চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে আগস্ট থেকে চলবে পণ্যবাহী ট্রেন
৬৫ বছর পর ফের চালু হচ্ছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব, ইমিগ্রেশনসহ নানান জটিলতায় থমকে থাকা ভারতের হলদিবাড়ী থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে ১ আগস্ট।
পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ভারতীয় রেলের দুইটি ইঞ্জিন ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে চিলাহাটি রেলস্টেশনে পরীক্ষামূলক যাত্রা সম্পন্ন করে বিকেলে পুনরায় ফিরে যায়।
এ সময় ভারতীয় রেলওয়ের দুটি ইঞ্জিনের সঙ্গে আসেন ট্রেন পরিচালক ও ইঞ্জিনচালকসহ সাতজন। তারা হলেন গৌরব বুথা, লিটু রাজ, অর্কদাস, রাকেশ কুমার, অরিজিৎ রায়। বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি।
তাদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে ডিপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী নাজমুল হক রকি, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সৈয়দপুর অফিসের প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, নীলফামারীর ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান, চিলাহাটি রেল স্টেশন মাস্টার আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
ভারতীয় রেল কর্মকর্তারা জানান, আগামী ১ আগস্ট থেকে এই পথে পণ্যবাহী ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে। শুরুতে পণ্যবাহী ট্রেনে ভারত থেকে পাথর ও গম আসবে। এমনকি এই পথে অক্সিজেনবাহী ট্রেনও চলাচল করতে পারে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, দুই দেশের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে। পহেলা আগস্ট গম ও পাথর নিয়ে ৩০ বগির পণ্য ট্রেন বাংলাদেশে আসবে। যার গন্তব্য হবে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম তীর পর্যন্ত।
সৈয়দপুর ও পার্বতীপুরে পণ্য নামতে পারে। তবে ভারতীয় ইঞ্জিন চিলাহাটি পর্যন্ত এসে থেকে যাবে। চিলাহাটি থেকে বাংলাদেশের ইঞ্জিন নিয়ে যাবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। পণ্য খালাস শেষে ফের এসে ওয়াগন নিয়ে যাবে ভারতীয় ইঞ্জিন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করা হয়েছিল। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তা উদ্ধোধন করেছিলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।
এছাড়া চলতি বছরে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত আন্তঃর্দেশীয় যাত্রীবাহী মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করেন।
যাত্রীবাহী ট্রেনটি উদ্বোধন করা হলেও করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রীবাহী ট্রেনের চাকা আপাতত থামিয়ে রেখেছে। অনুকূল পরিবেশ আসলেই দুই দেশের পতাকা উড়িয়ে চলাচল শুরু করবে মিতালী এক্সপ্রেস।
মাহমুদ আল হাসান রাফিন/এমএসআর