ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত, সেভাবে মোকাবিলা করতে হবে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর নতুন করে পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক গুনতে হবে, যা দেশের রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, এই নীতি পুরো বিশ্ব-বাণিজ্যে আঘাত হানার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেহেতু ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত বাণিজ্যিক কারণে নিয়েছে, তাই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও দরকষাকষির মাধ্যমে এর সমাধান খুঁজতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা জানান দেশের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এ শুল্কারোপের ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হতে পারে, যা পণ্যের চাহিদা হ্রাস এবং বিশ্ববাজারে মন্দা সৃষ্টি করতে পারে।
স্থানীয় সময় ২ এপ্রিল হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ, পাকিস্তানের ওপর ২৯ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ, চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা উল্লেখ আছে।
আরও পড়ুন
এ ছাড়া কম্বোডিয়ায় ৪৯ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৪৪ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৩৬ শতাংশ, তাইওয়ানে ৩২ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডে ৩১ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ শতাংশ, জাপানে ২৪ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২৪ শতাংশ, ইসরায়েলে ১৭ শতাংশ, ফিলিপাইনে ১৭ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ১০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১০ শতাংশ, তুরস্ক, ব্রাজিল, চিলি, এবং অস্ট্রেলিয়ায় ১০ শতাংশ করে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুল্কনীতির কারণে বাংলাদেশের ওপর কী প্রভাব পড়বে?
বাংলাদেশের পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব মূল্যায়ন করতে হলে প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপর আরোপিত শুল্কের হার বিবেচনা করা জরুরি। প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের ওপর ১০ শতাংশ, ভারতের ২৬ শতাংশ, পাকিস্তানের ৩০ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ৪৪ শতাংশ, ভিয়েতনামের ৪৬ শতাংশ এবং কম্বোডিয়ার ৪৯ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত, পাকিস্তান ও তুরস্কের ওপর আরোপিত শুল্কহার বাংলাদেশের তুলনায় কম, যা ভারতের জন্য কিছুটা সুবিধাজনক হতে পারে। তবে বাস্তবতা হলো, মূল্যবৃদ্ধির কারণে মার্কিন ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যেতে পারে, যার ফলে সামগ্রিকভাবে বাজার সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর শুল্কহার অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের তুলনায় কম হওয়ায় খাতটি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাবের মুখে পড়বে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের কি করা উচিত?
বাংলাদেশের জন্য মার্কিন শুল্কনীতির প্রতিক্রিয়া কৌশলগতভাবে পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের উচিত মার্কিন পণ্যের ওপর প্রচলিত ৭৪ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০-৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা। এর ফলে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কহার ১৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে, যা আমাদের রপ্তানির জন্য সুবিধাজনক হবে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, মার্কিন নতুন শুল্কনীতি বাংলাদেশের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে মনে রাখতে হবে এই প্রভাব পড়বে আমেরিকার অর্থনীতিতে চাহিদা কমার কারণে। ধারণা করা হচ্ছে এই শুল্ক আরোপ করায় আমেরিকার অর্থনীতিতে মন্দা আসবে। সবকিছুর দাম বাড়বে। এতে ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতা কমতে পারে। ফলে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি কমার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিযোগীদের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান খুব বেশি পরিবর্তন হবে না জানিয়ে ড. জাহিদ বলেন, নতুন শুল্কনীতি শুধু বাংলাদেশ নয় প্রতিযোগীদের ওপরও আরোপ করেছে। ফলে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাসহ অন্য দেশগুলোও একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশকে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনা করতে হবে, পরোক্ষ শুল্ক হিসাবের ভিত্তিগুলো যথাযথ কিনা। পাশাপাশি, সরকার ইতোমধ্যে যে সংস্কারগুলো করেছে, সেগুলো তুলে ধরতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক ছাড় দিচ্ছে, এর মধ্যে রয়েছে ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। চীনও এই ছাড় পাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ এই তালিকায় নেই। বাংলাদেশের উচিত যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানো যে, বাংলাদেশ কম দামের পোশাকসহ প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি করে। এ কারণে এসব পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড়ের বিষয়টি যুক্তি দিয়ে তুলে ধরা অতি জরুরি।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের মন্তব্য
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মার্কিন শুল্কারোপ এটা অপ্রত্যাশিত ছিল না তবে তাদের বাড়ানোর মাত্রাটা আশ্চর্যান্বিত করেছে। তারা বাংলাদেশে জন্য প্রযোজ্য শুল্ক ১৪ শতাংশ ধরেছে। এর সঙ্গে ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসাচ্ছে। চলমান শুল্কের সঙ্গে অতিরিক্ত যোগ হয়ে ৫০ থেকে ৫২ শতাংশ দিতে হবে। এটা অনেক বড় অংক। এটার ফলে যা হবে পণ্যের দাম বাড়বে চাহিদা কমে যাবে।
