সিন্ডিকেটে বন্দি ইলিশের বাজার, নিয়ন্ত্রণ করবে কে?
নানা অজুহাতে দেশের বাজারে বেড়ে যায় ইলিশের দাম। কখনও জোগানে ঘাটতি, আবার কখনও মাছ আহরণে বাড়তি খরচের বিষয়টি সামনে আনা হয়। অথচ বাজার ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। অনিয়ন্ত্রিত বাজার সিন্ডিকেট এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে ইলিশ যেন হয়ে উঠেছে বিলাসবহুল পণ্য।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেনীতে ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণ করে পৌর মৎস্য আড়তের বিসমিল্লাহ ফিশারিজ, শাহজালাল মৎস্য আড়ত, জহর লাল ফিশিং ও এয়াকুব ফিশিং নামের চারটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতিদিন জেলায় সর্বোচ্চ পরিমাণ ইলিশ খুচরা বাজারে যায়। ইলিশ মাছের প্রতিদিনের বাজারদর নির্ধারণে তাদের সিদ্ধান্তই মুখ্য।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে এক কেজি কিংবা তার কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকায়। এ মাছই খুচরা বাজারে ২০০০ থেকে ২২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে ডিমসহ এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায়। খুচরা বাজারে এ মাছ ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ফিশারি ঘাট থেকে আসা মাঝারি আকৃতির ইলিশ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। হাত বদলেই এ মাছ খুচরা বাজারে ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক দরে, কেজিপ্রতি ৬০০ টাকা করে।
ফেনীতে ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণ করে পৌর মৎস্য আড়তের বিসমিল্লাহ ফিশারিজ, শাহজালাল মৎস্য আড়ত, জহর লাল ফিশিং ও এয়াকুব ফিশিং নামের চারটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতিদিন জেলায় সর্বোচ্চ পরিমাণ ইলিশ খুচরা বাজারে যায়। ইলিশ মাছের প্রতিদিনের বাজারদর নির্ধারণে তাদের সিদ্ধান্তই মুখ্য
আবু তৈয়ব নামের ফেনী পৌর হকার্স মার্কেটে ইলিশ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে কোনোমতে সংসার চলে। এখন বাজারে আসলে খরচের তালিকার সঙ্গে আয়ের মিল থাকে না। তবুও একমাত্র সন্তানের ইলিশ খাওয়ার আবদারে চড়া দামে মাছ কিনেছি। সংশ্লিষ্টরা যদি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইলিশের বাজার নজরদারি করতেন, তাহলে হয়তো দাম কিছুটা হলেও নাগালের মধ্যে আসত।
মাজহারুল হক জিসান নামের এক স্কুলশিক্ষক বলেন, আমাদের মতো মধ্যবিত্তের জন্য ইলিশ এখন বিলাসি পণ্য। বিগত সরকারের ন্যায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও ইলিশের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। পাইকারি বাজার থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেই কেজিপ্রতি দাম ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। এটি নিশ্চয়ই কোনো স্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
ইলিশের বাজারদর নিয়ে একই অভিযোগ করেন শ্রাবন্তী চৌধুরী নামের এক গৃহিণী। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ‘বাজারে এখন ইলিশ নয় বরং পাঙাশ মাছ কিনতে গিয়েও কয়েকবার ভাবতে হয়। আগে প্রায় সময় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের বাজার মনিটরিং চোখে পড়তো। কিন্তু সম্প্রতি দেশের পট পরিবর্তনের পর বাজার নজরদারিতে খুব একটা তৎপরতা দেখা যায় না। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য যেন আরও বেড়েছে।
এ প্রসঙ্গে শহরের বড় বাজারের মাছ বিক্রেতা শাহ-আলম বলেন, আমরা কেনা দাম থেকে অল্পকিছু লাভে মাছ বিক্রি করি। পাইকারি বাজারদর বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারেও দাম কিছুটা বেশি। দাম নির্ধারণের বিষয়ে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।
খালেক মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ মাছও ঠিকমতো কিনতে পারি না। এবার ইলিশের জোগান একদমই কম। তারপরও অল্প লাভে ইলিশ বিক্রি করছি।
মহাজনের দৌরাত্ম্য, নিরুপায় ব্যবসায়ীরা
