সরকার নির্বাচনে ইন্টারফেয়ার করেনি, বরং সহযোগিতা করেছে
• ব্যালটে রাতে সিল মেরে রাখার সুযোগ থাকতে পারে
• নির্বাচনের অনিয়ম দূর করার একমাত্র উপায় ইভিএম
• কোনো দলকে নির্বাচনে আনার ক্ষমতা কমিশনের নেই
• ভালো নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আরও সময় লাগবে
• ইভিএম সহজ করতে সরকারের গুরুত্ব দেওয়া উচিত
কে এম নুরুল হুদা। বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রাক্তন সচিব ও বাংলাদেশের সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। চাকরি জীবনে তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ছয় মাস হলো, সিইসি হিসেবে পূর্ণাঙ্গ মেয়াদ শেষ করেছেন। বর্তমানে বই পড়ে ও লিখে অবসর পার করছেন।
ব্যালট পেপারের মাধ্যমে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির গন্ধ পেলেও বর্তমান কমিশনের ওপর আস্থা আছে তার। তবে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিকল্প অন্য কোনো পদ্ধতি নেই বলেও গুরুত্বারোপ করেন নুরুল হুদা।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ কমিশনের ভূমিকা এবং কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের নির্বাচন প্রস্তুতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে একান্ত আলাপ করেছেন সাবেক এ সিইসি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাইদ রিপন।
ঢাকা পোস্ট : সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে আপনার কিছুই করার ছিল না। সরকার বা সরকারি দলের লোকজনের কারণে নাকি এমনটি হয়েছিল?
কে এম নুরুল হুদা : না, আমি যে এমন কথা বলেছি সেটি মনে পড়ছে না। কখন, কী বলেছি— সেটি মনে নেই। নির্বাচন আসন্ন। এ সময় কিছু বলতে চাই না। সরকার দায়ী বা আমরা দায়ী না— এগুলো আমি কখনও বলিনি।
আরও পড়ুন >> ‘রাতের ভোট’ বিতর্ক এড়াতে সকালে ব্যালট পাঠাবে ইসি
ঢাকা পোস্ট : ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
কে এম নুরুল হুদা : নির্বাচন কমিশন থেকে বিদায় নেওয়ার আগে আমরা সব বলেছি। ওই সময় আমার পরিষ্কার ক্লারিফিকেশন (বিষয়গুলো স্পষ্ট করা) ছিল। নির্বাচনের সময় বা যখন নির্বাচন চলে, তখন নির্বাচন কমিশনের এক রকম স্ট্র্যাটেজি (কৌশল) থাকে। আবার নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে সব দায়দায়িত্ব আর নির্বাচন কমিশনের থাকে না। নির্বাচনের পরে সবকিছু চলে যায় জুরিসডিকশন বা হাইকোর্টের হাতে। সুতরাং, এখানে যদি কোনো পারসন সংক্ষুব্ধ থাকেন, তাহলে তিনি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। যদি তার অভিযোগ আদালত গ্রহণ করেন তখন তা শোনার সুযোগ থাকে। এরপর কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কিছু শোনার বা বলার থাকে না। এ আইনের কথাই আমি বলেছি।
ঢাকা পোস্ট : আপনার অধীনে করা জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল বা সরকারের চাপ ছিল কি না?
কে এম নুরুল হুদা : আমি এ ধরনের কোনো কথা কখনও বলিনি। আমি কখনও বলিনি যে, সরকারের চাপ ছিল বা সরকারের মতো করতে হবে। আমরা স্বাধীনভাবে নির্বাচন করেছি। নির্বাচনে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে এবং কোনো দল বা কোনো প্রার্থী যদি সংক্ষুব্ধ থাকেন, তাহলে তাদের আমি হাইকোর্টে যেতে বলেছি।
কথা একটাই, নির্বাচন যখন চলে এবং আমাদের কাছে কোনো অনিয়মের খবর আসে তখন আমরা ব্যবস্থা নিই। যদি আমাদের কাছে না আসে বা আমরা যদি না জানতে পারি, তখন তো আইনগতভাবে আমরা নির্বাচনের ওপর ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারি না। এটাই হচ্ছে নির্বাচন পলিসি।
ঢাকা পোস্ট : নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকতে সাংবিধানিকভাবে পাওয়া ক্ষমতা ব্যবহার করতে আপনি কোনো অসুবিধা বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন কি না? এ ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা কেমন ছিল?
