রেলওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে রেলওয়ে স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ীরা তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন।
স্থানীয় ৬১ জন ব্যবসায়ী স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রটি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাঝে তুলে ধরা হয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী এনামুল হক।
তিনি বলেন, মোহনগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আব্দুল মান্নান সম্প্রতি এখানে যোগদানের পর থেকেই আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না পেয়ে নানাভাবে হয়রানি করছেন। তার ভয়-ভীতি ও হুমকিতে আমরা শঙ্কায় আছি।
করোনায় এমনিতেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন ধার-দেনা করে আবার নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল মান্নানের লাগামহীন চাঁদাবাজি ও হুমকিতে আমরা দিশেহারা। তার অত্যাচার-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তবে মোহনগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আব্দুল মান্নান তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিষয়টি মিথ্যা, বানোয়াট।
তিনি বলেন, সম্প্রতি এখানে যোগদান করা পর রেলের টিকেট কালোবাজারির বড় একটি সিন্ডিকেট দেখতে পাই। তাদের চিহ্নিত করে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে আসতে নিষেধ করেছি। এ ছাড়া প্ল্যাটফর্মের পাশের নিরাপত্তা গ্রিল বেআইনিভাবে কেটে দোকানিরা তাদের যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করেছে। গ্রিল কাটার ফলে স্টেশন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দুটি লিখিত অভিযোগও রয়েছে। আমি তাদেরকে ওই গ্রিলটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য বলেছি। এতে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কারণেই তারা দলবদ্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।
জিয়াউর রহমান/আরআই