সবাইকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে বিষয় নিয়েই অধ্যয়ন করুক তার পাশাপাশি ডিজিটাল বিষয়ে মৌলিক দক্ষতা অর্জনের তাগিদ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগের কর্মসংস্থানের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। মেধাচর্চার কেন্দ্রভূমি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বগুড়া আয়োজিত ‘কোভিড -১৯ মোকাবিলায়, প্রযুক্তির ব্যবহার প্রেক্ষিত বাংলাদেশ' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামী সভ্যতা গড়ে উঠবে ডিজিটাল সংযুক্তির ওপর। প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর না হলে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার চালিকা শক্তি। করোনাকালে উন্নত দুনিয়ার তুলনায় আমাদের ভাল করার মূলমন্ত্রটি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি।
মন্ত্রী জানান, দেশের শতকরা সত্তর ভাগ করোনা রোগী ঘরে বসে অনলাইনে চিকিৎসা নিয়েছে। শিক্ষা-বাণিজ্য, অফিস, আদালত সর্বত্র ডিজিটার প্রযুক্তির মাধ্যমে সচল রয়েছে। দুর্গম গ্রামের শিশুটিও ইন্টারনেটকে তার শিক্ষার পাথেয় হিসেবে ব্যবহার করছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলের ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে ওঠায় করোনাকালে ইন্টারনেটের চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও বিনা প্রস্তুতিতেও আমরা তা সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছি। হয়তো স্থানভেদে গতির কিছুটা দুর্বলতা ছিল। তবে এ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, বিগডাটা, রোবটিক্স, আইওটি, ব্লকচেইন ইত্যাদি প্রযুক্তির ফলে সামনের দিনে চালকবিহীন গাড়ি এবং কর্মীবিহীন গার্মেন্টস কারখানা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষেত্রে টিকিয়ে রাখতে তাদেরকে ডিজিটাল যুগের দক্ষতা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ইতোমধ্যে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৬৫০টি বিদ্যালয়ে বই খাতা ছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে।
সভায় আরও যুক্ত ছিলেন পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এ এন এম রেজাউল করিম, বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান প্রফেসর হোসনে আরা বেগম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর সাদেকুল আরেফিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
এইচএন/এসআরএস