ভুয়া দলিলে ভূমি অধিগ্রহণের কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন ব্যবসায়ী
বগুড়ায় অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ভুয়া দলিলে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসনকে জানালে তারা ‘খতিয়ে দেখার’ আশ্বাস দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, জেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে বগুড়ায় ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় বহুমাত্রিক অনিয়ম চলে। ক্রমাগত জালিয়াতির অভিযোগ করা হলেও খোঁজ নিয়ে দেখার কথা বলে দায় এড়ায় প্রশাসন। কিন্তু চিত্র বদলায় না। শেষ হয় না খতিয়ে দেখাও।
ভুয়া দলিলে কোটি টাকার ওপরে ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ তুলে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- আব্দুল খালেক ও তার সাবেক স্ত্রী রুবিয়া খাতুন স্বপ্না। তারা শাজাহানপুরের মাঝিড়া এলাকার বাসিন্দা। আব্দুল খালেক মাঝিড়া এলাকায় ভুসি-মালের ব্যবসা করেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ইউসুফ এন্টারপ্রাইজ। সম্পত্তি বন্ধক রেখে তারা ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কাছ থেকে ঋণ নেন। এই সম্পত্তির মাধ্যমে জালিয়াতি করেছেন খালেক।
আর্থিক সংস্থাটি জানায়, ২০১৭ সালের জুনে ইউসুফ এন্টারপ্রাইজ নামে ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ নেন আব্দুল খালেক। ঋণের জামিনদার তার স্ত্রী স্বপ্না। এই ঋণের জন্য রহিমাবাদ মৌজায় খালেক ও স্বপ্নার মালিকানাধীন ৮ শতক জমি বন্ধক রাখা হয় ফিনিক্স ফাইন্যান্সের কাছে। ঋণের চুক্তি অনুসারে জমির মূল দলিল ও স্বত্ব ফিনিক্স ফাইন্যান্সের কাছে জমা দিতে হয় ঋণকারী আব্দুল খালেককে। প্রথম দিকে কয়েকটি কিস্তি দিলেও সিংহভাগ টাকা তিনি পরিশোধ করেননি। এখন সুদসহ ৬০ মাসের ঋণের পরিমাণ ২৬ লাখ টাকার ওপরে।
এর মধ্যে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এই সড়ক চার লেন করতে গিয়ে অনেকের মতো মাঝিড়ায় আব্দুল খালেকের জমিও অধিগ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে ২০১৯ সালের ২৯ মে ফিনিক্স ফাইন্যান্স বন্ধকি জমির মূল্য পরিশোধের ওপর নিজেদের পাওয়ার অব এটর্নি (আমমোক্তারনামা) থাকার বিষয়ে একটি চিঠি দেয় বগুড়া জেলা প্রশাসনকে। এর মধ্যে করোনাকালে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের ২৫ মার্চ একই রকম আরেকটি চিঠি দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের কাছে। পরে এটা নিয়ে ২০২১ সালে ৫১০/২১ নামে একটি মিস কেস হয় জমি অধিগ্রহণ শাখায়। এখানে ফিনিক্সকে পক্ষভুক্তও করা হয়।
ঋণগ্রহীতা খালেকের কাছ থেকে টাকা তুলতে পারছিল না ঋণ দেওয়া প্রতিষ্ঠান। এ কারণে ২০২২ সালের ৭ জুন বগুড়ার অর্থঋণ আদালতে মের্সাস ইউসুফ এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে মামলা করে ফিনিক্স ফাইন্যান্স। সেই মামলায় রায় পেয়ে ফিনিক্স ফাইন্যান্স ওই জমি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এর আগেই ওই জমি অধিগ্রহণ হওয়ার কারণে নিলাম করা সম্ভব হয়নি। পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কোর্ট জেলা প্রশাসকের অধিগ্রহণ শাখাকে অবহিত করে যে, ঋণের টাকা আদালত অথবা ফিনিক্স ফাইনান্স বরাবর জমা দিতে হবে। এরপর অর্থজারির মামলা করা হয়। এই মামলায় ফিনিক্স ফাইনান্সকে ঋণের টাকা বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। এই আদেশও ফলপ্রসু হয়নি। বাধ্য হয়ে ফিনিক্স ফাইন্যান্স দুই ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করে। তবে আবেদনটির সর্বশেষ অবস্থা জানা যায়নি।
ফিনিক্স কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ২০১৯ সাল থেকেই ডিসি অফিসে চিঠি চালাচালির মধ্যেই ২০২৩ সালে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে দুই কিস্তিতে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা দেওয়া হয় আব্দুল খালেক ও তার সাবেক স্ত্রীকে। এটিও দেওয়া হয়েছে ভুয়া দলিলের বিপরীতে।
ভুয়া দলিল ধরা পড়ে যেভাবে
