নিজেই সংকটে, বিস্ফোরণে নজর দেবে কীভাবে?
সব ধরনের বিস্ফোরক, পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থের অনুমোদন এবং সিলিন্ডার ও গ্যাসাধারে লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নের কাজ করে বিস্ফোরক পরিদপ্তর। এলপিজি বা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস আমদানি, পেট্রোল-গ্যাস পাম্পের অনুমোদন, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প-কারখানার অনুমোদনসহ ৪৪ ধরনের সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানটি ধুঁকছে জনবলসহ নানা সংকটে।
মাত্র ১৭ কর্মকর্তা দিয়ে চলছে ৬৪ জেলার পেট্রোলিয়াম খাতের তদারকি। নিয়মিত তদারকি না থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। জনবল সংকট এতটাই প্রকট যে নিজ দপ্তরে যোগ্য কর্মকর্তা না থাকায় প্রধান বিস্ফোরক পদে যুগ্মসচিব পদমর্যাদার এক আমলাকে বসানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত দুই দশকে দেশে পেট্রোলিয়াম, প্রজ্বলনীয় পদার্থ, উচ্চ-চাপসম্পন্ন গ্যাস পাইপলাইন, সিলিন্ডার গ্যাসের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে। অনেক নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিতে হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্প-কারখানার অনুমোদন ও নিয়মিত তদারকিকরণ।
মাত্র ১৭ কর্মকর্তা দিয়ে চলছে ৬৪ জেলার পেট্রোলিয়াম খাতের তদারকি। নিয়মিত তদারকি না থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। জনবল সংকট এতটাই প্রকট যে নিজ দপ্তরে যোগ্য কর্মকর্তা না থাকায় প্রধান বিস্ফোরক পদে যুগ্মসচিব পদমর্যাদার এক আমলাকে বসানো হয়েছে
আরও পড়ুন >> জমা গ্যাসেই বিস্ফোরণ, তিতাসের ‘না’
এছাড়া বিস্ফোরক জাতীয় যেকোনো দুর্ঘটনা তাৎক্ষণিক পরিদর্শন ও প্রতিবেদন প্রকাশ, জেলা ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা— এসব কর্মযজ্ঞে অন্তত দুই শতাধিক কর্মকর্তার প্রয়োজন। অথচ আছেন মাত্র ১৭ জন। লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান বা স্টেশন পরিদর্শনে এক বছরেরও বেশি সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে। কর্মকর্তাদের দাবি, দপ্তরের বাইরে অনিয়মিত কাজ করতে গিয়ে বিস্ফোরণ জনিত দুর্ঘটনার দিকে নজর দিতে পারছেন না তারা।
যে সব সেবা দেয় বিস্ফোরক পরিদপ্তর
৪৪ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে এ পরিদপ্তর। যার অধিকাংশ পরিদর্শন-সংশ্লিষ্ট। পরিদপ্তরের আওতাভুক্ত পেট্রোলিয়াম, বিস্ফোরক ও গ্যাস সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনা, মজুদাগার, গ্যাসাধার তদারকি করতে হয় তাদের। সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপনের লাইসেন্স ও রূপান্তর সিএনজি সরঞ্জামাদি আমদানি, হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্টের অনুমোদন, বিভিন্ন শিল্প-কারখানা যেমন- ম্যাচ শিল্প, গ্লাস শিল্প, চামড়া শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে ব্যবহার্য পটাশিয়াম নাইট্রেট, সোডিয়াম নাইট্রেট, পটাশিয়াম ক্লোরেট, রেড ফসফরাস আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয় এখান থেকে। গ্যাসচালিত পরিবহন সিলিন্ডারের নিয়মিত পরীক্ষা, মজুত, মান ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখও দেখভাল করে তারা।
দেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত শিল্প-কারখানা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে অনুমোদন, এলপিজি সিলিন্ডার নির্মাণ প্ল্যান্টের অনুমোদন, এলপিজি রোড ট্যাংকার ও এলপিজি জলযানের অনুমোদন, এলপিজি রিফুয়েলিং স্টেশন (অটোগ্যাস) স্থাপনের লাইসেন্সও দিয়ে থাকে বিস্ফোরক পরিদপ্তর।
আরও পড়ুন >> ৪৫ বছর আগের ভবন : ‘আবাসিক’ নাকি ‘বাণিজ্যিক’ জানে না রাজউক
এছাড়া এলপিজি সিলিন্ডার ও ভালভ আমদানির অনুমোদন, ওয়েল বেইজড (এলএফও/এইচএফও) পাওয়ার প্ল্যান্ট/কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টে পেট্রোলিয়াম মজুতের লাইসেন্স, আন্তঃদেশীয় পাইপলাইনের রুট স্থাপনের নকশারও অনুমোদন দেয় তারা। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও কূপ খনন কাজে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক (চার্জ, বুস্টার, ডেটোনেটর, ডেটোনেটিং কর্ড ইত্যাদি) ব্যবহারের জন্য বাণিজ্যিক বিস্ফোরক আমদানি, মজুত ও পরিবহনের লাইসেন্সও আসে এখান থেকে।
ফাইলবন্দি ১১১৫ জনবলের প্রস্তাব
