তর দিতে পারেননি বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন : ‘সংসারটা গুছিয়ে এনেছিলাম, ডেঙ্গু তছনছ করে দিল সব’
একটি দোকানের বিক্রেতা রিয়াদ বলেন, গত জুন থেকে নানা কোম্পানির কয়েল সরবরাহকারীরা ভিড় করছেন দোকানে। কিছু তো কয়েল রাখতেই হয়। কয়েলের চাহিদাও বেড়েছে, তাই লাভ যেখানে বেশি সেটাই দোকানে রাখছি। ব্র্যান্ডের কয়েলগুলোই রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু ব্র্যান্ডের কথা বলে যেসব রাখছি তার কোনটা আসল বা নকল সেটা তো আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।
কয়েল প্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত
একটি মিনি সুপার শপের বিক্রেতা জুবায়ের আদনান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছর বাওমা চায়না কয়েল বিক্রি করেছি ৭৫ টাকায়। সেটি এ বছর বিক্রি শুরু করছি ৯০ টাকায়। গত মাসেও এটা ১০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে। এ সপ্তাহে এটার স্মোক কয়েলের দাম লেখা হয়েছে ১১৫ টাকা আর নন স্মোকটা ১২৫ টাকা করা হয়েছে। ক্রেতারা কিনছেন। অনেকে বিরক্ত হচ্ছেন। কিন্তু দাম তো আমরা নির্ধারণ করি না। গত বছর যে কয়েলের দাম ছিল ৩০ বা ৩৫ টাকা, সেটা এখন ৬০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। গুড নাইট পাওয়ার একটিভের দামও ১০ টাকা ও এর মেশিনের দামও বেড়েছে ২০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও কম ছিল। কয়েলের দাম নির্ধারণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দেখা উচিত।
গুড নাইট একটিভ প্লাস ভেপুরাইজারের দামও বেড়েছে
ঘর থেকে মশা তাড়াতে সৌখিন ভোক্তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে গুড নাইট পাওয়ার একটিভ ভেপুরাইজার। কিন্তু সেটির দামেও বিভিন্ন দোকানে দেখা গেছে তারতম্য।
উত্তর পীরেরবাগে অবস্থিত স্বপ্ন সুপার শপের একটি আউটলেটে গিয়ে দেখা যায়, ০৬/২০২৩ এ উৎপাদনের তারিখ লেখা গুড নাইট একটিভ প্লাস ভেপুরাইজারের দাম ১৯০ টাকা।
অন্য দোকানে গিয়ে দেখা যায়, দুই মাস পরে বাজারজাত করা ও উৎপাদনের তারিখ ০৮/২০২৩ লেখা একই গুড নাইট একটিভ প্লাস ভেপুরাইজারের দাম লেখা ১৭০ টাকা। দামে এমন তারতম্যে অবাক সুপার শপটির বিক্রেতারাও। বলছেন, কয়েলে সমস্যা নেই, ঘাপলা দামে। সরবরাহকারীরা দাম টেম্পারিং করছে।
নকল কয়েল প্যাকেট খুলে হচ্ছে খুচরা বিক্রি
বেশ কয়েকটি দোকান ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্র্যান্ড নয়, স্থানীয়ভাবে তৈরি করা নামসর্বস্ব কোম্পানির কয়েল বেশি বিক্রি হচ্ছে খুচরা পর্যায়ে। এক প্যাকেটে কয়েল থাকে ১০ পিস। দোকানে দোকানে নকল কয়েল পিস পিস বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ১০ টাকা মূল্যে।
আরও পড়ুন : হঠাৎ বেড়েছে জ্বরের রোগী, আশঙ্কার বিষয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা
শ্যামলীতে একটি দোকানে রিকশা চালক সবুজ মিয়াকে দেখা যায় খুচরা কয়েল কিনতে। তিনি বলেন, গ্যারেজেই থাকি। সেখানে প্রচুর মশা। তাই রাতে যাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারি তাই কয়েল কিনতে আসা। কিন্তু পুরো প্যাকেট কিনতে পারছি না, তাই খুচরা হিসেবে এক পিস কিনছি। দুই রাত চালাইতে হবে।
পীরেরবাগ মাইকের দোকানের গলির মুদি দোকানদার কামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুনছি এই এলাকা ডেঙ্গুর হট জোন। দোকানে প্রচুর কয়েল বিক্রি হচ্ছে। দিনের কয়েল দিনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে অর্ডার দিয়েও কয়েল পাচ্ছি না।
বিএসটিআই অনুমোদিত বৈধ মশার কয়েল ২২৯টি
বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসিআই ফর্মেশন লিমিটেডের এসিআই সুপার প্লাস, হাই বুস্টার, হাই বুস্টার জাম্বু, ব্ল্যাক ফাইটার, ম্যাক্স ক্লাসিক, ম্যাক্স ল্যাভেন্ডার, ম্যাক্স লো স্মোক, ম্যাক্স হাসনাহেনা, বসুন্ধরা মাল্টি পেপার ইন্ডাস্ট্রির এক্সট্রিম, কাজী এন্টারপ্রাইজের ঈগল সুপার পাওয়ার মেগা বুস্টার ঈগল ওয়ান স্ট্রেট শুটার ম্যাক্স হিট জাম্বু পাওয়ার মেগা বুস্টার, স্ট্যান্ডার্ড ফিনিশ ওয়েলের ফিনিশ পাওয়ার হিট সর্ব ব্ল্যাক বুস্টার ফিনিশ নিউ বুস্টার, গ্লোব ইনসেকটিসাইডস এর গ্লোব, এনআরএসসহ কয়েক শ’ ধরনের কয়েল বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
গত বছর গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিএসটিআই বৈধ মশার কয়েলের লাইসেন্সধারীদের তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে ১২৫টি কোম্পানিকে মোট ২২৯টি মশার কয়েলের নাম, ঠিকানা ও ব্র্যান্ডের নাম প্রকাশ করে।
ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, এই পণ্য উৎপাদন, বিক্রয়-বিতরণের আগে বিএসটিআই-এর লাইসেন্স গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু কিছু অসাধু উৎপাদনকারী বিএসটিআই-এর সিএম লাইসেন্স গ্রহণ না করে নকল ও নিম্নমানের মশার কয়েল উৎপাদনপূর্বক পণ্যের মোড়কে অবৈধভাবে বিএসটিআই-এর মানচিহ্ন ব্যবহার করে বিক্রি-বিতরণ ও বাজারজাত করছে। এতে একদিকে জনগণ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে, অন্যদিকে ক্রেতা সাধারণ নিম্নমানের পণ্য ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছেন। নকল ও নিম্নমানের মশার কয়েল উৎপাদনকারী এবং অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিএসটিআই-এর মোবাইল কোর্ট ও সার্ভিল্যান্স অভিযান অব্যাহত আছে।
মনিটরিং না করলেও ৩৩০টি কয়েল তৈরির অনুমতি দিয়েছে কৃষি বিভাগ
মানুষের ক্ষতি করে মশাসহ এমন পোকামাকড় মারার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছয় শতাধিক লাইসেন্স ছিল, যারা বিভিন্ন ধরনের মশার কয়েল, অ্যারোসোল, তরল ওষুধ, ক্রিম উৎপাদন করছে। এর মধ্যে বিএসটিআই অনুমোদিত মশার জন্যই কয়েলের লাইসেন্স ছিল ২২৯টি। তবে নতুন করে সম্প্রতি মশার কয়েল উৎপাদনের জন্য আরও ৩৩০টি লাইসেন্স দিয়েছে কৃষি বিভাগ। ফলে এখন দেশে অনুমোদিত মশার কয়েলের লাইসেন্স ৫৫৯টি।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে গঠিত বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির (পিটাক) ৮৬তম সভায় ৩৩০টি লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাঠ পর্যায়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেই এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বাজারে নকল কয়েলই বেশি, দাবি উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের
বিএসটিআই এর ২২৯টি ও কৃষি বিভাগ কর্তৃক ৩৩০টিসহ মোট ৫৫৯টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত কয়েল প্রস্তুতকারক কোম্পানি। এর বাইরে নামে-বেনামে নামসর্বস্ব কোম্পানির তৈরি কয়েল ও নকল কয়েল বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর ও মফস্বল এলাকায়। এটা নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করেও নিস্তার মিলছে না বলে জানিয়েছেন মসকিউটো কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি মো. আমান উল্লাহ মুন্সী।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কৃষি বিভাগ ও বিএসটিআইকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভোক্তায়ও অভিযোগ করেছি। অল্প কিছু অভিযান হচ্ছে। তাতে কার্যকরী কোনো ফল নেই। বরং এটা স্পষ্ট যে, নকল আর নামসর্বস্ব কয়েলে সয়লাব বাজার।
আরও পড়ুন : ভোটের আগে আ. লীগকে ভাবাচ্ছে ‘দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট’
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে যে কোনো ধরনের কয়েল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় কৃষি বিভাগ। আমদানির জন্য কোনো এলসি যাতে না হয় সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকও নির্দেশনা দিয়েছে। এরপরও বাওমা নামে কয়েলসহ অনেক কয়েল আমদানি হচ্ছে। বাজারে প্রকাশ্যে বেচা-কেনাও চলছে। দেখার যেন কেউ নেই।
দাম বা নকল দেখার দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তার : বিএসটিআই
বিএসটিআই-এর পরিচালক (প্রশাসন) ও পরিচালক (মান) মো. তাহের জামিল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা লাইসেন্স দিই। লাইসেন্সের বাইরে অবৈধ কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে কয়েল বেচা-কেনা করতে না পারে সেজন্য রাজধানীসহ দেশব্যাপী অভিযানও চলছে। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি নকল কয়েল বাজারজাত হচ্ছে, পাশাপাশি দামও বেশি নেওয়া হচ্ছে। দামে টেম্পারিং হচ্ছে। এসব দেখার দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিদপ্তরের। তবে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘনঘন অভিযান পরিচালনা করার জন্য।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েলের দাম বৃদ্ধি বিষয়ক কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। কয়েলের দাম যদি এক বছরে ৪০ টাকা ৫০ টাকা বেড়ে যায়, তা দেখার দায়িত্ব প্রতিযোগিতা কমিশনের। তবে নির্ধারিত দামের বেশি মূল্যে কয়েল বিক্রি হলে বা টেম্পারিং ও অনুমোদিত হলে আমরা অভিযান পরিচালনা করি, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং-এর দায়িত্ব প্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা উপ-পরিচালক (মনিটরিং) ড. মো. মিজানুর রহমান। মন্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত সেলফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেইউ/এসকেডি