ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি যুবককে মারধর ও তুলে নেওয়ার অভিযোগ
ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে বাংলাদেশি এক যুবককে ভারতীয়রা ধরে নিয়ে মারধর করে দেশটির পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার বাউরপাথর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
ওই যুবকের নাম ইয়াছিন। তিনি পরশুরাম পৌরসভার বাউরপাথর মাজার বাড়ির মুহাম্মদ মিজানের ছেলে।
ইয়াছিনের মা মায়া বেগম জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার ভোরে সীমান্তের কাঁটাতারের কাছাকাছি জমিতে কাজ করতে যায় ইয়াছিন। একপর্যায়ে ওপারের লোকজন সেখান থেকে তাকে আটক করে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ভারতীয় পুলিশে দিয়েছে। ছেলেকে দ্রুত ফিরে পেতে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তবে বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়নের (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, যতটুকু জেনেছি ইয়াছিন অসদুপায় অবলম্বন করে অনৈতিক কাজে জড়িত হতে সীমান্তের ওপারে গেলে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে গণধোলাই দিয়ে দেশটির পুলিশে হস্তান্তর করেছে। তাকে প্রথমে বিলোনিয়া হাসাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ত্রিপুরার শান্তিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যেহেতু অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করেছে, তাই সেই দেশের আইন অনুযায়ী পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এদিকে এ ঘটনায় ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে DC Feni নামের ব্যবহৃত আইডি থেকে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘ফেনীর বিলোনিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশের একজন নাগরিককে আটক করে ভারতের পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং তিনি বর্তমানে ভারতীয় পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলছি এবং প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য চেষ্টায় আছি। এ বিষয়ে গুজব পরিহার করার জন্য সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’
তারেক চৌধুরী/এমজেইউ