ইলিশের বাজারে সিন্ডিকেটের বিষয়ে কথা হয় ফেনী মৎস্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঙ্গে। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, নোয়াখালীর হাতিয়া ও চট্টগ্রাম থেকে আসে ফেনীর ইলিশ। এ আড়তে ইলিশের উল্লেখযোগ্য বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন চারজন ব্যবসায়ী। যেসব মহাজন ফেনীতে মাছ পাঠান তাদের কথামতোই দাম নির্ধারণ হয়। ব্যবসায়ীদের ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণের সুযোগ নেই। তবে, চাহিদার তুলনায় ইলিশের পর্যাপ্ত জোগান না থাকায় দাম বাড়তি বলে দাবি করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
ফেনী মৎস্য আড়তের বিসমিল্লাহ ফিশারিজের স্বত্বাধিকারী মোশাররফ বলেন, এমন ভরা মৌসুমে প্রতিদিন সাত টনের বেশি ইলিশ আসত। কিন্তু এবার পুরো বাজারে এক টন মাছও ঠিকমতো আসেনি। চাহিদার তুলনায় জোগান একদম কম। এজন্য দামও বাড়তি।
ইলিশের বাজারদর নির্ধারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেনীতে চার-পাঁচজন আড়তদারই সবচেয়ে বেশি ইলিশের বেচাকেনা করেন, এটা সত্য। তবে, এখানে আমাদের দাম নির্ধারণের সুযোগ নেই। এ বাজারে মাছের জোগানদাতা মহাজনদের অবস্থানই শক্তিশালী।
বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই উদ্যোগ, বাধা ‘সমন্বয়হীনতা’
নানা অজুহাতে ইলিশের বাজারদর বরাবরই সাধারণের নাগালের বাইরে থেকে যায়। তবে, দাম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো তৎপরতা চোখে পড়ে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অ. দা.) কাউছার মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মূলত মাছের বাজার-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা। কিন্তু তারা কখনও মাছের দাম সম্পর্কে অবহিত করা বা বাজারদর নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে না। তারপরও নিয়মিত বাজার অভিযানে মাছের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ প্রদান করি।
এ প্রসঙ্গে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কাজ উৎপাদন বাড়ানো, বাজারদর নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি প্রশাসন দেখে। এটি মৎস্য বিভাগের একক কাজ নয়।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছি বেশিদিন হয়নি। এজন্য এমন কিছু করা হয়নি। আর বাজারদর নিয়ন্ত্রণে মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ের বিষয়টিও অবগত নই। তারপরও যদি প্রয়োজন হয়, আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব।
শোষিত হচ্ছেন জেলেরা
স্থানীয় জেলে নেতাদের অভিযোগ, ফিশারি ঘাট বা ল্যান্ডিং স্টেশন না থাকায় জেলেরা নোয়াখালীর মুছাপুর অথবা কুমিরাতে গিয়ে মাছ বিক্রি করছেন। তারা বলছেন, মাছ ধরার পর নিলামে বিক্রির জন্য সাধারণত সোনাগাজীর চরখোন্দকার, জেলেপাড়া ও মুছাপুরের অস্থায়ী ফিশারি ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে অনেক সময় ন্যায্য দাম পাওয়া যায় না। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী অস্থায়ী ফিশিং ঘাটগুলো পরিচালনা করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় মাছ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৌশলে কম দামে মাছ কিনে নেন। এতে কাঙ্ক্ষিত মূল্য পান না তারা।
জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলার একমাত্র উপকূলীয় সোনাগাজী উপজেলায় তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা দুই হাজার ৯৫ জন। তাদের মধ্যে ৩৫০ জন ইলিশ আহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ২০২০-২১ অর্থবছরে এ উপকূলে ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৩৩ টন এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩৫ টন।
জগন্নাথ জলদাস নামের সোনাগাজী উপকূলের এক জেলে বলেন, অধিকাংশ সময় বাকিতে মাছ বিক্রি করতে হয়। টাকা পেতে দু-তিনদিন বা সপ্তাহখানেকও লেগে যায়। সেক্ষেত্রে পরিবার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে, মাথার ওপর ঋণের বোঝা তো আছেই।
