ডাবের পানি আলাদা করে তৈরি করতে হয় না। এটি প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি থাকে। এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ। গরমে ডাবের পানি বিশেষ উপকারী।
গরমের সময়ে বিভিন্নরকম ফল পাওয়া যায়। সেসব ফলের রস তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে। এসময় তরমুজ, আম, কমলা, আঙুর, লিচু ইত্যাদির রস খেতে পারেন।
হজমক্ষমতা ভালো রাখতে কাজ করে এই পানীয়। গরমে ভাজাভুজি, মশলাদার বা ভারী কোনো খাবার খাওয়ার পরে জিরাপানি খেতে পারেন। এতে হজমে সমস্যা হবে না। সেইসঙ্গে থাকবেন সতেজও।
মিষ্টি দই দিয়ে তৈরি এই পানীয় অনেকেরই পছন্দ। গরমে তৃষ্ণা মেটাতে লাচ্ছি বেশ কার্যকরী। ইফতারেও রাখতে পারেন এই স্বাস্থ্যকর পানীয়।
টক দই, পুদিনা পাতা, কাঁচা মরিচ, ভাজা জিরা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি বোরহানি বেশ স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়। গরমে এক গ্লাস বোরহানি ফিরিয়ে দিতে পারে স্বস্তি।
গরমে পানীয়র মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় লেবুর শরবত। চিনি, পানি ও লেবুর রস দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায় এই শরবত। প্রচণ্ড গরমে লেবুর সুগন্ধ সতেজ অনুভূতি দেয়। এর টক-মিষ্টি স্বাদও অনন্য।
তেঁতুলের কাঁথ, পানি ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয় তেঁতুলের শরবত। এটি পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে চাইলে দুই-এক টুকরা বরফ মিশিয়ে খেতে পারেন।
গরমে প্রাণ জুড়াতে পান করতে পারেন কাঁচা আমের শরবত। কাঁচা আমের রস বের করে তার সঙ্গে পানি, চিনি ও লবণ মিশিয়ে এই পানীয় তৈরি করা যায়। ভিটামিন সি যুক্ত এই শরবত গরমে বেশ উপকারী।