কে এম নুরুল হুদা : সরকার কখনও কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। তারা টাকা-পয়সা দেয়, তাদের লোকবল আছে, যেমন- আর্মি, পুলিশ, বিজিবি, ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রশাসনের সবাইকে দিয়ে তারা সহযোগিতা করেছে। আমরা আমাদের মতো নির্বাচন করেছি।
আরও পড়ুন >> নভেম্বরে সংসদ নির্বাচনের তফসিল হতে পারে
আমাদের আমলে নির্বাচনের সময় কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ ছিল না। কারও কোনো প্রভাব ছিল না, কারও বিরুদ্ধে কোনো অবস্থানও ছিল না। আইন ও নিয়ম অনুযায়ী যেভাবে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা ছিল, সেভাবেই নির্বাচন হয়েছে। এরপরও যদি কোনো বিষয় থেকে থাকে তাহলে তা কোর্টের (আদালত) মাধ্যমে সুরাহা হয়েছে।
ঢাকা পোস্ট : বর্তমান কমিশন বলছে, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব ইসির নয়। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিক মাঠে সমাধান করতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী আমরা আগামী সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করব।’ বর্তমান কমিশনের এমন কথা/সিদ্ধান্ত সঠিক কি না? আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপনার বার্তা কী?
কে এম নুরুল হুদা : একদিক দিয়ে বর্তমান কমিশন ঠিক বলেছে যে, নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না— এটি একেবারেই নির্বাচন কমিশনের বিষয় না। তবুও একটি বিষয় থেকে যায়। তাদের সঙ্গে ডায়ালগ (সংলাপ) করা, কথা বলা বা তাদের কথা শোনা এবং সে অনুসারে আইন-কানুনের ভিত্তিতে নির্বাচনের পরিকল্পনা করা। যেগুলো বর্তমান কমিশন চেষ্টা করেছে বলে আমার মনে হয়। এটি আমরাও করেছিলাম।
আমরা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছি। এরপর সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। বর্তমানে তারাও (নির্বাচন কমিশন) আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। এখন যদি কেউ নির্বাচনে না আসে, এখানে তো নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা নেই যে কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে হবে, এমন ক্ষমতাও নেই। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঠিকই বলেছেন যে, দলগুলোকে নির্বাচনে আনা তাদের দায়িত্ব না। তবে, বাইরে থেকে যতটুকু করার সেটি বর্তমান কমিশন করে যাচ্ছে। বর্তমান কমিশন বহুবার সবাইকে ডেকে বসার চেষ্টা করেছে। এখানে তাদের কিছুই করার নেই।
ঢাকা পোস্ট : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিতর্ক আছে। এর পক্ষে এবং বিপক্ষে নানা মত আছে। আপনি বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
কে এম নুরুল হুদা : এ দেশের নির্বাচনে অনিয়ম দূর করার একমাত্র উপায় হলো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ। আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, যুক্তিযুক্তভাবে বিশ্বাস করি, সাইন্টিফিক্যালি (বৈজ্ঞানিকভাবে) বিশ্বাস করি। কারণ, আমাদের দেশ আর যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি, পরিবেশ বা পরিস্থিতি তো সমান না। অথবা সুইডেন, জার্মানিতে কীভাবে নির্বাচন হয়, সেগুলো তো আমাদের দেশে চলে না। আমাদের দেশে নির্বাচনের সময় মানুষের মধ্যে আচরণগত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। এর কার্যকর সমাধান হলো ইভিএম ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন >> মন্ত্রী-সচিবদের সাবেক পিএসদের কাঁধেই সংসদ নির্বাচন!
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ব্রাজিল। বিশ্বের আরও অনেক দেশ সফলভাবে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন করে। দেশগুলোর সঙ্গে সুইডেন বা নেদারল্যান্ডসের তুলনা হয় না। সে কারণে তারা মনে করে যে, ইভিএমই দ্রুততম সময়ের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক সুষ্ঠু নির্বাচনের একমাত্র উপায়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও আমি এমন নির্বাচন ব্যবস্থার বিশ্বাস করি।
আমরা ইভিএমে যখন নির্বাচন করেছি, সেখানে কোনো ভায়োলেন্স (সংঘর্ষ) হয়নি। সাধারণ মানুষও বলেছে যে, আমরা ভালোভাবে ভোট দিয়েছি। কোনো কোনো জায়গায় টেকনিক্যাল একটু সমস্যা হয়েছে। তবে, ওটা ছিল সাময়িক এবং সমাধানযোগ্য।
সরকার ইভিএমের বিষয়ে যা যা করা দরকার (আইনকানুন) তা করছে। বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক অস্থিরতা চলছে বা সরকারের আর্থিক বাজেট সংশ্লিষ্ট সমস্যার কারণে ইভিএম ব্যবহার করতে পারছে না। বর্তমান কমিশনও ইভিএমের মাধ্যমে অনেকগুলো নির্বাচন করেছে। সেগুলো ভালোভাবে হয়েছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনে ছয়/সাত আসনে ইভিএমের ব্যবহার করেছিলাম। তারপর স্থানীয় সরকারের বহু নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার হয়েছে, শত শত ভোট করেছি। কোনো নির্বাচনে কিন্তু অনিয়ম হয়নি। ওই সময় সরকারি দলের লোকজন পরাজিত হয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে ইভিএমের কারণে। এ কারণে আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইভিএমই একমাত্র উপায়।
ঢাকা পোস্ট : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। বাস্তবিক অর্থে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না, আগে ব্যালট পেপারে সিল মেরে রাখার সুযোগ থাকে কি না?
