শেখ হাসিনা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথ দেখাচ্ছেন: শিক্ষামন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়েছেন। তিনি এখন আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথ দেখাচ্ছেন। দেশকে ও মানুষকে ভালোবাসা যদি আমার দেশপ্রেম হয়, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা যদি দেশপ্রেম হয় তাহলে আমি বলতে বাধ্য শেখ হাসিনাকে অর্থাৎ নৌকাকে ভোট দেওয়াটাও দেশপ্রেমেরই অংশ। কারণ এর উল্টো দিকের বিকল্প হচ্ছে- দেশ ধ্বংস, মানুষ পোড়ানো, দেশের সম্পদ বিনষ্ট করা এবং এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করা।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ২০২৩ সালের কার্যকরী কমিটির অভিষেক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা বলেন।
নতুন বই সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সকল বোর্ডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে বসেছি। সকলের মতামত নিয়েছি। বইগুলো পরিমার্জন পরিশীলন করেছি। তারপরেও আমরা মনে করি একটা নতুন শিক্ষাক্রমে নতুন বইয়ে কিছুটা ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। যেমন সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ে দুইটি প্যারায় ভুল ছিল। যিনি বইটি লিখেছেন, তিনি বিবৃতি দিয়ে সেটি সমাধান করে দেওয়ার কথা বলেছেন এবং আমিও বলছি, ভুলভ্রান্তি পাওয়া গেলে সংশোধন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, কয়েকমাস আগে বলা হয়েছিল আমাদের সমস্ত বই থেকে ইসলাম ও রাসূল সম্পর্কে বিষয়গুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং সনাতন ধর্ম সম্পর্কিত সবকিছু নিয়ে আসা হয়েছে। এরপর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, আমরা সেটির বিপরীতে আরেকটি ভিডিও করে উত্তর দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যারা সরকারকে উৎখাত করতে চায় কিন্তু কোনও সুযোগ দেখছে না। তারাই এখন নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এখন তারা নতুন শিক্ষক্রমের পেছনে লেগেছে। কারণ এই শিক্ষাক্রম অনুযায়ী আমার শিক্ষার্থীরা মানবিক, অসম্প্রদায়িক, নৈতিকতা সম্পন্ন এবং সোনার বাংলা গড়ার সোনার মানুষ হবে। তাই বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়ে যাবে, এটাই তাদের ভয়। তাই এই শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করছে তারা।
দীপু মনি বলেন, তারা (বিএনপি) সব সময় ইসলামের নামকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। আমি বলব, আমরা যেন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই এবং কেউ যেন ধর্মকে অপব্যবহার না করে। যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করে অপকর্ম করবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাব হচ্ছে আমার নিজের একটি প্রতিষ্ঠান। আমি এই ক্লাবের একজন সদস্য। এখানে আমি নিমন্ত্রণ না করলেও আসি। কারণ আমার পিতা ছিলেন সংবাদপত্রের লোক। এই পেশা আমাদের পরিবারে সাথে জড়িত। তাই আমি বলব, আমরা যেন সংবাদপত্রে প্রথম পাতায় ইতিবাচক সংবাদগুলো নিয়ে আসি। কারণ এখন পত্রিকার প্রথম পাতায় নেতিবাচক সংবাদগুলো দেখি।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সিআইপি জয়নাল আবেদিন মজুমদার।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান শোভনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি মো. ইউসুফ গাজী, ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু প্রমুখ।
এছাড়া সদ্য বিদায়ী সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসসহ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দও এসময় বক্তব্য রাখেন।
আনোয়ারুল হক/টিএম