ফিনিক্স ফাইন্যান্সে ঋণের জন্য বন্ধক রাখা জমির দলিলে উল্লেখ আছে যে, আব্দুল খালেক ও রুবিয়া খাতুন স্বপ্না ২০১৭ সালে ৮ শতক পরিমাণ জমি ক্রয় করেন। একই দাগের জমির মধ্যে বগুড়ার শিবগঞ্জের এক দম্পতির কাছে থেকে নেন তিন শতক। আর শাজাহানপুরের আরেক বাসিন্দা শামিমা আকতার সুমির কাছে থেকে নেন ৫ শতক। তিন শতকের জমিদাতা এই দম্পতি হলেন উপজেলার রহবল ইউনিয়নের ভরিয়া গ্রামের মেহেদুল ইসলাম ও লাইলা আরজুমান।
কিন্তু ডিসি অফিসের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় জমা দেওয়া দলিলে দেখা গেছে, জমিগ্রহণকারী মেহেদুল ও লাইলা একই ব্যক্তি থাকলেও বদলে গেছে জমিদাতার চেহারা। যাদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে মূলত তারা হলেন- বগুড়ার শেরপুরের নাজমুল আলম সরকার এবং রুমানা সরকার। তারাও এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহীতা।
ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খালেকের জমি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়বদ্ধ। মূল দলিল, ঋণকারীর হলফনামাও আমাদের কাছে। কীভাবে ভুয়া দলিল সাবমিট করে ঋণকারী আব্দুল খালেক টাকা উত্তোলন করতে পারেন, তা দেখে আমরা হতবাক।
ভুয়া দলিল, অস্বীকার করেননি খালেকও
ঋণগ্রহণকারী মেসার্স ইউসুফ এন্টারপ্রাইজের মালিক আব্দুল খালেক টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। তিনি জানান, মাঝিড়া এলাকার এক দালাল জমি অধিগ্রহণের টাকা তোলার বিষয়ে সাহায্য করেছেন। দালালের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহন শাখার লোকজনের ভালো সম্পর্ক। তিনি শাজাহানপুরের একাধিক মানুষের জমির টাকা উত্তোলন করে দিয়েছেন। এ জন্য ফিনিক্স ফাইন্যান্সে বন্ধককৃত এই ছয় শতকসহ আরও কয়েকটি জমি অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলনে দালালের সঙ্গে চুক্তি করেন।
কিন্তু জমির মূল দলিল বন্ধক থাকার পর কীভাবে টাকা উত্তোলন করলেন এমন প্রশ্নে আব্দুল খালেক বলেন, এটা ওই দালালকে কন্ট্রাক্ট দিয়েছিলাম, তিনি জমির দলিল, ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন কপি) রেডি করে ডিসি অফিসে জমা দিয়েছেন। পরে আমরা সেখান থেকে টাকা তুলি। তার মাধ্যমে আরও তিনটি জমির টাকা তোলার কথা।
নকল দলিল ও ডিসিআর তৈরির বিষয়ে তিনি বলেন, ডিসি অফিস থেকে আমাদের প্রায় তিন কোটি টাকা পাওয়ার কথা। এই টাকা পেলেই ফিনিক্স ফাইন্যান্সের টাকা আমরা দিয়ে দেব। এর বেশি কিছু আপনাদের জানার দরকার নেই।
আব্দুল খালেকের ঋণের জামিনদার ছিলেন সাবেক স্ত্রী রুবিয়া খাতুন স্বপ্না। তিনি বলেন, গত বছর আমরা টাকা উত্তোলন করেছি। সঠিক তারিখ মনে নেই। বিভিন্ন হিসাব কর্তন করে দুই দফায় আমরা ৫৭ লাখ টাকা করে চেক পেয়েছি।
জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার পেশকার আব্দুল মান্নান জানান, ২০২২ সালে দুই দফায় এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা উত্তোলন হয়েছে। কিন্তু কত তারিখে উত্তোলন হয় তা বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
কাউকে পরোয়া করেন না রুবেল
জমি অধিগ্রহণ শাখায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন রুবেল। মূলত তিনি মান্নানের সহযোগী। রুবেল এই দপ্তরের সব গোপনীয় নথি লিপিবদ্ধ করেন। অধিগ্রহণ শাখার ফাইলপত্রও রেডি করেন। আসলে তিনি ডিসি অফিসের কেউ না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই রুবেলের মাধ্যমে গোপন নথি ফাঁস করে মিসকেস হওয়া মামলা থেকে ঘুষ নেওয়া হয়। তিনি কাউকে পরোয়া করেন না।
এ বিষয়ে জানতে সম্প্রতি ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় গেলে রুবেল কম্পিউটার ছেড়ে উঠে যান। কেন তিনি এখানে বসেন তার উত্তর দিতে পারেননি। ওই শাখার কর্মচারী আব্দুল মান্নান বলেন, ডিসি অফিসে এভাবে অনেকেই কাজ করেন। রুবেলও করছেন। এখানে গোপনীয় কোনো নথি নেই। সব ওপেন।
তবে ওই সময় নির্দিষ্ট একটি মামলার নথি দেখতে চাইলে মান্নান বলেন, এটি আপনাকে দেখানো যাবে না। দেখাতে হলে স্যারের অনুমতি লাগবে।
ভূমি অধিগ্রহণ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল ওয়াজেদ জানান, বিষয়টি শুনেছি। আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কম্পিউটার অপারেটর রুবেল ডিসি অফিসের কর্মচারী কিনা জানি না।
ভূমি অধিগ্রহণে আরও অনিয়মের অভিযোগ
