অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ময়মনসিংহের চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায়
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নবগঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হয়েছেন অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়। তিনি ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহাবুব হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন সন্ধ্যা ৬টার পর ডা. বিধান রঞ্জন রায়কে মোবাইলে শপথ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তবে বতর্মানে ময়মনসিংহ নগরীর নিজ বাসায় অবস্থান করায় আজ তিনি যেতে পারেননি। আগামী শনিবার অথবা রোববার তিনি শপথগ্রহণ করবেন বলেন জানিয়েছেন স্বজনরা।
প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আপাতত গণমাধ্যমে কথা বলবেন না বলে জানান ডা. বিধান রঞ্জন রায়।
আরও পড়ুন
এদিকে উপদেষ্টা হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ডা. বিধান রঞ্জন রায়ের বাসায় ভিড় জমান তার সহকর্মী, প্রতিবেশী ও স্বজনরা। এসময় তার বাসায় গিয়ে অনেককে মিষ্টি ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়।
ডা. বিধান রঞ্জন রায়ের স্ত্রী কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ময়মনসিংহের প্রভাষক ডা. রমা সাহা বলেন, সন্ধ্যা ৬টার পর হঠাৎ ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। তবে তিনি বর্তমানে বাসায় (ময়মনসিংহ) অবস্থান করায় শপথ অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, খবরটি আমিও শুনেছি। তবে এর বাইরে অফিসিয়ালি আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।
জানা যায়, ডা. বিধান রঞ্জন রায় সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মধ্য নগর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম ডা. গোপী রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি শিক্ষাজীবনে সুনামগঞ্জ জুবলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। সেখান থেকে কর্মজীবনে যোগদান করে ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি পরিবার নিয়ে ময়মনসিংহ নগরীতে বসবাস শুরু করেন। বতর্মানে তিনি ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সপ্তাহে তিনদিন নিয়মিত রোগী দেখেন বলে জানান তার স্ত্রী।
জানা যায়, ডা. বিধান রঞ্জন রায় চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখি করেন। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে সামাজিক চেতনার মনস্তত্ত্ব (২০১৬), এপিকুরস, আধুনিকতা ও আমরা (২০১৮), সিগমুন্ড ফ্রয়েড এবং অফ্রয়েডীয় ফ্রয়েডবাদীগন (২০২০) উল্লেখযোগ্য।
এসএসএইচ