শেরপুরে বাড়ছে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার সংখ্যা, ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় শিশুরা
১৪ বছর বয়সী আলিরাজ। যে বয়সে তার নিয়মিত স্কুলে যাওয়ার কথা, সেই বয়সে তার কাঁধে চেপে বসেছে পরিবার চালানোর বোঝা। বয়সের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত সে। বাবা না থাকায় জীবিকার তাগিদে স্কুল ছেড়ে ওয়ার্কশপে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করছে আলিরাজ। অথচ তার বন্ধুরা নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জীবনের ঝুঁকি জেনেও পরিবারের হাল ধরতে এসব কাজে বাড়ছে শিশুদের অংশগ্রহণ। ফলে একদিকে কমছে শিশুশিক্ষার হার, অন্যদিকে বাড়ছে ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যাও।
এক সময় শেরপুর পৌর শহরের চকপাঠক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতো আলিরাজ। বাবার মৃত্যুর পর শিক্ষাগ্রহণ তার কাছে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই বিয়ে করে আলাদা হয়ে যাওয়ায় মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব পড়ে আলিরাজের ওপর। পড়ালেখার ইচ্ছা থাকলেও ভাগ্য তার সহায় হয়নি। জীবন-জীবিকার নির্মমতায় ঝুঁকি জেনেও ওয়ার্কশপে মাত্র তিন হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করে সে। বন্ধ হয়ে যায় লেখাপড়া। প্রতিবেশী ও বন্ধুরা এখনও নিয়ম করে স্কুলে গেলেও আলিরাজের স্বপ্ন অধরাই রয়ে যায়।
বাবার মৃত্যুর পর শিক্ষাগ্রহণ তার কাছে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই বিয়ে করে আলাদা হয়ে যাওয়ায় মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব পড়ে আলিরাজের ওপর। পড়ালেখার ইচ্ছা থাকলেও ভাগ্য তার সহায় হয়নি। জীবন-জীবিকার নির্মমতায় ঝুঁকি জেনেও ওয়ার্কশপে মাত্র তিন হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করে সে। বন্ধ হয়ে যায় লেখাপড়া। প্রতিবেশী ও বন্ধুরা এখনও নিয়ম করে স্কুলে গেলেও আলিরাজের স্বপ্ন অধরাই রয়ে যায়
একই অবস্থা শেরপুরের নবীনগর ড্রাইভার পট্টির আরিফের (১২)। রিকশাচালক বাবার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের হাল ধরতে হয়েছে তাকে। মা অন্যের বাসায় আয়ার কাজ করে সংসার চালাতে হিমশিম খেলে আরিফকে যোগ দিতে হয় কাজে। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাকায় গ্রিজ দেওয়ার কাজ করে সে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় আরিফ। বাবা আলেকের মৃত্যুর পর থেকে নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে কাজ করে সে। পরিচিত সব শিশু নিয়মিত স্কুলে গেলেও আরিফের ভাগ্য আটকে আছে সিএনজির চাকাতেই।
শুধু আলিরাজ আর আরিফ নয়, একই অবস্থা জীবন, উজ্জ্বল, শাওন, তাকবিরসহ শেরপুরের তিন শতাধিক শিশুর। শৈশবের গণ্ডি পার না হলেও এসব শিশু কাঁধে তুলে নিয়েছে সংসারের দায়িত্ব। শুধু শেরপুর পৌরশহরেই শিশুশ্রমিকের সংখ্যা তিন শতাধিক। জেলার পাঁচ উপজেলায় শিশুশ্রমিকের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। প্রতি বছরই যুক্ত হচ্ছে নতুন মুখ। বাড়ছে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা। যদিও শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কারখানা আর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে শিশুদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ সরকারি এই নিয়ম না মেনে অল্প পারিশ্রমিকে শিশুদের নিয়োগ দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা। প্রতিনিয়ত এ কাজের কারণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাঝুঁকিতে রয়েছে শেরপুরের শিশুরা।
জেলার সচেতন মহল বলছেন, শিশুশ্রম বন্ধে সরকারের আইন থাকলেও মাঠপর্যায়ে এর তেমন কোনো প্রয়োগ নেই। একই সঙ্গে বাস্তবায়নে নেই কোনো তদারকি কমিটি। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু যারা বেতন বা অবৈতনিক উভয় ক্ষেত্রে এক বা একাধিক ঘণ্টা (প্রতি সপ্তাহে) কাজ করে তাদের শিশুশ্রমিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে, জাতিসংঘ শিশু জরুরি তহবিল (ইউনিসেফ) শিশুশ্রম বলতে ‘শিশুর স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে প্রভাবিত করে’— এমন কাজকে বোঝায়। সেখানে আরও বলা হয়, শিশুশ্রম হলো এমন একটি কাজ যা শিশুদের শৈশব কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত করে; শিশুদের শোষণ ও অপব্যবহার করে।