ভূমি অধিগ্রহণে আরও একাধিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া অভিযোগ আছে ঘুষ ছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে কোনো জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয় না। জেলা প্রশাসনের কানুনগো থেকে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার দায়িত্বরতরা এই অনৈতিক লেনদেনে জড়িত। এই চক্র টাকার লোভে ভুয়া আমমোক্তার, ভুয়া দলিল, মিথ্যা জমি জরিপের প্রতিবেদন দিয়ে অনেক মানুষকে রাস্তায় বসিয়েছে।
এমনই এক ভুক্তভোগী বগুড়া শহরের নামাজগড় এলাকার বাসিন্দা বদরতদোজা। ৭৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তির ৬ শতক জমি সাসেক প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণে নেওয়া হয়। এর মূল্য ধরা হয় ২২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি আবেদনের কিছু দিন পর মানিক উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি আমমোক্তারনামা দেখিয়ে অধিগ্রহণের অর্থ উত্তোলন তুলে নেন।
অভিযোগ রয়েছে, জেলা প্রশাসনের রাজস্ব কর্মকর্তা, কানুনগো ও ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে মিস কেস তৈরি করা হয়। এরপর অধিগ্রহণের জমিতে না গিয়ে তারা ভুয়া সরেজমিন প্রতিবেদনে ওই জমির টাকা উত্তোলন করেন মানিক। টাকা উত্তোলনের পর এই মানিকের আর কোনো হদিস পাচ্ছেন না বদরতদোজা।
এ ঘটনায় দীর্ঘদিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ধরনা দিয়ে কোনো সুরাহা পাননি তিনি। পরে আদালতে গিয়ে মামলা করেন বদরতদোজা। একই সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও অভিযোগ দেওয়া হয়।
বদরদোজার ছেলে জাহিদ হাসান বলেন, জমির টাকা তুলে নিয়ে গেছে এটা জানার পর আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোঁজ করি। কিন্তু কেউ কোনো জবাব দেন না। আমরা ওই সময়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উজ্জল কুমার ঘোষের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। এখন এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আমাদের দাবি, এর সঠিক বিচার করে যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
অভিযোগ রয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয় জরিপ শাখার মাধ্যমে। জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের কানুনগো শহিদুল ইসলাম বলেন, দলিল বা আমমোক্তারনামা ভুয়া কিনা এটা আমাদের কাজ না। আমাদের কাজ ভূমি জরিপ করা। ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়মের কাজে আমরা জড়িত না।
তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে শহিদুল বলেন, তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা এসেছিলেন। আমি সেখানে আমার বক্তব্য দিয়েছি।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিন বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা নিয়ে ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট আমার কাছে এসেছিল। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আর বদরতদোজার ঘটনাটিরও তদন্ত চলছে। আমরা কখনো অনিয়মের পক্ষে নই। অনিয়মে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অধিগ্রহণের অনিয়মের বিষয়ে একটি তদন্ত চলমান। এর মধ্যে বিভাগীয় কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগে তদন্ত বোর্ড গঠন করতে হবে। এখানে তিন সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করব আমরা। তবে এসব ঘটনা বেশ কয়েক বছরের। এর মধ্যে বগুড়া ডিসি অফিস থেকে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলি হয়েছেন। এ জন্য তদন্তে সময় লাগবে। তদন্তে আরও কোনো আইনের ব্যতয় পাওয়া গেলে সেগুলোও আমলে নেওয়া হবে।
জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনে বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ডিসি অফিসের তদন্তে এসব বিষয় আমলে আনা হবে। তবে এটি কোনো সহজ উপায়ে হবে না। যারা অনিয়মের সুযোগ নিয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করা যায়। আর যদি কেউ নিজে থেকে টাকা ফেরত দেন সেটি হলে প্রক্রিয়াটি কিছুটা সহজ হবে। তবে সবই আইনের মধ্যে।
ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় বাইরের লোকের কাজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে সরকার নিয়োগ করা জনবল ছাড়া কেউ থাকার কথা নয়। এর বাহিরে কেউ থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/আরএআর