ভারতীয় ঋণে নয়, নিজস্ব অর্থেই হবে হাসপাতাল
• মেয়াদ শেষ হলেও ‘শূন্য’ অগ্রগতিতে ধুঁকছে স্বাস্থ্যের প্রকল্প
• ব্যর্থ প্রকল্পে নতুন নতুন খাত অন্তর্ভুক্ত করেছে অধিদপ্তর
• দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলেও অর্থ খরচ হয়েছে ০.১১ শতাংশ
৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২১ সালের জুনে। কিন্তু কোনো কাজই করতে পারেনি বাস্তবায়নকারী সংস্থা। কারণ, ভারতের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ সহায়তা পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ভারতের ঋণ থেকে সরে এসে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগমের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ফাইভ হান্ড্রেড (৫০০) বেডেড হসপিটাল অ্যান্ড এনসিলারি ভবন ইন যশোর, কক্সবাজার, পাবনা ও আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ এবং জননেতা নুরুল হক আধুনিক হাসপাতাল, নোয়াখালী (প্রথম সংশোধন)’ শীর্ষক প্রকল্পে এমন ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, ভারতীয় ঋণের ফাঁদে পড়ে মুখ থুবড়ে পড়ে প্রকল্পটি!
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটির ‘শূন্য’ অগ্রগতি নিয়ে প্রথম সংশোধনের জন্য প্রস্তাব পাঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রকল্পটির ওপর মূল্যায়ন কমিটির সভা করে পরিকল্পনা কমিশন। সভায় উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের (ডিপিপি) কিছু খাত সংশোধন করে পুনরায় পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংশোধিত ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় এক বছর পর। ততক্ষণে অর্থাৎ ২০২১ সালের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
পুনর্গঠিত আরডিপিপিতে কতিপয় নতুন অঙ্গ অন্তর্ভুক্তিসহ ভারতীয় ঋণ বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে তিন বছরের প্রকল্পটির বাস্তব কোনো অগ্রগতি হয়নি। আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ০.১১ শতাংশ
সংশোধনী প্রস্তাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে। তবে, সম্প্রতি প্রকল্পটির ওপর আবারও পরিকল্পনা কমিশন পিইসি সভা করে। সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ জানায়।
পিইসি সভায় আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের উপপ্রধান (স্বাস্থ্য) ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন বলেন, সেক্টর কর্মসূচির আওতায় স্থাপিত যশোর, কক্সবাজার, পাবনা ও নোয়াখালী জেলায় মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক সুবিধা-সম্বলিত চারটি হাসপাতাল নির্মাণের কথা রয়েছে। দুই হাজার ১০৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ৫ মে অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬৬৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ (এলওসি- ২) থেকে এক হাজার ৪৪০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা।
তিনি বলেন, পিডব্লিউডি’র রেট সিডিউল এবং কতিপয় অঙ্গের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার কার্যবিবরণী জারির এক বছর পর পুনর্গঠিত সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে দেওয়া হয়। দেরিতে পুনর্গঠিত আরডিপিপি কমিশনে প্রেরণ করায় পরিপত্রের ১.১৪ অনুচ্ছেদের আলোকে প্রক্রিয়াকরণের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনামন্ত্রীর সম্মতি পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় ভারতীয় নমনীয় ঋণের আওতায় গৃহীত আলোচ্য প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ধীরগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকল্পটি ভারতীয় নমনীয় ঋণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে ঢাকার ভারতীয় হাই-কমিশন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রকল্পটি দ্বিতীয় ভারতীয় নমনীয় ঋণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে মত দেয়
পুনর্গঠিত আরডিপিপিতে কতিপয় নতুন অঙ্গ অন্তর্ভুক্তিসহ ভারতীয় ঋণ বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে তিন বছরের প্রকল্পটির বাস্তব কোনো অগ্রগতি হয়নি। আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ০.১১ শতাংশ— বলেন ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন।
পিইসি সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রতিনিধি জানান, পিডব্লিউডি’র রেট সিডিউল ২০১৪ এর পরিবর্তে ২০১৮ কার্যকর হওয়ায় নির্মাণব্যয় বৃদ্ধি এবং ১১টি নতুন বিভাগ অন্তর্ভুক্তির কারণে মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের সংখ্যা ও ব্যয় বৃদ্ধি, কক্সবাজারে মেডিকেল কলেজের ভূমির মূল্য সংযোজন, ন্যাশনাল গ্রিডের টাওয়ার স্থানান্তর এবং ভারতীয় ঋণ (এলওসি- ২) বাদ দিয়ে প্রকল্পের ব্যয় সম্পূর্ণ সরকারিভাবে অর্থায়নের (জিওবি) লক্ষ্যে প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রতিনিধি আরও জানান, অবকাঠামো নির্মাণের আগে প্রকল্পের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্প পরিচালনা বাবদ সরকারি খাতের সামান্য অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ প্রায় সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্নের জন্য প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুনের পরিবর্তে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ প্রয়োজন।
পিইসি সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক একটি মান (স্ট্যান্ডার্ড) নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে ৩১টি বিভাগ রাখা হয়েছে। মূল ডিপিপিতে ২১টি বিভাগ ছিল। সংশোধন প্রস্তাবে অতিরিক্ত ১১টি বিভাগ সংযুক্ত করা হয়েছে।