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৮-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা রয়েছে, কেউ যদি শিশুশ্রমিক নিয়োগ দেয় তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। কিন্তু অশিক্ষা, অসচেতনতা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে শিশুশ্রম বেড়েই চলছে। দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না থাকায় বা তদারকি না থাকায় কোনোভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে
বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ ধারায় শিশুদের সুবিধা প্রাপ্তি-সংক্রান্ত বিশেষ আইন রয়েছে, যা শ্রম আইন ২০০৬ নামে পরিচিত। এতে বলা রয়েছে, কাজে যোগদানের কমপক্ষে বয়স ১৪ বছর আর ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ১৮ বছর। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ১৪ বছর হওয়ার আগেই শিশুদের বিভিন্ন কাজে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য যেসব কাজ ঝুঁকিপূর্ণ সেসব কাজে কোমলমতি শিশুদের নিয়োগ করা হচ্ছে, যা মোটেও উচিত নয়।
প্রান্তিক জেলা শেরপুরে শিশুশ্রম বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে নিম্নবিত্ত পরিবারে জীবিকার জন্য শিশুকে কাজে পাঠানোকে দায়ী করছেন সুধীসমাজের প্রতিনিধিরা। তাদের অভিযোগ, শিশুশ্রমিকদের তুলনামূলকভাবে কম মজুরি দিতে হয়। এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন মালিকরা। এ ছাড়া শিশুদের দিয়ে বেশি কাজ করিয়ে নেওয়া যায়।
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৮-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা রয়েছে, কেউ যদি শিশুশ্রমিক নিয়োগ দেয় তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। কিন্তু অশিক্ষা, অসচেতনতা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে শিশুশ্রম বেড়েই চলছে। দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না থাকায় বা তদারকি না থাকায় কোনোভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না শিশুশ্রম।
শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা ‘প্রিয় শিক্ষালয়’-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রভাষক মহিউদ্দিন সোহেল বলেন, শেরপুর জেলায় প্রতিটি ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ, মোটরবাইক সার্ভিস পয়েন্ট, ইটভাটা, গাড়ির গ্যারেজসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা। সম্প্রতি নামমাত্র মূল্যে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও সিএনজি কিনে শিশুচালকদের দিয়ে পরিবহনসেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে যেমন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা, তেমনি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত।
তিনি বলেন, শিশুশ্রম বন্ধে শেরপুরে এখন পর্যন্ত কার্যকর তেমন কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নেই। একই সঙ্গে শেরপুরে শ্রম অফিস না থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশুশ্রম বন্ধে নিয়মিত কোনো তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় না। এ ছাড়া কত সংখ্যক শিশু এ মুহূর্তে কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে আছে, তার কোনো হিসাব নেই কারও কাছে।
মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক ইমরান হাসান রাব্বী বলেন, বাংলাদেশে ১৯৯২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) শিশুশ্রম বন্ধ করতে কর্মসূচি গ্রহণ করে। প্রতি বছর নিয়ম করে শিশুদিবস ও শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন করা হলেও বাস্তবিক অর্থে এটি কোনো কাজে আসছে না। ছোট শহরগুলোতে এ সমস্যা নিয়ম করে সমাধান করা সম্ভব না। এটি বন্ধে প্রয়োজন সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ।
‘প্রতিটি শিশুর সুস্থ ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ এবং সুষ্ঠুভাবে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শিশুশ্রমের মৌলিক কারণগুলো খুঁজে বের করে তা সমাধান করতে হবে। শিশুদের সুস্থ ও উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য যুগোপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শিশুদের অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাষ্ট্রীয়পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। এক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
