ট্রেড লাইসেন্স দেখতে গিয়ে জনতার হাতে আটক
একটি মিষ্টির দোকানের ট্রেড লাইসেন্স দেখতে চান ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট’ পরিচয়ে লিন্টু নামের এক ব্যক্তি। দোকানি তা দেখাতে ব্যর্থ হলে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাকে ২০০ টাকা জরিমানা করেন লিন্টু। এরপর অপর একটি মিষ্টির দোকানে যান, সেখানে মিষ্টিও খান। খেতে খেতেই বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স দেখান।’
ব্যস, এবার থামতে হলো তাকে। কথাবার্তায় অসংগতি দেখে মিষ্টিদোকানি আব্দুল জব্বারের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়দের ডেকে এনে ঘেরাও করেন তাকে। পরে তোপের মুখে পড়ে স্বীকার করতে বাধ্য হন যে তিনি আসল ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট’ নন।
তাতেই উত্তেজিত জনতা উত্তম-মধ্যম দিয়ে খবর দেয় পুলিশকে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আটক লিল্টু (৫০) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কোর্টপাড়ার মৃত নুরুল হোসেনের ছেলে।
ডিঙ্গেদহ বাজারে অবস্থিত জিনিয়া হোটেলের মালিক আব্দুল জব্বার ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথমে রাতুল হোটেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেন লিন্টু। পরে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২০০ টাকা জরিমানাও করেন। জরিমানার টাকাও পরিশোধ করেন হোটেলের মালিক। পরে আমার দোকানে এসে দুটি মিষ্টি খান। তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে স্থানীয়রা আসেন। তোপের মধ্যে পড়েন তিনি। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে উত্তম-মধ্যম শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে আমরা বুঝতে পারিনি তিনি ভুয়া পরিচয় দিয়েছেন। তিনি একা ছিলেন এবং অসাধু কথাবার্তা বলছিলেন। এ কারণে তাকে ধরে পুলিশের কাছে দিয়েছি।
উত্তেজিত জনতার হাত থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ লিন্টুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে থানায় নেওয়া হয় তাকে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে একটি মিষ্টির দোকানে ২০০ টাকা জরিমানা করেছেন। পাশের দোকানে গেলে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাকে মারধর দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
তিনি আরও বলেন, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না যাছাই করতে চিকিৎকের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
আফজালুল হক/এনএ