সংশোধন প্রস্তাবে ভারতীয় ঋণ (এলওসি- ২) সম্পূর্ণ বাদ দেওয়ার বিষয়ে সভায় জানতে চাওয়া হলে ইআরডি প্রতিনিধি জানান, দ্বিতীয় ভারতীয় নমনীয় ঋণের আওতায় গৃহীত আলোচ্য প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ধীরগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকল্পটি ভারতীয় নমনীয় ঋণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে ঢাকার ভারতীয় হাই-কমিশন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রকল্পটি দ্বিতীয় ভারতীয় নমনীয় ঋণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে মত দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও বাংলাদেশ, উভয় দেশের পারস্পরিক সম্মতিতে প্রকল্পটি ভারতীয় নমনীয় ঋণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক ভবন নির্মাণে এক হাজার ৩৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে। যা অধিক মর্মে প্রতীয়মান হয়। আইএমইডি প্রতিনিধি এ প্রসঙ্গে সভায় উল্লেখ করেন, ‘সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এ ধরনের অধিকাংশ আবাসিক ভবনগুলোতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ থাকেন না এবং এগুলো খালি থাকায় সরকারি অর্থের অপচয় হয়। ফলে আবাসিক ভবনগুলোর প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেননি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমাদের দেশে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রটা বেশ অপ্রতুল। ফলে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। কিন্তু আমরা যদি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোর কাজ যথা সময়ে করতে না পারি তাহলে স্বাস্থ্য সেবা থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রকল্প যথাসময়ে শেষ হলে সাধারণ মানুষ এর সুফল পান। সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন না হলে সুফল থেকে বঞ্চিত হন। এটাই হচ্ছে বড় কথা। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর যেহেতু এখনও ভারতীয় ঋণ পাওয়া যায়নি, সেহেতু তাদের ঋণ বাদ দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। যেহেতু মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের একটি ভূমিকা আছে, সেহেতু নিজেদের অর্থায়নেই এটি বাস্তবায়ন করা উচিত।’
‘মূল বিষয় হচ্ছে, আমাদের এডিপির অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হয় না। প্রতিটি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো লাগে। এতে প্রকল্পের খরচও বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও প্রকল্প কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট জবাবদিহিতা নেই বলে আমি মনে করি। তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত।’
পিইসি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত
১. প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি অত্যন্ত কম হওয়ার যৌক্তিক ব্যাখ্যাসহ প্রকল্পের অসমাপ্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে একটি সুনির্দিষ্ট পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য, বাস্তবানুগ ও সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা আরডিপিপিতে সংযুক্ত করতে হবে।
২. প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১৮ হতে জুন ২০২৫ পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
৩. প্রস্তাবিত আরডিপিপিতে প্রকল্প এলাকা হিসেবে মূল ডিপিপিতে উল্লিখিত নোয়াখালীর সদর উপজেলার পরিবর্তে ‘বেগমগঞ্জ’ উপজেলা উল্লেখ করতে হবে এবং এটি আরডিপিপির প্রযোজ্য সব স্থানে প্রতিপালিত করতে হবে।
৪. পুনর্গঠিত আরডিপিপি'র অনুচ্ছেদ- ৮.০ এর ব্যয় প্রাক্কলনে যোগ-বিয়োগ সংক্রান্ত ত্রুটি সংশোধন করতে হবে এবং প্রত্যেক আইটেমের বিপরীতে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা/পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে।
৫. পরিপত্র অনুযায়ী প্রকল্পের জন্য একজন পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগসহ স্থানীয় পর্যায়ের চার কর্মকর্তাকে প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।
৬. প্রকল্পের লগফ্রেম যথাযথভাবে প্রণয়নপূর্বক আরডিপিপিতে সংযুক্ত করতে হবে এবং আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে এনপি, বিসিআর, আইআরআর মান উল্লেখ করতে হবে।
৭. পুনর্গঠিত আরডিপিপিতে যাতায়াত ভাতা বাদ দিতে হবে। যাতায়াত-ব্যয়, শিক্ষাভাতা, ভ্রমণ-ব্যয়, ভ্রমণসহ অন্যান্য ভাতা, ডাক, কুরিয়ার ও নিবন্ধন ইত্যাদি খাতগুলোর ব্যয় প্রয়োজনীয়তার নিরিখে যৌক্তিক পর্যায়ে হ্রাস করতে হবে।
৮. গবেষণা খাতের কাজের ধরন ও প্রকৃতি অনুসারে এ খাতের নাম পরিবর্তন করতে হবে এবং হায়ারিং চার্জের ব্যয় বিভাজনসহ প্রাক্কলিত ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে হ্রাস করতে হবে।
৯. ন্যাশনাল গ্রিডের টাওয়ার স্থানান্তরের ব্যয় পুনর্নির্ধারণপূর্বক তা যৌক্তিক পর্যায়ে হ্রাস করতে হবে।
১০. আসবাবপত্রের ব্যয় প্রাক্কলনে পিডব্লিউডি’র প্রত্যয়নপত্র আরডিপিপিতে সংযুক্ত করতে হবে এবং নতুন পদ সৃজন প্রকল্প সংশোধনের কারণ হতে বাদ দিতে হবে।
১১. বিছানাপত্রের ব্যয় বিভাজন, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের ব্যয় প্রাক্কলনের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে যৌক্তিক পর্যায়ে হ্রাস করতে হবে।
১২. আবাসন ভবনগুলোর সংখ্যা প্রকৃত প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পুনর্নিরীক্ষণপূর্বক এর ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে হ্রাস করতে হবে।
১৩. পুনর্গঠিত আরডিপিপিতে মোটরযান ক্রয়ে ডিপিএম পদ্ধতির যৌক্তিকতা উল্লেখপূর্বক এর সংখ্যা সঠিকভাবে পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া গ্যাস ও জ্বালানির ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে হ্রাস করতে হবে।
১৪. ক্রয় পরিকল্পনায় সুনির্দিষ্ট প্যাকেজ উল্লেখপূর্বক সুনির্দিষ্ট সংখ্যা/পরিমাণ উল্লেখ থাকতে হবে।
এসআর/এমএআর