অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদ থেকে প্রতিকারের উপায়
অনলাইন ডেলিভারির নামে প্রতারণা বর্তমানে একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে প্রতারকরা নানাভাবে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সাধারণত এই প্রতারণা বিভিন্ন উপায়ে করা হয়ে থাকে।
ইতোমধ্যে ভারতে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতারিত এক গৃহবধূ। জানা গেছে, অর্ডার না করা সত্ত্বেও বাড়িতে পার্সেল আসে। কীভাবে পার্সেল আসছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না। সেই সময় প্রতারকদের পক্ষ থেকে ফোন করা হয়।
প্রাপককে জানানো হয়, বিশেষ কাউকে গিফট পাঠাতে গিয়ে ভুলবশত তার ঠিকানায় চলে গেছে। দাম খুব বেশি না হওয়ায় টাকা দিতে রাজি হয়ে যান অনেকেই। এরপর প্রতারকের পাঠানো কিউআর কোডে স্ক্যান করে টাকা পাঠাতে গিয়ে মুহূর্তেই অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা চলে যায়। এই ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গৃহবধূ জানান, অনলাইন ডেলিভারি সংস্থা থেকে একটি ঘড়ি অর্ডার হয়েছে বলে জানানো হয়। সেটার পেমেন্টও করা হয়ে গিয়েছিল। অ্যাপেও সেই অর্ডার শো করছিল কিন্তু তিনি অর্ডার করেননি তাই ক্যানসেল করা যাচ্ছিল না। তখনই তিনি বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
প্রতারণার ফাঁদ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরোধের উপায়:
পরিচিত ও বিশ্বস্ত সাইট ব্যবহার করুন: অনলাইন কেনাকাটার জন্য শুধুমাত্র পরিচিত এবং বিশ্বস্ত ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করুন। নতুন বা অপরিচিত ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করার আগে সেটির সম্পর্কে তথ্য যাচাই করুন।
ক্যাশ অন ডেলিভারি অপশন বেছে নিন: পণ্য ডেলিভারি পাওয়ার পর টাকা পরিশোধ করা সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। যদি সম্ভব হয়, ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ বা ‘পণ্য পাওয়ার পর পেমেন্ট’ এর মতো বিকল্প ব্যবহার করুন।
খুব বেশি আকর্ষণীয় অফার এড়িয়ে চলুন: অত্যধিক কম দামে বা অবাস্তব অফার দেওয়া ওয়েবসাইটগুলো থেকে দূরে থাকুন। যদি কোনো অফার খুবই অবাস্তব মনে হয়, তবে সেটা হয়ত একটি প্রতারণা হতে পারে।
প্রিপেইড করার আগে যাচাই করুন: যদি প্রিপেইড করতে হয়, তাহলে কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন এবং বিশ্বস্ততা যাচাই করুন। বড় এবং প্রতিষ্ঠিত অনলাইন শপগুলোতে প্রিপেইড করা তুলনামূলক নিরাপদ।
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখুন: অনলাইন কেনাকাটা করার সময় আপনার ব্যাংক ডিটেইলস বা ক্রেডিট কার্ড তথ্য সতর্কতার সাথে শেয়ার করুন। ফিশিং আক্রমণ থেকে বাঁচতে নিশ্চিত করুন যে সাইটটি নিরাপদ এবং আপনার তথ্য সুরক্ষিত রয়েছে।
এমআইকে