হতদরিদ্র জালালের গরু চুরি করে মাংস ভাগ করে নিল দুর্বৃত্তরা
অনেক শখ করে গরুটিকে লালন-পালন করেছিলেন কোরবানির হাটে বিক্রির আশায়। হাটে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় ফেরত এনেছেন বাড়িতে। ভেবেছেন পরদিন হয়তো দাম পাবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি হতদরিদ্র জালাল মোল্লা।
গরু গোয়ালে রেখে রাতে ঘুমানোর পর সকালে উঠে দেখেন তার গরুটি চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা গরুটিকে জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নিয়েছে বলে ধারণা করছেন গরুর মালিক।
ইন্দুরকানী উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর গ্রামে শুক্রবার (৭ জুলাই) গভীর রাতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য দুলাল ফকির।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ইন্দুরকানী উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর গ্রামে জালাল মোল্লা গরুটিকে কয়েক বছর ধরে লালন-পালন করছিলেন। এ বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুটিকে হাটে বিক্রি করে লাভের আশা করছিলেন। কিন্তু গরুটিকে কে বা কারা তার গোয়ালঘর থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে। শনিবার (৮ জুলাই) সকালে খুঁজতে বের হলে গ্রামের পাশের কচা নদীর পাড়ে রক্ত-হাড়গোড় দেখে জালাল মোল্লা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জালাল মোল্লা বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে গরুটিকে বড় করেছিলাম। আমি গরুটিকে হাটে নিলেও বিক্রি করতে না পেরে বাড়িতে নিয়ে আসি। ভেবেছিলাম পরের হাটে গরুটাকে ভালো দামে বেচতে পারলে পরিবার নিয়ে আরও একটু ভালো থাকব। সে আর হতে দিল না চোরেরা। গরুটিকে কারা নিয়ে গেছে জানি না। আমার এত দিনের কষ্ট সব এক রাতেই শেষ হয়ে গেছে।
চণ্ডীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য দুলাল ফকির বলেন, গরুটি চুরি করে নেওয়ার বিষয়টি গরুর মালিক ও স্থানীয়ভাবে শুনেছি। তিনি অনেক বছর ধরে গরুটি পালতেন বলে জানি। থানায় ঘটনাটি জানিয়েছি। তবে গরুর মালিক জালাল মোল্লা অনেক ভেঙে পড়েছেন।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে শুনলাম। খোঁজ নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি। অভিযোগ পেলেই দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. আবীর হাসান/এনএ