ব্যাংকের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে পুঁজিবাজার
লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকিং সেবা কার্যক্রম খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। লেনদেন ও অফিসিয়াল কার্যক্রম যথানিয়মে অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে রোববার (৪ এপ্রিল) পর্যন্ত। কারণ ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। এই নির্দেশনা দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, কমিশন আমাদেরকে ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজার খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা শিফটিং পদ্ধতি ও হোম অফিস করব।
এর আগে গত বছরের ২৮ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত করোনার কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। তাতে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১৯ হাজার কোটি টাকা।
করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। শনিবার (৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার থেকে লকডাউন। আমরা রোববার বসব। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ব্যাংকগুলো লকডাউনের সময় কোন নিয়মে চলবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত রোববারের মধ্যে জানিয়ে দেব।
এমআই/জেডএস