কে এম নুরুল হুদা : এক্ষেত্রে আমার মতামত হচ্ছে, সব জায়গায় আসলে পারবে কি পারবে না, এটি বলা কঠিন। মানুষের হস্তক্ষেপের সুযোগ যখন থাকে, তখন সংঘর্ষ হওয়ারও সুযোগ থাকে। তবে, এখন কীভাবে হবে— এটি এ মুহূর্তে বলা ঠিক না। নেগেটিভ কথা বলা ঠিক হবে না। আমরা আশা করব যে, নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে। নির্বাচন যত প্রতিযোগিতামূলক হবে, ততই সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন >> ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকবে ফেসবুক প্রচারণা
যদি কেউ ভোটকেন্দ্রে না যায় অথবা প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি না হয়, তখন কী হবে এটি এখন বলা ঠিক হবে না। তবে, ব্যালটে নির্বাচনের কারণে আগের দিন রাতে সিল মেরে রাখার সুযোগ থাকতে পারে। ব্যালটে সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকে। সেখানে অনিয়ম হতে পারে। বর্তমান কমিশন অবশ্যই এ বিষয়ে আন্তরিক হবে। কমিশন প্রথমে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার কথা বলেছিল। এখন শুনছি তাও দিতে পারবে না। আসলে এত আসনে সিসি ক্যামেরা দেওয়া সম্ভব না। মানে, লাখ লাখ ভোটকেন্দ্রে সিসি টিভি, এটি আমাদের দেশ বিবেচনায় সম্ভব নয়।
ভবিষ্যতে নির্বাচনে কারচুপি হবে কি হবে না, এ কথা আমি বলতে চাই না। এ জাতীয় কথা বলাও উচিত না বলে মনে করি।
ঢাকা পোস্ট : সংবিধান অনুযায়ী আউয়াল কমিশন দলীয় সরকারের অধীনে এবারের সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পারবে কি না?
কে এম নুরুল হুদা : পারবে, তারা পারবে। যত দূর সম্ভব পারবে। তবে, এ বিষয়ে রাজনীতিবিদদের অঙ্গীকার ঠিক থাকতে হবে। বর্তমান কমিশনও ভালোভাবে কাজ করছে। প্রত্যেক কমিশনই তাদের সাধ্যমতো কাজ করে। একেক সময় একেক পরিবেশ থাকে। যেমন- ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আলাদা আলাদা পরিবেশ ছিল।
আরও পড়ুন >> পর্যবেক্ষক নিবন্ধন : ইসির প্রাথমিক তালিকায় ৬৮ সংস্থা
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন হয়। তবে, ভালো নির্বাচন ব্যবস্থায় আসতে আরও সময় লাগবে। যেমন- ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৩০০ থেকে ৩৫০ লোক মারা গেছে। ৫০০ স্কুল ও সরকারি অফিস ভাঙচুর হয়েছে। বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে দেড়শ বা ২০০ বছর আগে এমন নির্বাচন হতো। হয়ত দেড়শ বা ২০০ লোক মারা যেত না। ফিলিপাইনে যেমন ৪০০ বা তারও বেশি লোক মারা যেত। কিন্তু গত নির্বাচনে দেশটিতে মাত্র চারজন মারা যায়। কারণ, তারা ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করেছে।
যুক্তরাজ্য ১৮৩০ সাল থেকে চেষ্টা করছে কীভাবে নির্বাচন ভালো করা যায়। এখন তাদের দেশে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়। এটি আমাদের দেশেও হবে। তবে, হঠাৎ করে হবে না। যুক্তরাজ্য যখন সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা চিন্তা করেছে তখন ভারতসহ আমাদের দেশের জন্মই হয়নি। কাজেই সেই দেশের সঙ্গে এখন আমাদের তুলনা করলে হবে না। এটিই হচ্ছে বাস্তবতা। ইভিএম পদ্ধতি আরও সহজ করেই আমরা নির্বাচন করতে পারব। এ বিষয়ে সরকারের আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করি।
ঢাকা পোস্ট : একটু ব্যক্তিগত বিষয়ে আসি। আগে তো ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এখন বেশ অবসর, কীভাবে সময় পার করছেন?
কে এম নুরুল হুদা : আমি এখন লেখাপড়া করি। পাশাপাশি কিছু লেখালেখিও করি। লেখালেখি আর বই পড়েই দিনের বেশির ভাগ সময় চলে যায়। তবে, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে কিছু লিখছি না।
আরও পড়ুন >> জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের শেষে : সিইসি
ঢাকা পোস্ট : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কে এম নুরুল হুদা : আপনাকে এবং ঢাকা পোস্ট পরিবারকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
এসআর/এমএআর/