শিশুশ্রম দমনে কঠোর আইন বাস্তবায়ন করাও অত্যাবশ্যক। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করলে একটি সুস্থ ও সুন্দর রাষ্ট্র এবং আদর্শ জাতি গঠন করা সম্ভব— বলেন ইমরান হাসান রাব্বী।
শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, জেলায় প্রাথমিকে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৫৬.২০ শতাংশ। ঝরে পড়ার হার ১০.২৫ শতাংশ। গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে শেরপুরে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে শিশুশিক্ষার্থীর সংখ্যা। নানা কারণে শিশুদের ঝরে পড়ার প্রবণতা বাড়ার কারণে একই সঙ্গে বাড়ছে শিশুশ্রমিকের সংখ্যাও।
এদিকে, শেরপুরে শিশুশ্রমিকের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা কোনো দপ্তরে পাওয়া না গেলেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য বলছে, প্রতি বছরই শেরপুরে ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা বাড়ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে শেরপুরে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল দুই লাখ ২১ হাজার ২৯১ জন। এ সংখ্যা ২০২০ সালে কিছু কমে দুই লাখ ১৫ হাজার ৫৯২ জনে দাঁড়ায়। ২০২১ সালে যা ছিল দুই লাখ পাঁচ হাজার ১৩৭ জন। করোনা মহামারির পর অনেক শিক্ষার্থী কমে যায়। ২০২২ সালে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৭০ জন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে শেরপুর জেলায় প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় দুই লাখ ১৩ হাজার ৫৬৬ জন।
ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), শেরপুরের ইয়ুথ মেন্টর রজত সাহা অন্তু বলেন, আমরা এনসিটিএফ থেকে মূলত শিশু অধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করি এবং সেই হিসেবে পরবর্তীতে অ্যাডভোকেসি করে থাকি। গত কয়েক বছর ধরে আমরা শিশুশ্রম নিয়ে কাজ করছি। ২০২২ সালে আমরা জেলার নিউ মার্কেট থেকে খরমপুরে একটি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ৪৩ জন শিশুর তথ্য পাই। যারা আর্থিক অথবা পারিবারিক কারণে শ্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে শ্রমজীবী শিশুর সংখ্যা বাড়ছেই। এ বছর আমরা শিশুস্বাস্থ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছি।
‘বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শনের মাধ্যমে বেশকিছু সমস্যা আমরা দেখেছি। আমরা মনে করি, উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের আরও বেশি কাজ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠান শিশুদের নিয়ে কাজ করছে তাদের সুষ্ঠু জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারলে শিশুকেন্দ্রিক সমস্যাগুলো অনেকাংশে কমে আসবে।’
শেরপুর শিশু একাডেমির লাইব্রেরিয়ান আসলাম খান বলেন, এটি একটি পিছিয়ে পড়া গরিব জেলা। এখানে গরিব মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। এ জেলার ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনার সুযোগ কম পায়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। তাদের পড়াশোনার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে সরকার যদি ভর্তুকির ব্যবস্থা করে তাহলে ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা কমে আসবে।
শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, শিশুদের ঝরে পড়ার হার এখন অনেকাংশে কমেছে। এখন আর আগের মতো নেই শেরপুর। যেহেতু ঝরে পড়ার হার কমেছে, সেই হিসাবে শিশুশ্রমও কমেছে। আমরা শিশুদের ঝরে পড়া রোধে প্রতিনিয়ত মা-সমাবেশ, অভিভাবক-সমাবেশের আয়োজন করছি। সমাবেশগুলোতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পাশাপাশি আমি নিজেও যাচ্ছি। সেখানে শিশুদের স্কুলমুখী করার জন্য বলা হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুশ্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছি। অভিভাবকদের মোবাইলে তা পাঠানো হচ্ছে।
‘আমরা এটুকু বলতে চাই, ১০ বছর আগের চেয়ে শিশুদের ঝরে পড়ার হার এখন অনেকাংশে কমেছে।’
আরএআর/