ভারতের ডিজিটাল আইন মেনে নিল ফেসবুক-গুগল
সমালোচনা, বিতর্ক ও মামলার পর এবার ভারতের নতুন ডিজিটাল আইন মেনে নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টেলিগ্রাম, গুগলসহ বেশিরভাগ প্রথম সারির সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। শনিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এ তথ্য জানায়।
তবে এখন পর্যন্ত টুইটার এ সম্পর্কে কিছু জানায়নি। সে কারণে দেশটির সরকার টুইটারকে এক চিঠিতে ওই আইনে সম্মতি দিতে বলেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে ভারতের নতুন আইন
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নতুন ডিজিটাল ইনফরমেশন টেকনোলজি আইন প্রণয়ন করে। সে আইন মেনে নেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে তিন মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু এ সময়সীমা পার হওয়ার পরেও ফেসবুক, টুইটার, গুগল, হোয়াটসঅ্যাপ সম্মতি জানায়নি। এর মধ্যে গত বুধবার (২৬ মে) হোয়াটসঅ্যাপ দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে। পরবর্তীতে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, টুইটার ছাড়া অন্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলো আইনটি মেনে নিয়েছে।
নতুন আইনে কী বলা হয়েছে?
ভারতের বিতর্কিত ডিজিটাল ইনফরমেশন টেকনোলজি আইন অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা যে মেসেজ পাঠান, সেটি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে শেয়ার করতে হবে।
এ আইনে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে ভারতের একজন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে যিনি প্রয়োজন অনুযায়ী দেশটির সরকারের কথা শুনবেন। বুধবার দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করার সময় হোয়াটসঅ্যাপ বলেছিল, নতুন আইন মেনে নিলে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করতে হবে।
নতুন আইনে আরও উল্লেখ করা হয়, সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। যিনি সরকারের পাশে থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবেন। ব্যবহারকারীদের অভিযোগ পর্যালোচনা করার জন্য একজন গ্রিভেন্স রিড্রেসাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটার ছাড়া প্রথম সারির সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো দেশটির নতুন আইন মেনে নিয়েছে। ইতোমধ্যে এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, নোডাল অফিসার ও গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাদের নাম পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীদের সব তথ্যও শেয়ার করা হয়েছে।
টুইটার নতুন আইনটি মেনে না নেওয়ায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। শনিবার দেশটির সরকারের কাছ থেকে গাইডলাইন পাওয়ার পর তারাও তথ্য শেয়ার করেছে এবং নোডাল অফিসার ও গ্রিভেন্স অফিসারের তথ্য জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগের ব্যাপারে কিছু জানায়নি।
এইচএকে/এএ