মেয়েকে হত্যার ভয় দেখিয়ে মাকে ধর্ষণ
বাগেরহাটে কৌশলে ঘরে ঢুকে মেয়েকে হত্যার ভয় দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার বাদেকাড়াপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ধর্ষক ৪৭ হাজার টাকা, দুই জোড়া স্বর্ণের দুল ও একটি স্বর্ণের চেন নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রুবেল হাওলাদার (২৫) নামের একজনকে দায়ী করে নির্যাতিতা নারীর স্বামী বাগেরহাট মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। রুবেল বাগেরহাট সদর উপজেলার পোলেরহাট এলাকার বাসিন্দা। তাকে আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
এছাড়া অভিযোগের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় সজল মল্লিক (২৫) নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক সজল মল্লিক বাদেকাড়াপাড়া এলাকার মফিজ মল্লিকের ছেলে। সজল এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
নির্যাতিতা নারীর স্বামী বেসরকারি ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী বলেন, সোমবার আমার নাইট ডিউটি ছিল। এই সুযোগে সজল মল্লিকের সহযোগিতায় রুবেল আমার ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে প্রবেশ করে একমাত্র সন্তানকে জিম্মিকে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে রুবেল। ঘরে থাকা নগদ ৪৭ হাজার টাকা, দুই জোড়া স্বর্ণের দুল ও একটি চেন নিয়ে যায় রুবেল।
ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতা নারী বলেন, রাতে আমার স্বামীর ডিউটিতে থাকার সুযোগে কৌশলে দরজার সিটকিনি খুলে রুবেল মল্লিক ঘরে ঢুকে মেয়েকে হত্যার ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে রুবেল ঘরে থাকা টাকা, সোনা-দানা নিয়ে যায়। আর কাউকে কিছু বললে আরও ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।
বাগেরহাট সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসান বলেন, নির্যাতিতা নারীর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সজল মল্লিক নামের এক যুবককে আটক করেছি। ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তানজীম আহমেদ/এমএসআর