৯ জন ভাগ হয় ৩ গ্রুপে, টার্গেট ছিল অটোরিকশা
৯ জন তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে হত্যাকাণ্ড চালায়। প্রথম গ্রুপ অটোরিকশা ভাড়া করে নিয়ে যায়। দ্বিতীয় গ্রুপটি বিভিন্ন স্থানে পাহারায় থাকে এবং তৃতীয় গ্রুপটি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর পর অটোচালককে হাত-পা বেঁধে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে যায়।
চাঁদপুরের কচুয়ায় অটোচালক মো. সাব্বির হোসেন হত্যাকাণ্ডে ৭ জনকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত অটোরিকশাচালক সাব্বির কচুয়া উপজেলার পালখাল ইউনিয়নের ভূঁইয়ারা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন— চাঁদপুর সদরের তরপুরচন্ডী এলাকার মো. জহির বাবলা (৪৫), মতলব দক্ষিণ উপজেলার মো. আনিছুর রহমান (২৫), একই উপজেলার মো. রাজু বেপারী (২৫), মো. রাকিব (২৩) ও মো. আমির হোসেন হানজালা (২৫), নরসিংদী জেলার পলাশ থানার চর সিন্দুরের কবির হোসেন (৩৫) এবং দিনাজপুর জেলার কোতয়াালী থানার মতুল্লাপুর এলাকার হামিদুর রহমান (৪১)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সাব্বির গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি না ফিরলে পরদিন তার মা জাহানারা বেগম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ স্থানীয় সংবাদের ভিত্তিতে ওই ইউনিয়েনর সেঙ্গুয়া নামক স্থান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় চালকের পরিবার ২৬ জানুয়ারি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, পুলিশ প্রথমে আসামি হানজালাকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুর ও নারায়নগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বাকি ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অটোরিকশার বিভিন্ন যন্ত্রাংশও পাওয়া গেছে আসামিদের কাছে।
আরও পড়ুন
প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আনোয়ারুল হক/এনএফ