তল্লাশির নামে নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাদক তল্লাশির নামে এক আদিবাসী গৃহবধূকে (৩২) শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে তাড়াশ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নিজ ঘরে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ। তার এমন অভিযোগের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে আদিবাসী গৃহবধূকে বলতে শোনা যায়, ‘সন্তোষ দারোগাকে আমি চিনি না। তিনি তাড়াশ থানার দারোগা বলে ঘরে ঢুকে আমার পুরো শরীর চেক করেন। আমি নাকি মদ বিক্রি করি। আমি এগুলা করি না বললেও শরীরে হাত দিয়ে চেক করেন। পরে আমার ঘরে থাকা যুবতী মেয়ে লজ্জায় দৌড়ে গিয়ে আমার মাকে ডেকে আনে। এরপর আমার মা দৌড়ে এসে এমন অবস্থা দেখার পর সন্তোষ দারোগার পায়ে ধরে। তারপরও তিনি আমাকে থানায় নেওয়ার হুমকি দেন। আমার শরীর চেক করে তিনি কিছুই পাননি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, এ ঘটনার দিন আমি কৃষিকাজে নাটোরের সিংড়ায় ছিলাম। পরের দিন বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী ও মেয়ের কাছে শুনে বিস্মিত হয়েছি। ওই পুলিশ আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মদ বিক্রির মিথ্যা অভিযোগ এনে শরীরে হাত দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তাড়াশ থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সন্তোষ কুমার বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা। ওই নারী মাদক ব্যবসায়ী। তাকে আটক করতে অভিযান চালানো হয়েছিল। অভিযানে মাদক পাওয়া যায়নি। এজন্য তাকে আটক করা হয়নি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ওই গৃহবধূ মাদক বিক্রি করেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে এএসআই সন্তোষ কুমার ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে ওই নারীর অভিযোগ ওঠায় পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানিয়েছি।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, ঘটনাটি অবগত হয়েছি। বিষয়টি তাড়াশ থানার সার্কেল এসপিকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুভ কুমার ঘোষ/এএএ