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১০ ডলারের একটা শার্ট ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে দাম হতো সাড়ে ১১ ডলার; এখন আরও অতিরিক্ত শুল্ক যোগ করলে দাম দাঁড়াবে ১৫ ডলার। এতে চাহিদা সংকোলন হবে। যার নেতিবাচক প্রভাব রপ্তানিতে পড়বে-এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপরও অতিরিক্ত শুল্কারোপ করা হয়েছে। যেমন- ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ, কম্বোডিয়া ৪৯ শতাংশ- এটা আমাদের চেয়ে বেশি। এখান থেকে আমরা সুবিধা নিতে পারবো। অন্যদিকে ভারতে ২৬ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে এটা আমাদের চেয়ে কম। এখানে তারা বেশি সুবিধা নেবে। অর্থাৎ সব দিক থেকেই প্রভাব পরবে।
অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা জানিয়ে এই অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ জানান, ইতোমধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও চীন বলেছে তারাও অতিরিক্ত শুল্কারোপ করবে। এতে করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হবে ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর হবে না।
তিনি আরও বলেন, এখন আমরা আলোচনা করতে পারি। তাদের জিজ্ঞাসা করতে পারি কি বিবেচনা বা হিসেবে এই শুল্কারোপ করা হয়েছে। এই তুলা রপ্তানিতে বাংলাদেশের কোনও শুল্ক নেই। বাংলাদেশ স্ক্র্যাপ আমদানি করে আমেরিকা থেকে। সেখানে শূন্য শুল্ক। পেট্রোলিয়াম গ্যাস আমদানিতে ৩১ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এই হচ্ছে প্রধান প্রধান আমদানি। তাহলে আমেরিকা কেন ৭৪ শতাংশের কথা বলছে, সেটা জানতে চাওয়া দরকার। এসব নিয়ে দরকষাকষি করতে হবে। তাদের বলতে হবে- তোমাদের কাছ থেকে তুলা এনে আমরা পণ্য তৈরি করে তোমাদের দেশে রপ্তানি করছি এখানে আমাকে ছাড় দিতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসনও বলেছে-যারা তাদের পণ্য ব্যবহার করে রপ্তানি করবে, তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের মন্তব্য
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশের উপর এটা হওয়ার কথা ছিল না তারপরও কেন বাড়লো? রাজনৈতিকভাবে বাড়ানো হয়নি। যদি রাজনৈতিকভাবে এ শুল্ক বাড়ানো হতো তাহলে এটা বাংলাদেশের জন্য বাড়তো না। এটা বাড়ানো হয়েছে তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) দেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব দেশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছে ওই সব দেশে তার ৫০ শতাংশ (মোট শুল্কের অর্ধেক) হিসাব করে শুল্ক অরোপ করেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বাংলাদেশে ঢুকতে গেলে ৭৪ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়; সেই হিসেবে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এটা আমাদের জন্য বিনা মেঘে বজ্রপাতের ঘটনার মত জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যখন আমরা মনে করছি বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করেছে চায়নার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে শুল্ক বাড়াচ্ছে সেই সুবিধা নেবে বাংলাদেশ। কিন্তু নতুন এ শুল্কারোপের কারণে সেই সুবিধা আর পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থায়, আমাদের আগে আছে ভিয়েতনাম ও চীন। এছাড়া প্রতিযোগী দেশ হিসাবে আছে কম্বোডিয়া ও শ্রীলঙ্কা। চীন ছাড়া এসব দেশের শুল্ক আমাদের দেশ থেকে বেশি বাড়ানো হয়েছে। ফলে এখানে কিছুটা সুবিধা পেলেও দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা আসবে না।
সরকারকে যেটা করতে হবে তা হলো- বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি অনেক কম, তাই আমদানির ক্ষেত্রে যদি এ শুল্ক কমিয়ে ২০-২৫ শতাংশ করা যায় তাহলে ওই সূত্রে আমাদের শুল্ক খুব বেশি বাড়বে না। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কটন ব্যবহারকারী ও আমদানিকারক বাংলাদেশ। তাই এখানে একটি চুক্তি হতে পারে যে, যুক্তরাষ্ট্রের কটন দিয়ে উৎপাদিত পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক মুক্ত সুবিধা দিতে হবে, এটা নিয়ে দরকষাকষি করতে পারলে বাংলাদেশ লাভবান হবে।
তাৎক্ষণিক কি ক্ষতি হতে পারে? জানতে চাইলে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, প্রথমত আমাদের রপ্তানি কমে যাবে। কারণ রপ্তানি আয়ের বড় একটা অংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে। তবে প্রশ্ন হলো অন্য দেশে এর প্রভাব পড়বে কি না? ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যে সুবিধা এখন আমরা পাচ্ছি এটা ২০২৬ সালে এলডিসির (স্বল্পোন্নত দেশের) কাতারে গেলে এটা থাকবে না। ওটা এর চেয়ে অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করার মত অবস্থায় বাংলাদেশ নেই।
পোশাক খাতের তরুণ উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন রুবেলের মন্তব্য
ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতির কারণে নিঃসন্দেহে বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা শুধু বাংলাদেশই আক্রান্ত হচ্ছে না। প্রায় ৬০ দেশে এর প্রভাব পড়বে। তার মানে বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের ওপরও শুল্ক বেড়েছে। এই শুল্কনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়বে। ফলে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাবে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। বিশ্ব বাণিজ্যে আঘাত হানবে।
বাংলাদেশের পোশাক খাতের এই তরুণ উদ্যোক্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের এ শুল্ক কি হিসাব করে অরোপ করে বসানো হয়েছে তা স্পট নয়। এটা জানতে হবে। যে কোনো উপায় শুল্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত, যাতে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে কার্যকরভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারি। এসব বিষয় সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এখানে বাণিজ্যের পাল্লা বাংলাদেশের দিকেই ভারী।
এসআই/এমএসএ