রাজশাহীতে অভিযান এড়াতে প্রত্যন্ত এলাকায় প্রসাধনী কারখানা
রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর ও আশেপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই চলছে নকল ও নিম্নমানের প্রসাধনী কারখানা। বারবার অভিযান চালিয়েও কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ এই কারবার। অভিযানের পর কেবল কৌশল বদলেছেন অবৈধ কারবারিরা। অভিযান এড়াতে তারা চলে গেছেন একেবারেই প্রত্যন্ত এলাকায়।
আলাদা ভবনে নয়, প্রসাধনী উৎপাদন চলছে বসতবাড়িতেই। মানহীন ও নকল এসব পণ্য কৌশলে পৌঁছে যাচ্ছে বিক্রেতাদের কাছে।
তবে বসে নেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনিবার (৩০ অক্টোবর) পুঠিয়ার নওপাড়া এলাকার লতা হারবাল ও লতা কসমেটিকস কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মারুফ হোসেন খান।
এই অভিযানে অংশ নেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ। দুপুর ২টা থেকে এই যৌথ অভিযান চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বিশেষ অভিযান শেষে হাসান-আল-মারুফ ঢাকা পোস্টকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে এই যৌথ অভিযান চালানো হয়। এ সময় কারখানা দুটি থেকে সাড়ে ৭ হাজার পিস মোড়ক এবং ১২০ কেজি কেমিক্যাল জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে লতা হারবালের মালিক আবু কবর সিদ্দিকীকে ১ লাখ এবং লতা কসমেটিকস মালিক রানা পারভেজকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, বসতবাড়িতেই ফেয়ারনেস ক্রিম উৎপাদন করছিলেন এই দুজন। কিন্তু তারা বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। অবৈধ প্রক্রিয়ায় প্রসাধনী উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের দায়ে দুজনকে জরিমানা করা হয়। পরে মোড়ক ও কেমিক্যাল জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান চলবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর