বিক্রি হওয়া নবজাতক উদ্ধার, দায়িত্ব নিলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
সাভারের আশুলিয়ায় নবজাতকের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে দম্পতিকে ভয় দেখিয়ে বিক্রি করা শিশুটির চিকিৎসাসেবার দায়িত্ব নিলেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা।
বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে নরসিংহপুর এলাকায় নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশুর চিকিৎসাসেবা পরিদর্শন শেষে তিনি এই দায়িত্ব নেন।
ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, নবজাতক ও মায়ের শারীরিক অবস্থা ভালো না। মায়ের শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা গেছে। তারা অত্যন্ত গরিব বলে জেনেছি। তাই যাবতীয় চিকিৎসা ফ্রি করে দিয়েছি। একই সঙ্গে শিশুর পরবর্তী চিকিৎসা সেবা ফ্রি দেওয়া হবে। নিউ মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ১৭ মে ওই ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাম করতে যান রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার সূর্যপাড়া গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে ভুক্তভোগী দম্পতি আবুল কালাম আজাদ (২৮) ও শিখা বেগম (২৬)।
তাদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে সাড়ে ৭ মাসের গর্ভবতীকে ডেলিভারি করিয়ে কৌশলে নবজাতককে বিক্রি করে দেন ডাক্তারসহ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। নবজাতককে ফিরিয়ে চাইলে ৫৫ হাজার টাকা দাবি করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
পরে ২৩ মে নরসিংহপুরের নিউ মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চিকিৎসকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সঙ্গে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে ক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা করে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। নবজাতককে উদ্ধার করা থেকে শুরু করে পরবর্তী চিকিৎসা সেবার খরচ বহন করেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক এমদাদ, আসওয়াদ, সুদীপ ও এএসআই পবিত্র কুমার মালাকার।
মাহিদুল মাহিদ/এমএসআর