পাবনায় দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষকে অব্যাহতি
নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অব্যাহতি প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সোহেল হাসান শাহীন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’র দায়িত্ব গ্রহণ ও পরবর্তীতে একই উপায়ে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ, পুনরায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে আব্দুস সামাদ খান নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি নষ্ট করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ধ্বংস করছিল।
কলেজের প্রভাষক আব্দুল কাদের বিশ্বাস প্রতিকার চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলীর রেগুলেশন লংঘন করে ৫ বছরের অধিক সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করায় নিরপেক্ষ তদন্ত করে ৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় এক পত্রের মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিধি অনুযায়ী ৫ জন জ্যেষ্ঠতম শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্ব প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করার জন্য গভর্নির বডির সভাপতিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের প্রভাষক আব্দুল কাদের বিশ্বাস বলেন, একজন অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম আর দুর্নীতি চোখের সামনে দেখে খুবই খারাপ লাগত। অনেকেই তার ভয়ে মুখ খুলতেন না। তার বিরুদ্ধে কেউ গেলেই সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দেওয়া হতো।
সর্বশেষ তার দুর্নীতি সহ্য করতে না পেরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট তার অনিয়মের একটি সুষ্ঠু তদন্ত ও অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। এরই পরিপেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত কলেজটির জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অভিযুক্ত অব্যাহতিপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে দুর্নীতির দায়ে অব্যাহতি দেয়নি। নিয়ম অনুসারে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
শহীদ এম মনসুর আলী কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সোহেল হাসান শাহীন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আইনানুগভাবে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
রাকিব হাসনাত/এমএসআর