৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজিতে সাকিব, লেনদেন ১০৪ কোটি!
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজিতে ক্রিকেটার সাকিব আল-হাসানের নাম এসেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ফরচুন সুজ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ও বিডিকম অনলাইন লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানগুলোর বেনিফিশিয়ারি অ্যাকাউন্টের (বিও) মাধ্যমে ১০৪ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন সাকিব। সবচেয়ে বেশি ৪৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব পুঁজিবাজারে কারসাজির নায়ক আবুল খায়ের হিরো গ্রুপের সদস্য। তিনি মোনার্ক হোল্ডিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান। আবুল খায়ের হিরোর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান মোনার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। ওই ছয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজির ঘটনায় আবুল খায়ের হিরোর প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের সদস্যদের শাস্তি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু সাকিবকে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব পুঁজিবাজারে কারসাজির নায়ক আবুল খায়ের হিরো গ্রুপের সদস্য। তিনি মোনার্ক হোল্ডিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান। আবুল খায়ের হিরোর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান মোনার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। ওই ছয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজির ঘটনায় আবুল খায়ের হিরোর প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের সদস্যদের শাস্তি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু সাকিবকে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি
আরও পড়ুন >> সাকিব আল হাসান কেন বিতর্কিত পথে?
সাকিব আল হাসান বিএসইসির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বা শুভেচ্ছাদূত। এ কারণে কারসাজি চক্রে জড়িতদের তালিকায় নাম আসার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি— মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে বিএসইসিও মুখ খুলছে না। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সাকিবকে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও জানা যায়, বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ওই ছয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজি খতিয়ে দেখতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) গঠিত দল তদন্ত করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে কারসাজি চক্রের সদস্যদের সঙ্গে সাকিবের বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেনের তথ্যও উঠে এসেছে।
বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২০ মে থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত সময়ে ফরচুন সুজের শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে ৯৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। ডিএসই’র তদন্ত প্রতিবেদনে দেখানো হয়, কারসাজির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বাড়াতে ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অবদান রেখেছে। ওই ঘটনায় আবুল খায়ের হিরোর বাবা আবুল কালাম মাতবরকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সাকিব আল হাসান বিএসইসির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বা শুভেচ্ছাদূত। এ কারণে কারসাজি চক্রে জড়িতদের তালিকায় নাম আসার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি— মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে বিএসইসিও মুখ খুলছে না। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সাকিবকে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন
তদন্তে সাকিব আল হাসানের নামে দুটি বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফরচুন সুজের শেয়ার কেনাবেচার তথ্য মেলে। এর মধ্যে ইবিএল সিকিউরিটিজের বিও অ্যাকাউন্টে ২০২১ সালের ২০ মে থেকে ১৭ জুন সময়ে ২১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৬টি শেয়ার লেনদেন করা হয়েছে। সাকিব শেয়ার কেনেন ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৩টি, বিক্রি করেন এক লাখ ৮৩ হাজার ২৪৩টি। যা টাকার অঙ্কে দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯১।
একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি বিও অ্যাকাউন্টের (১৬০৪৫৩০০৬৯৫৮৫৫৭৪) মোট ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ২৫২টি শেয়ার লেনদেন করেন সাকিব। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ২৫২টি শেয়ার কেনেন তিনি, বিক্রি করেন দুই লাখ শেয়ার। যা টাকার অঙ্কে দাঁড়ায় এক কোটি ৬৬ লাখ ছয় হাজার ৭৩৯।
আরও পড়ুন >> সাকিবের সঙ্গে কোন রঙটা বেশি যায়?
ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর সময়ে কারসাজির মাধ্যমে ৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৬৮ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যা শতাংশের হিসাবে ১২৩ দশমিক ৪৫। এ সময়ে ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শেয়ারটি কারসাজির প্রমাণ পায় বিএসইসি।
আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডে নিজের নামে বিও অ্যাকাউন্ট খুলে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির সঙ্গে সাকিবের নামও জড়িয়ে পড়ে। এই বিও অ্যাকাউন্টে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর সময়ে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ১০ লাখ ২০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে আট লাখ ২০ হাজার শেয়ার ক্রয়, আর দুই লাখ শেয়ার বিক্রি করা হয়। টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ কোটি ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৪৫৩। এ ঘটনায় ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধুমাত্র দেশ আইডিয়াল ট্রাস্ট কো-অপারেটিভকে ৭২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তদন্তে সাকিব আল হাসানের নামে দুটি বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফরচুন সুজের শেয়ার কেনাবেচার তথ্য মেলে। এর মধ্যে ইবিএল সিকিউরিটিজের বিও অ্যাকাউন্টে ২০২১ সালের ২০ মে থেকে ১৭ জুন সময়ে ২১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৬টি শেয়ার লেনদেন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাকিব শেয়ার কেনেন ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৩টি, বিক্রি করেন এক লাখ ৮৩ হাজার ২৪৩টি। যা টাকার অঙ্কে দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯১
কারসাজির মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার ২০২১ সালের ৫ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ১২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৩৩ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ায়। অর্থাৎ ১৭২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বাড়ানো হয় শেয়ারটির দাম।
আরও পড়ুন : দ্য সাকিব থ্রিলার!
ওই ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাকিব আল হাসান ইবিএল সিকিউরিটিজের বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ২৮ লাখ শেয়ার লেনদেন করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির ২৭ লাখ শেয়ার ক্রয় করলেও বিক্রি করেন মাত্র এক লাখ শেয়ার। লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ কোটি ৪০ লাখ ৩৮ হাজার ৯৫ টাকা।
কারসাজির মাধ্যমে আর্থিক খাতের আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ারের দাম ২০২২ সালের ২৯ মার্চ থেকে ২৪ এপ্রিল সময়ে ৩৪ টাকা থেকে ৫৪ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যা শতাংশের হিসেবে ৬০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ইবিএল সিকিউরিটিজের মাধ্যমে সাকিবের অ্যাকাউন্ট থেকে এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ২১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩৩টি শেয়ার লেনদেন করা হয়। এর মধ্যে ১১ লাখ শেয়ার ক্রয়, ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩৩টি শেয়ার বিক্রি করা হয়। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১২ কোটি ২ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৪।
কারসাজির ওই ঘটনায় আবুল খায়ের হিরো এবং তার সহযোগীদের এক কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। কিন্তু সাকিবকে কোনো জরিমান করা হয়নি।
কারসাজির মাধ্যমে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২০ টাকা ১০ পয়সা বাড়ানো হয়। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বাড়ানো হয় ৫৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এ সময়ে শেয়ারটির এমন অস্বাভাবিক উত্থানের কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএসই। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজির নাম উঠে আসে। এর মধ্যে সাকিব আল হাসান ট্রাস্ট ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের বিও অ্যাকাউন্টের (১৬০৫৫৪০০৭৪১৪০৭১৯) মাধ্যমে ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৬৭৬টি শেয়ার লেনদেন করেন। ব্যাংকটির ৭৫ লাখ ১ হাজার ৬৭৬টি শেয়ার কেনা ও ১০ লাখ ২০ হাজার শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে তার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৬ কোটি ৩২ লাখ তিন হাজার ৩৪৪ টাকা। ওই ঘটনায় হিরোর বাবা ও তার সহযোগীদের তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন >> এবার বাজার সৃষ্টিকারীর সনদ চায় সাকিবের মোনার্ক
প্রযুক্তি খাতের বিডিকম অনলাইনের শেয়ার গত ৭ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ মাত্র তিন কার্যদিবসে ২৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৩৪ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ বিষয়ে ডিএসই’র তদন্ত প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলে সিরিয়াল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে শেয়ারের দাম ৪৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে সাকিবের মালিকানাধীন মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেড (১৬০৫১১০০৭১২১২০১০) অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিডিকমের ২৫ লাখ শেয়ার লেনদেন করে। যা টাকার অঙ্কে দাঁড়ায় তিন কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯০০। ওই ঘটনায় কেবল আবুল খায়ের হিরোর প্রতিষ্ঠান ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। হিরো এ প্রতিষ্ঠানের এমডি।
আরও পড়ুন >> সাকিবকে দেখে বেটউইনারে জুয়াড়ির সংখ্যা বাড়ে ১০ গুণ
কারসাজিতে নাম আসার পরও কেন সাকিবকে শাস্তি দেওয়া হয়নি— জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কমিশনার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা এ বিষয়ে মুখপাত্রের কাছে জানতে বলেন। নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনিও কোনো মন্তব্য করেননি।
কারসাজিতে নাম আসার পরও কেন সাকিবকে শাস্তি দেওয়া হয়নি— জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কমিশনার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা এ বিষয়ে মুখপাত্রের কাছে জানতে বলেন। নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনিও কোনো মন্তব্য করেননি
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাকিব জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার। তিনি সরাসরি কারসাজির সঙ্গে জড়িত নন। তার অ্যাকাউন্ট যিনি দেখেন তাকে জরিমানা করা হয়েছে। তাকে (সাকিব) শুধু শুধু হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি কেবল বিনিয়োগ করেছেন। আমার কাছে মনে হয় না তিনি কারসাজি করেছেন।
সিরিয়াল ট্রেডিং কী
সিরিয়াল ট্রেডিং হলো সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) (ভি) (৩) (২)- এর লঙ্ঘন। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই আইনে ন্যূনতম এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে সর্বোচ্চ কত অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে তা নির্ধারিত নেই। অর্থাৎ কমিশন ইচ্ছা মতো জরিমানা করতে পারেন।
আরও পড়ুন >> সাকিবের বাবার জায়গায় হিরোর শ্বশুরের নাম
এছাড়া কমিশন যদি মনে করেন এটি ক্রিমিনাল অফেন্স, তবে আদালতে ফৌজদারি মামলা করতে পারবেন। এ ক্ষমতার বলে কমিশন ১৯৯৬ ও ২০১০-সহ বিভিন্ন সময়ে শেয়ার কারসাজির মামলা করেছে। যা বর্তমানে স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
এমআই/জেডএস/এমএআর/