বর্তমানে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের ১০৪ জনের মধ্যে ৫১টি পদই ফাঁকা। মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে রিপোর্ট প্রস্তুত করতে পারেন এমন কর্মকর্তার সংখ্যা ১৭ জন। বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য আমদানির পরিমাণ বাড়ায় জনবল সংকট কমাতে ২০২০ সালে চার সদস্যের একটি কমিটি এক হাজার ১১৫ জনবল বিশিষ্ট একটি অর্গানোগ্রাম তৈরি করে এবং সে অনুযায়ী জনবল নিয়োগের সুপারিশ করে। ওই প্রস্তাব ২০২২ সালের জুনে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে পাঠানো হয়। কিন্তু এখনও সেটি চূড়ান্ত হয়নি। মাঝে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে তা ফেরত পাঠানো হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এ বিষয়ে বৈঠক করেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
বিস্ফোরক পরিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা ৬০৩টি। এর মধ্যে চলমান ৫১৪টি। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৭২টি এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন ও ৩৩টি এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। হিসাব করলে দেখা যায়, ১৭ কর্মকর্তা দিয়ে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান বা স্টেশনগুলো শুধু একবার পরিদর্শনে সময় লাগে ৫৭১ দিন। অর্থাৎ এক বছরেও একটি স্টেশন পরিদর্শনের সুযোগ হয় না
সর্বশেষ বিস্ফোরক পরিদপ্তর ২০২২ সালের শেষের দিকে প্রতিটি বিভাগে জোনভিত্তিক অফিসের প্রস্তাবসহ নতুন করে ৮৫৯ জনবল বিশিষ্ট একটি সাংগঠনিক কাঠামো জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে পাঠায়। কিন্তু জ্বালানি বিভাগের সচিবকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে পদায়ন এবং বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক পরিবর্তন হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়াটি ঝুলে যায়। এখন নতুন করে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পাঠানোর কাজ শুরু করেছে বিস্ফোরক পরিদপ্তর।
এক বছরেও হয় না পরিদর্শন
বিস্ফোরক পরিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা ৬০৩টি। এর মধ্যে চলমান ৫১৪টি। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৭২টি এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন ও ৩৩টি এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। হিসাব করলে দেখা যায়, ১৭ কর্মকর্তা দিয়ে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান বা স্টেশনগুলো শুধু একবার পরিদর্শনে সময় লাগে ৫৭১ দিন। অর্থাৎ এক বছরেও একটি স্টেশন পরিদর্শনের সুযোগ হয় না।
রুটিনবিহীন পরিদর্শনে দিশেহারা কর্মকর্তারা
পরিদপ্তর-সংশ্লিষ্ট স্টেশনগুলো নিয়মিত পরিদর্শনে যখন কর্মকর্তারা হিমশিম খাচ্ছেন তখন সরকারের নতুন নতুন সিদ্ধান্তে তাদের রুটিন ওয়ার্কের বাইরেও বেশকিছু কাজ করতে হয়। যেমন- হঠাৎ বিস্ফোরণ বা পেট্রোলিয়াম সংক্রান্ত যেকোনো দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে হয়। এর বাইরে সাধারণ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দিতে হয়।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার নেতৃত্বে কলকারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ১০৮টি সমন্বিত পরিদর্শন টিম গঠন করা হয়েছে। এখানে একেকজন বিস্ফোরক পরিদর্শককে ১০টির অধিক পরিদর্শন টিমে কাজ করতে বলা হয়েছে। পরিদপ্তরের নিয়মিত কাজ রেখে ওই পরিদর্শন টিমকে সময় দিতে হচ্ছে। ফলে পরিদর্শনের অপেক্ষায় থাকা শত শত আবেদন নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না
উদাহরণ দিয়ে একজন পরিদর্শক বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর সিদ্দিক বাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এটি তিতাসের পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে হতে পারে। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কাজের আওতায় এটি না পড়লেও মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন আকারে জানাতে হচ্ছে। এছাড়া যানবাহনের সিলিন্ডার পরীক্ষা, কলকারখানার গ্যাস লাইন পরীক্ষার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে পরিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ডাকা হয়।
আরও পড়ুন >> যমদূত কি আমাদের সাথেই ঘুরছে?
