সাভারে চলন্ত বাসে ডাকাতি, দুই ডাকাত আটক
সাভারে একটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতের ছুরিকাঘাতে ও মারধরে ২৮ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ সময় দুই ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান। এর আগে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে থেকে ডাকাতদের আটক করে বাসটি জব্দ করা হয়। তবে কী পরিমাণ অর্থ ও জিনিসপত্র লুট হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
আটক ডাকাতরা হলেন- ফিরোজ ও হৃদয়। তাদের বিস্তারিত পরিচয় মামলার পর জানাতে চেয়েছেন পুলিশ। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক বাসের এক স্টাফের পরিচয়ও জানায়নি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে সিংড়া এলিগেন্স নামে একটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে নাটোরের উদ্দেশে ছেড়ে দেয়। হেমায়েতপুরের বাইপাস থেকে ডাকাতরা বাসে ওঠে পুরো বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা টাঙ্গাইল পর্যন্ত যায়। পরে আবার বাসটি সাভারের উদ্দেশে রওনা দেয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগে থেকেই সেখানে পুলিশ অবস্থান নেয়। ডাকাতি শেষে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি বাসস্ট্যান্ডে বাসটি থামিয়ে চালক নেমে যায়। এ সময় চালককে আটক করতে না পারলেও দুই ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে তাদের সাভার মডেল থানায় আনা হয়।
গাড়ির সুপারভাইজার মকবুল হোসেন বলেন, আমরা রাত ১০টার দিকে গাবতলী থেকে গাড়ি ছেড়ে দেই। গাড়িটি নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইলে পৌঁছালে যাত্রীবেশে ৫ জন ডাকাত গাড়িতে ওঠে। গাড়িতে ওঠেই আমাদের ছুরি দিয়ে আঘাত করে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ডাকাতরাই গাড়ি চালাতে থাকে। তারা সারা রাত ঘুরিয়ে আমাদের কাছে থাকা টাকা ও যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে ভোরে সিঅ্যান্ডবিতে এনে গাড়ি থামায়। এ সময় পুলিশ দুই ডাকাতকে আটক করে।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিআ্যান্ডবি বাসস্ট্যান্ড থেকে চলন্ত বাসে ডাকাতি করা দুই ডাকাতকে আটক করা হয়। কেউ আহত আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আহত আছে তবে কতজন ও আহতের ধরন এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মাহিদুল মাহিদ/এসপি