স্থানীয় জেলে নেতাদের অভিযোগ, ফিশারি ঘাট বা ল্যান্ডিং স্টেশন না থাকায় জেলেরা নোয়াখালীর মুছাপুর অথবা কুমিরাতে গিয়ে মাছ বিক্রি করছেন। তারা বলছেন, মাছ ধরার পর নিলামে বিক্রির জন্য সাধারণত সোনাগাজীর চরখোন্দকার, জেলেপাড়া ও মুছাপুরের অস্থায়ী ফিশারি ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে অনেক সময় ন্যায্য দাম পাওয়া যায় না। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী অস্থায়ী ফিশিং ঘাটগুলো পরিচালনা করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় মাছ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৌশলে কম দামে মাছ কিনে নেন। এতে কাঙ্ক্ষিত মূল্য পান না তারা
সোনাগাজীর চর চান্দিয়া ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকার জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছোট ও বড় ফেনী নদীর মোহনায় অন্য জেলা থেকে আসা জেলেদের অবাধে জাটকা নিধনের ফলে মাছ পাচ্ছেন না ফেনীর জেলেরা। প্রতিবাদ করতে গেলে নির্যাতনের শিকার হয়ে উল্টো জরিমানাও গুনতে হয়। এমনকি কোম্পানীগঞ্জ আড়তে মাছ বিক্রি করতে হয় নামমাত্র মূল্যে।
জেলেপাড়ার কৃষ্ণধন ও মো. শফিউল্লাহ ছুট্টু মহাজন বলেন, ছোট ও বড় ফেনী নদীর মোহনায় বরিশাল, ভোলা, রামগতি ও নোয়াখালী অঞ্চলের জেলেরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশের পোনা নিধন করছেন। তাদের ব্যবহৃত জালগুলো দুই ইঞ্চি ফাঁকবিশিষ্ট। জালগুলো নদীর তলদেশ থেকে উপরের দিকে খাড়াভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এজন্য সাগর থেকে মোহনা পার হয়ে ফেনী নদীতে ইলিশ মাছ আসার পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
নুর আলম নামের আরেক জেলে বলেন, আমাদের ব্যবহৃত জালগুলো সাড়ে চার থেকে পাঁচ ইঞ্চি ফাঁকা। জালগুলো যখন মোহনা দিয়ে ভাসানো হয়, মাঝে মাঝে কারেন্ট জালে তা আটকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ এতে আমাদের অপরাধ না থাকলেও দোষ আমাদের ঘাড়ে পড়ে। বাড়াবাড়ি করলে নদীতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
এ প্রসঙ্গে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, অবৈধ জালের ব্যবহার রোধে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলেদের যেকোনো সমস্যায় আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।
‘ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত জাটকা মৌসুমে জেলার ২৫০ জন জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমে ২৫০ জনকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০০ জন জেলেকে বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমের আওতায় গরুর বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।’
ফেনী উপকূলে নেই ফিশারি ঘাট ও হিমাগার
নদী ও সাগর মিলে ফেনী উপকূলে মৎস্য আহরণের অপার সম্ভাবনার কথা বিভিন্ন সময় আলোচনায় থাকলেও মাঠের চিত্র একদমই বিপরীত। দীর্ঘ সময় ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রচার-প্রকাশনা চালানো হলেও এর বাস্তব কোনো প্রতিফলন চোখে পড়ে না। ফলে জেলেদের জীবিকায় যোগ হয় না বাড়তি আয়। রাষ্ট্রও এতে লাভবান হচ্ছে না।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ফেনী উপকূলের নদী এলাকার মোট আয়তন এক হাজার ২০০ হেক্টর। এ উপকূল সরাসরি বঙ্গোপসাগরে যুক্ত না হওয়ায় সাগরে মাছ শিকারে জলরাশির আয়তন জেলা মৎস্য অফিস বিবেচনায় ধরে না।
আফসার নামের স্থানীয় এক জেলে বলেন, সোনাগাজী উপকূলে ঘাট, হিমাগার ও মাছ বিক্রির সুবিধা না থাকায় কোম্পানীগঞ্জে গিয়ে বিক্রি করতে হয়। এসব মাছ ফেনীতে হিসাব হয় না। আবার অনেক সময় কুমিরাতে গিয়েও পাইকারি দরে মাছ বিক্রি করতে হয়।
এ প্রসঙ্গে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে ফিশারি ঘাট অথবা ল্যান্ডিং স্টেশন নেই। এজন্য মাছের বাণিজ্যিকীকরণ ঘটেনি। গড়ে ওঠেনি মাছের হিমাগারও। এ দুই সুবিধা না থাকলে মৎস্যশিল্প গড়ে উঠবে না, মাছের পরিচর্যাও হবে না।
‘এসব সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে অঞ্চলটিতে বিশাল মাছের বাজার সৃষ্টি হবে। অন্যান্য স্থানের ফিশিং বোটও এখানে ভিড়বে। ফেনীর ব্যবসায়ীরা এখানে পুঁজি বিনিয়োগ করবেন। জেলেরা মাছের ন্যায্য দাম পাবেন। পাশাপাশি সমগ্র এলাকা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে।’
এসকেডি/