ওসমানী মেডিকেলের ২ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় মামলা
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এজাহার নামীয় ৭ আসামিসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ।
মামলা দুটির বাদী হলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. হানিফ ও ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের পি এ টু প্রিন্সিপাল ও সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহমুদুর রশীদ।
মামলায় এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন দিব্য, আব্দুল্লাহ, এহসান, মামুন, সাজন, সুজন, সামি ও সাঈদ হাসান রাব্বি। এর মধ্যে সাঈদ হাসান রাব্বি ও এহসান গত রাতে আটক হয়েছেন।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা অপরাধীদের ধরতে বদ্ধপরিকর। আমাদের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমরা দুজনকে আটক করেছি। বাকিদেরও আমরা আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কলেজ ও হাসপাতাল প্রশাসন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ। বৈঠকে শিক্ষার্থীরা ৫টি দাবি নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল হামলাকারী সব আসামিদের গ্রেপ্তার করা। কিন্তু দুই আসামি গ্রেপ্তার ও দাবিগুলো নিয়ে কোন সুরাহা না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
প্রসঙ্গত, দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে সোমবার (১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১০টা থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে এ অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও।
রাত দেড়টার দিকে হামলায় জড়িত দুইজনকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা শর্ত সাপেক্ষে আজ বেলা ২টা পর্যন্ত আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করে।
মাসুদ আহমদ রনি/আরআই