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার নেতৃত্বে কলকারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ১০৮টি সমন্বিত পরিদর্শন টিম গঠন করা হয়েছে। এখানে একেকজন বিস্ফোরক পরিদর্শককে ১০টির অধিক পরিদর্শন টিমে কাজ করতে বলা হয়েছে। পরিদপ্তরের নিয়মিত কাজ রেখে ওই পরিদর্শন টিমকে সময় দিতে হচ্ছে। ফলে পরিদর্শনের অপেক্ষায় থাকা শত শত আবেদন নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। এছাড়া পরিদপ্তরের আওতাভুক্ত পেট্রোলিয়াম, বিস্ফোরক ও গ্যাস সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনা, মজুদাগার ও গ্যাসাধার নিয়মিত পরিদর্শন বা নজরদারির বাইরে থেকে যাচ্ছে। ছুটির দিনে কাজ করেও পরিদর্শনের কাজ শেষ করতে পারছেন না কর্মকর্তারা।
অনলাইন লাইসেন্স নবায়নে ‘অ্যানালগ’ ভোগান্তি
এদিকে, অনলাইনে বিস্ফোরক লাইসেন্স নবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তার সুফল পায়নি সেবাপ্রার্থীরা। সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী, আবেদন করার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে লাইসেন্স নবায়নের আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। কিন্তু অনলাইনে আবেদন করার পর এর কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিস্ফোরক অফিসে হাজির হতে হয় সেবাপ্রার্থীদের। তা না হলে নবায়ন হয় না লাইসেন্স।
৪ বছরে সিনিয়র শূন্য হবে পরিদপ্তর
গত বছরের শেষের দিকে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ অবসরে যান। এরপর এ পদে যোগ্য কর্মকর্তা না পাওয়ায় সরকারের একজন যুগ্মসচিবকে এখানে পদায়ন করা হয়। টেকনিক্যাল এ পদে আমলা পদায়ন হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন >> সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ : মামলা গ্রহণে ‘যত ত্রুটি’
তারা জানান, জনবল সংকট এত প্রকট হয়েছে যে দুই-তিন বছরের জুনিয়র কর্মকর্তারা এখন পরিদপ্তরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের (কর্মকর্তা) নেই যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। গত চার বছরে বিস্ফোরক হ্যান্ডলিং, গ্যাস পাইপলাইন, ফিলিং স্টেশনের নকশা/লে আউট, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও তদন্ত সংক্রান্ত কোনো প্রশিক্ষণ তারা পাননি। এমনকি অফিস ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও নেই সবার। সারাদেশে যাতায়াতের জন্য তাদের মাত্র দুটি গাড়ি আছে। অগ্নিকাণ্ড বা কোনো দুর্ঘটনার খবর পেলে কর্মকর্তারা গাড়ি ভাড়া করে কিংবা গণপরিবহনে করে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
এ বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি এ বিভাগে নতুন যোগ দিয়েছি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন অর্গানোগ্রাম নিয়ে বৈঠক করেছি। যা প্রায় চূড়ান্ত। খুব শিগগিরই তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
‘যোগ্য কর্মকর্তা না থাকায় প্রধান পরিদর্শক পদে একজন যুগ্মসচিবকে পদায়ন করা হয়েছে। আমি নিজেও এ বিষয়ে বিব্রত। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক পদে পদায়ন করা হবে। নতুন অর্গানোগ্রাম অনুমোদন হলে জনবল বাড়বে। এতে জোনভিত্তিক ও অনলাইন সেবা কার্যক্রম আরও বেশি গতিশীল হবে এবং সেবার মান বাড়বে— এমনটি আশা করা যায়।’
আরও পড়ুন >> জাহাজীকরণ হচ্ছে না H₂O₂, আইসিডিতে ১০৯ কনটেইনার
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. নায়েব আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘প্রধান বিস্ফোরক পদটি টেকনিক্যাল পদ। মন্ত্রণালয় থেকে পদায়ন করায় আমি এখানে যোগ দিয়েছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
এনএম/