ব্রাজিলে প্রথমবার ‘মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী-২০২৫’
প্রথমবারের মতো ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী-২০২৫’। রফতানিযোগ্য পণ্যের প্রচার, বাজার বৈচিত্র্যকরণ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার এবং ল্যাটিন আমেরিকায় বিশেষ করে ব্রাজিলে নেটওয়ার্কিং সহজতর করার লক্ষ্যে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করছে ব্রাজিল বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই)।
আগামী ১৫ থেকে ১৮ জুন ব্রাজিলের সাও পাওলোতে প্রথমবারের মতো এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বারিধারা কূটনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত হোটেল অ্যাসকট প্যালেস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিবিসিসিআই এসব তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল আলম এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. জয়নাল আবদিন।
ব্রুনাই রাষ্ট্রদূত হাজী হারিস বিন ওসমান, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মো. বশির আহমেদ , ঢাকায় ব্রাজিল দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশন মি. লিওনার্দো ডি অলিভেইরা জানুজ্জি, কৃষি অ্যাটাশে মি. সিলভিও লুইজ রদ্রিগেজ টেস্টাসেক্কা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করার অপরিসীম সম্ভাবনার ওপর জোর প্রদান করেন।
তিনি বলেন,'মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী-২০২৫' ব্রাজিল এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ উদ্যোগ ব্যবসাকে তাদের উৎকর্ষ প্রদর্শন এবং অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম । আমি নিশ্চিত, এ অনুষ্ঠান পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করবে এবং ভবিষ্যতে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে।
রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস বলেন, ব্রাজিল বিশ্বের সব চেয়ে বড় গরু ও পোলট্রি মাংস উৎপাদনকারী দেশ। বিশ্বের অনেক মুসলিম প্রধান দেশেই ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানির অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ অনুমতি নেই। অনুমতি পাওয়ার জন্য ব্রাজিল চেষ্টা করছিল বলে রাষ্ট্রদূত জানান।
বিবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল আলম বলেন, এ এক্সপো বিবিসিসিআইয়ের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন পথ খোলার দৃষ্টি ভঙ্গির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন বাজারে প্রবেশ এবং তাদের ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী উন্নীত করার জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। আপনি যদি পোশাক শিল্পের একজন নেতা, পাটজাত পণ্যের অথবা ওষুধ শিল্পের একজন অগ্রদূত হন এই ইভেন্টটি আন্তর্জাতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আপনার প্রবেশদ্বার।
আমাদের সম্মানিত বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের কাছে, এ এক্সপো নতুন বাজারে প্রবেশ এবং ব্যবসাকে বিশ্বমঞ্চে উন্নীত করার একটি সুবর্ণ সুযোগ। আমরা ব্যবসায়ীদের যুগান্তকারী অনুষ্ঠানে নিবন্ধন এবং অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রদর্শনীতে অংশ নিতে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
এসআই/এমএন